এস আলমের গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১০৫টি কোম্পানির ৫১৩ কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
উদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেয়। এসব শেয়ারের মূল্য ৮ হাজার ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৭২ হাজার ৯৫০ টাকা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহসিন মুনাবিল হক এ সব সম্পত্তি অবরুদ্ধ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সত্তা ও সত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, মোহাম্মদ সাইফুল আলমের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে কোম্পানি সমূহে অর্জিত শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।
অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে এ সব সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে পরবর্তীতে টাকা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ জন্য মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১০ ও ১৪ ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর ১৮ ধারার কোম্পানিসমূহের শেয়ার অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে, গত ৯ জুলাই একই আদালত দুর্নীতির অভিযোগে এস আলম গ্রুপ চেয়ারম্যান, তার পরিবার ও সহযোগীদের নামে ৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন।
এস আলম ও অপর অভিযুক্তরা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের এসব অ্যাকাউন্টে মোট ১১৩ কোটি ৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬৮ টাকা জমা রেখেছিলেন।
গত ২৪ জুন একই আদালত সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ও জার্সি দ্বীপে এস আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের মালিকানাধীন বিদেশি সম্পদ জব্দ ও বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।
একই অভিযোগে এর আগে গত ১৭ জুন ২০০ একর অস্থাবর সম্পত্তি, ৯ এপ্রিল প্রায় ৮ হাজার কাঠা অস্থাবর সম্পত্তি, ২৩ এপ্রিল ৯ হাজার ৬৪৬ কাঠা অস্থাবর সম্পত্তি, ৩০ জানুয়ারি ৫৮ একর অস্থাবর সম্পত্তি ও ১৭ এপ্রিল ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রায় ২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা জব্দের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
সারাক্ষণ ডেস্ক 













