ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

সাবেক সর্বহারা নেতা আলী হাসান আলু ওরফে “আলু ডাকাত” এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

  • স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১০০ জন সংবাদটি পড়েছেন

ঢাকা ও মাগুরার আন্ডারওয়ার্ল্ডে ভয়ঙ্কর একটি নাম আলী হাসান আলু, যিনি এলাকায় “আলু ডাকাত” নামে পরিচিত। নামের সঙ্গে ডাকাত উপাধি যুক্ত হওয়ার পেছনে রয়েছে তার রক্তাক্ত অতীত।

আলী হাসান আলু পিতা মৃত রতন মিয়া গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার কাজলী মোর্তজাপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকায় বসবাস করছেন। তার নামে দুটি ঠিকানায় মোট ৪টি ফ্ল্যাট, রয়েছে ৩টি মাইক্রোবাস (যা রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় ভাড়া দেন)। মাগুরা শহরের খান পাড়ায় তিনি কিনেছেন প্রায় ৩ কোটি টাকার জমি এবং নিজ গ্রামে নির্মাণ করেছেন একটি তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ি।

প্রশ্ন উঠেছে কোনো বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও এত সম্পদ তিনি কোথায় থেকে পেলেন?

৯০–এর দশকে আলী হাসান আলু ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা পার্টির অস্ত্রধারী উপনেতা। তার নিয়ন্ত্রণ ছিল মাগুরা, ঝিনেদা, যশোর, নড়াইল ও ফরিদপুর এলাকায়। বিএনপি সরকারের সময় সর্বহারা পার্টির ছায়াতলে তিনি চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, নারী নির্যাতন, সড়ক ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
এমনকি ফরিদপুরের একটি হত্যা মামলায় তার ফাঁসির দণ্ড হয়েছিল, যা পরে আপিলে স্থগিত হয়। অস্ত্র লুটসহ বহু মামলায় তিনি ছিলেন আসামি।

২০০০ দশকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে অস্ত্র জমা দিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। মিরপুরে ঘাঁটি গেড়ে গড়ে তোলেন প্রায় ১০০-১৫০ জনের একটি অপরাধী বাহিনী যাদের চারটি ব্রিগেডে ভাগ করেন।

এই বাহিনীর মাধ্যমে তিনি ছিনতাই ও ডাকাতি, মানুষ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, ভুয়া ডিবি টিম সাজিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে আটক, মাদক ব্যবসা, টেন্ডার দখল ও ভাড়াটে খুন

এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রাজধানীর আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বর্তমানে আলী হাসান আলু ঢাকা ও মাগুরার দুই বিএনপি নেতার শেল্টারে রয়েছেন। তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পদ কিনতে চাইছেন তিনি।
ঢাকায় যেমন বাহিনী দিয়ে অপরাধ সাম্রাজ্য চালান, তেমনি গ্রামেও নির্দেশ পাঠিয়ে সংঘর্ষ লাগানো, শালিসি জরিমানা আদায়, মামলা-মোকদ্দমায় মানুষকে জড়ানো ও খুনের মতো ঘটনা ঘটানোয় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মাগুরা ও ঢাকার সাধারণ মানুষ এই সাবেক সর্বহারা নেতা ও বর্তমান ভুয়া ডিবি টিম লিডার আলী হাসান আলুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিআইজি খুলনা, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান, মাগুরা পুলিশ সুপার ও যৌথ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Tag :
About Author Information

Milon Ahammed

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

সাবেক সর্বহারা নেতা আলী হাসান আলু ওরফে “আলু ডাকাত” এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা ও মাগুরার আন্ডারওয়ার্ল্ডে ভয়ঙ্কর একটি নাম আলী হাসান আলু, যিনি এলাকায় “আলু ডাকাত” নামে পরিচিত। নামের সঙ্গে ডাকাত উপাধি যুক্ত হওয়ার পেছনে রয়েছে তার রক্তাক্ত অতীত।

আলী হাসান আলু পিতা মৃত রতন মিয়া গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার কাজলী মোর্তজাপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মিরপুর-২ এলাকায় বসবাস করছেন। তার নামে দুটি ঠিকানায় মোট ৪টি ফ্ল্যাট, রয়েছে ৩টি মাইক্রোবাস (যা রেন্ট-এ-কার ব্যবসায় ভাড়া দেন)। মাগুরা শহরের খান পাড়ায় তিনি কিনেছেন প্রায় ৩ কোটি টাকার জমি এবং নিজ গ্রামে নির্মাণ করেছেন একটি তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ি।

প্রশ্ন উঠেছে কোনো বৈধ আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও এত সম্পদ তিনি কোথায় থেকে পেলেন?

৯০–এর দশকে আলী হাসান আলু ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা পার্টির অস্ত্রধারী উপনেতা। তার নিয়ন্ত্রণ ছিল মাগুরা, ঝিনেদা, যশোর, নড়াইল ও ফরিদপুর এলাকায়। বিএনপি সরকারের সময় সর্বহারা পার্টির ছায়াতলে তিনি চাঁদাবাজি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, নারী নির্যাতন, সড়ক ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
এমনকি ফরিদপুরের একটি হত্যা মামলায় তার ফাঁসির দণ্ড হয়েছিল, যা পরে আপিলে স্থগিত হয়। অস্ত্র লুটসহ বহু মামলায় তিনি ছিলেন আসামি।

২০০০ দশকে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে অস্ত্র জমা দিয়ে ঢাকায় আসেন তিনি। মিরপুরে ঘাঁটি গেড়ে গড়ে তোলেন প্রায় ১০০-১৫০ জনের একটি অপরাধী বাহিনী যাদের চারটি ব্রিগেডে ভাগ করেন।

এই বাহিনীর মাধ্যমে তিনি ছিনতাই ও ডাকাতি, মানুষ অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, ভুয়া ডিবি টিম সাজিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে আটক, মাদক ব্যবসা, টেন্ডার দখল ও ভাড়াটে খুন

এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রাজধানীর আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বর্তমানে আলী হাসান আলু ঢাকা ও মাগুরার দুই বিএনপি নেতার শেল্টারে রয়েছেন। তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পদ কিনতে চাইছেন তিনি।
ঢাকায় যেমন বাহিনী দিয়ে অপরাধ সাম্রাজ্য চালান, তেমনি গ্রামেও নির্দেশ পাঠিয়ে সংঘর্ষ লাগানো, শালিসি জরিমানা আদায়, মামলা-মোকদ্দমায় মানুষকে জড়ানো ও খুনের মতো ঘটনা ঘটানোয় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মাগুরা ও ঢাকার সাধারণ মানুষ এই সাবেক সর্বহারা নেতা ও বর্তমান ভুয়া ডিবি টিম লিডার আলী হাসান আলুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিআইজি খুলনা, ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান, মাগুরা পুলিশ সুপার ও যৌথ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।