দিনাজপুর সদর উপজেলার বালুবাড়ী শহীদ মিনার মোড়ে অবস্থিত বেসরকারি চেকআপ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নার্গিস বেগম (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মৃত নার্গিস সদর উপজেলার ২ নম্বর সুন্দরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, ২৫ জুলাই ২০২৫ দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার সময় নার্গিস বেগম বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দিনাজপুর শহরের চেকআপ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. মাহবুব মোর্শেদ তমাল, সহযোগী অধ্যাপক, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন এর অধীনে রোগীকে ভর্তি করা হয়।
প্রথমে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় রাখা হলেও, পরে ডাক্তার কর্তৃপক্ষ একটি ইনজেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যার দাম বলা হয় ৮০ হাজার টাকা। স্বজনদের অভিযোগ, তারা না জানিয়ে ইনজেকশন পুশ করে এবং এরপরই রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে। রোগী নিজ পায়ে আইসিইউতে গেলেও ইনজেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ২৬ জুলাই দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্বজনদের দাবি, এটি ভুল চিকিৎসার একটি চরম উদাহরণ এবং তারা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেন। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ প্রকাশে বাধা প্রদান করে এবং বলে, সংবাদ করলেও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা যাবে না।
অন্যদিকে, চেকআপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. তমাল দাবি করেন, রোগী ভর্তি হওয়ার পর থেকে নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (হার্ট ফেল) হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এতে ভুল চিকিৎসার কোনো প্রশ্নই আসে না।
এ বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুজ্জামান জানান, রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্নিত না হয়, সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। স্বজনদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।