ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগত ও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের প্রশ্রয়ে বেপরোয়া
বদলীর ভয় দেখিয়ে অধ:স্তন কর্মকর্তাদের নিকট থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ!
গণপূর্ত অধিদপ্তরের পীর খ্যাত প্রধান প্রকৌশলী শামীম আক্তারের অত্যন্ত আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত সহচর ই-এম সার্কেল-২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দরবেশ খ্যাত মো. কায়কোবাদ। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলমেরও অত্যন্ত বিশ্বস্ত সিপাহসালার ও ক্যাশিয়ার ছিলেন এই কায়কোবাদ। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হলেও তার বিশ্বস্ত সিপাহসালার মো. কায়কোবাদ রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দুর্নীতি দমন কমিশন গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাঘা বাঘা প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করতে পারলেও অদৃশ্য শক্তি ও অবৈধ টাকার প্রভাবে কায়কোবাদ রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশে বিভিন্ন ধরণের তথ্য-উপাত্ত ও দুর্নীতির ফিরিস্তি উঠে এসেছে। অভিযোগ যা কিছুই থাকুক না কেন মো. কায়কোবাদ অত্যন্ত ক্ষমতাধর ও চতুর প্রকৃতির একজন কর্মকর্তা। সবসময়ই তিনি থাকেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
অতি সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে একাধিক গণমাধ্যমে গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তার সময়ের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে তার পদোন্নতি প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী তাকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন করে রেখেছেন। কায়কোবাদ এর কর্মকালীন সময়ের পদোন্নতি, বদলীবাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য ও বিশেষ করে মো. আশরাফুল আলম এর সময়ে অনুসন্ধান ও মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক পদে থাকাকালীন সময়ে তিনি হাতিয়েছে কোটি কোটি টাকা এ অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগীর।
গণপূর্তের রাঘববোয়ালদের অনুসন্ধানে কায়কোবাদের আমলনামার ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় সুবিধাভোগী যে কয়জন প্রকৌশলী রয়েছে তার শীর্ষদের মধ্যে রয়েছে কায়কোবাদের নাম। জুলাই বিপ্লবের পর সুবিধাভোগীদের বদলী ও ঢাকার বাহিরে পদায়ন হলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এর প্রধান কারন বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর আশীর্বাদ।
শুধু তাই নয় এমনও অভিযোগ উঠেছে বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী তার মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে পুরস্কারস্বরূপ তাকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে পদোন্নতির যাবতীয় ভূমিকা রাখছেন।
মো. কায়কোবাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস আওয়ামী ঘরানার। শেরপুরের ১ নং কামারের চর ইউনিয়নে তার গ্রামের বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে ও শেরপুর শহর ঘুরে তার পারিবারিক, রাজনৈতিক ও যাবতীয় তথ্য আমাদের অনুসন্ধানী টিম সংগ্রহ করেছে। একজন ফ্যাসিস্ট এর পৃষ্ঠপোষক ও সুবিধাভোগী কিভাবে জুলাই বিপ্লবের পরেও বহাল তবিয়তে থাকে জুলাই বিপ্লবের আশীর্বাদপুষ্ট বর্তমান গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা তিনি এ ব্যাপারে অবগত কি না সন্দিহান!
গণপূর্ত জুড়ে কানাঘুষা কায়কোবাদের খুঁটির জোর কোথায়?
আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে তার পেশিশক্তি, অনিয়ম, দুর্নীতি, অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ এর অজানা তথ্য উঠে আসবে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 













