ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ২৫৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

মোঃ আলী শেখ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গড়ে ওঠা একটি পার্ক শুধু একটি নির্মাণ নয়, এটি হয়ে ওঠে মানুষের আত্মার আশ্রয়স্থল, হয়ে ওঠে গ্রামের কোলাহলহীন শান্তির মাঝে বিনোদনের এক স্নিগ্ধ ঠিকানা। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের বুকে এমনই এক নিঃশব্দ আর স্বপ্নময় আলোকদীপ হলো কুঞ্জলতা ফুড পার্ক।

এটি কোনো কল্পনার রাজ্য নয়, বরং মাটির মানুষের হাতেই গড়া বাস্তবতার এক অনুপম নিদর্শন। মনোরম পরিবেশে ঘেরা এই পার্ক যেন এক কবিতার অন্ত্যমিল। গাছপালা, ফুলের বাগান, শিশুর হাসি আর মানুষের পদচারণায় প্রতিটি কোণ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

কুঞ্জলতা ফুড পার্কের বিশেষত্ব কেবল এর সৌন্দর্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আরও গভীর। এ যেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ সৌন্দর্যকে রক্ষা করে নির্মিত এক নান্দনিক পরিসর। শিশুদের জন্য রয়েছে রঙিন দোলনা, পাকা পথ ধরে হেঁটে যাওয়া ছোট ট্রেনের মতো আনন্দযাত্রা, আর বিভিন্ন খেলনার ব্যবস্থা—যা শিশুদের হৃদয়ে আনন্দের কুসুম ফুটিয়ে তোলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আগত মানুষদের জন্য রয়েছে বিশ্রামের ছায়াময় স্থান ও স্বাদের বাহারে ভরা রেস্টুরেন্ট, যা আনন্দকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

এ পার্ক শুধু একটি ঘোরার জায়গা নয়—এটি গ্রামের মানুষকে যুগোপযোগী বিনোদনের স্বাদ দিয়েছে। আগের দিনে যেখানে গ্রামীণ মানুষকে শহরের বিনোদনের জন্য ছুটতে হতো, এখন তারা নিজ গাঁয়ের বুকে গড়তে পারছে এক অনবদ্য আনন্দভুবন। কুঞ্জলতা ফুড পার্ক তাই এক সামাজিক বিকাশের চিত্র, যা গ্রামের আত্মপরিচয়কে নতুন করে চিনিয়ে দিচ্ছে।

এই পার্ক আজ শুধু ইশিবপুর নয়, গোটা রাজৈর তথা মাদারীপুর জেলার মানুষের কাছে একটি গর্বের স্থাপনা। এটি বিনোদনের পাশাপাশি গ্রামের অর্থনীতিতেও যুক্ত করেছে নতুন দিগন্ত। আগত পর্যটকদের আনাগোনায় বাড়ছে স্থানীয় ব্যবসা, বেড়েছে পরিচিতি, জেগে উঠেছে এক সম্ভাবনার আলো।

সবশেষে বলা যায়, কুঞ্জলতা ফুড পার্ক শুধুমাত্র একটি পার্ক নয়, এটি একটি গ্রামীণ রেনেসাঁর প্রতীক—যেখানে সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক অপূর্ব মিলন ঘটে। এ যেন সবুজ ঘাসে লেখা এক কবিতা, শিশুর হাসিতে বাঁধা এক গান, আর গ্রামের মাটিতে আঁকা এক রঙিন স্বপ্ন।

Tag :
About Author Information

Sanjib Das

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

কুঞ্জলতা ফুড পার্ক:-গ্রামের বুকে ফুটে ওঠা এক সবুজ স্বপ্ন

আপডেট সময় : ১২:৫৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

মোঃ আলী শেখ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার :

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গড়ে ওঠা একটি পার্ক শুধু একটি নির্মাণ নয়, এটি হয়ে ওঠে মানুষের আত্মার আশ্রয়স্থল, হয়ে ওঠে গ্রামের কোলাহলহীন শান্তির মাঝে বিনোদনের এক স্নিগ্ধ ঠিকানা। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর গ্রামের বুকে এমনই এক নিঃশব্দ আর স্বপ্নময় আলোকদীপ হলো কুঞ্জলতা ফুড পার্ক।

এটি কোনো কল্পনার রাজ্য নয়, বরং মাটির মানুষের হাতেই গড়া বাস্তবতার এক অনুপম নিদর্শন। মনোরম পরিবেশে ঘেরা এই পার্ক যেন এক কবিতার অন্ত্যমিল। গাছপালা, ফুলের বাগান, শিশুর হাসি আর মানুষের পদচারণায় প্রতিটি কোণ যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

কুঞ্জলতা ফুড পার্কের বিশেষত্ব কেবল এর সৌন্দর্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আরও গভীর। এ যেন আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ সৌন্দর্যকে রক্ষা করে নির্মিত এক নান্দনিক পরিসর। শিশুদের জন্য রয়েছে রঙিন দোলনা, পাকা পথ ধরে হেঁটে যাওয়া ছোট ট্রেনের মতো আনন্দযাত্রা, আর বিভিন্ন খেলনার ব্যবস্থা—যা শিশুদের হৃদয়ে আনন্দের কুসুম ফুটিয়ে তোলে। পরিবার-পরিজন নিয়ে আগত মানুষদের জন্য রয়েছে বিশ্রামের ছায়াময় স্থান ও স্বাদের বাহারে ভরা রেস্টুরেন্ট, যা আনন্দকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

এ পার্ক শুধু একটি ঘোরার জায়গা নয়—এটি গ্রামের মানুষকে যুগোপযোগী বিনোদনের স্বাদ দিয়েছে। আগের দিনে যেখানে গ্রামীণ মানুষকে শহরের বিনোদনের জন্য ছুটতে হতো, এখন তারা নিজ গাঁয়ের বুকে গড়তে পারছে এক অনবদ্য আনন্দভুবন। কুঞ্জলতা ফুড পার্ক তাই এক সামাজিক বিকাশের চিত্র, যা গ্রামের আত্মপরিচয়কে নতুন করে চিনিয়ে দিচ্ছে।

এই পার্ক আজ শুধু ইশিবপুর নয়, গোটা রাজৈর তথা মাদারীপুর জেলার মানুষের কাছে একটি গর্বের স্থাপনা। এটি বিনোদনের পাশাপাশি গ্রামের অর্থনীতিতেও যুক্ত করেছে নতুন দিগন্ত। আগত পর্যটকদের আনাগোনায় বাড়ছে স্থানীয় ব্যবসা, বেড়েছে পরিচিতি, জেগে উঠেছে এক সম্ভাবনার আলো।

সবশেষে বলা যায়, কুঞ্জলতা ফুড পার্ক শুধুমাত্র একটি পার্ক নয়, এটি একটি গ্রামীণ রেনেসাঁর প্রতীক—যেখানে সৌন্দর্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতার এক অপূর্ব মিলন ঘটে। এ যেন সবুজ ঘাসে লেখা এক কবিতা, শিশুর হাসিতে বাঁধা এক গান, আর গ্রামের মাটিতে আঁকা এক রঙিন স্বপ্ন।