চট্টগ্রামের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও এক গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে টানাপোড়ন এবং চাঁদা দাবির অভিযোগ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এক নারী সাংবাদিক এবং গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য অনুযায়ী নারী সাংবাদিক গনপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে প্রকৌশলী জহির রায়হান গণমাধ্যমকে জানান, আমি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি। বেসরকারি টেলিভিশনের নারী সাংবাদিক আফসানা নুর নওশীন আমার কাছে গণপূর্তের নানা কাজ চেয়েছিল, আমি কাজ দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাকে হয়রানি করতে থাকে। এখন সে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।”
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ঠিকাদার সমিতির পক্ষ থেকেও উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ। সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ টিটু বলেন, “গণপূর্তে কাজ করতে গেলে আমরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। বেসরকারি টেলিভিশনের নারী সাংবাদিক আফসানা নুর নওশীন নিজেকে গণমাধ্যমকর্মী দাবি করে বিভিন্ন কাজ আদায়ের চেষ্টা করেছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ বলেন, সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক। এভাবে প্রকৃত সাংবাদিকদের সম্মান নষ্ট হচ্ছে।”আমরা চাই তিনি যাতে আর কখনো আমাদের এরকম হয়রানি না করেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে আফসানা নুর নওশীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
ঘটনাটি নিয়ে চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ এবং নাগরিক সমাজ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলছেন, “সাংবাদিকতার নামে যদি কেউ ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো কাজ করে,তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো সাংবাদিককে হেয় করতে চায়, তার বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।