ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী। নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর।

চীন দেশী যুবকের সাথে টিকটকে পরিচয়ের সুবাদে প্রেম অতঃপর বিয়ে

  • মোঃ আলী শেখ
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • ১৭৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

ভাষা, সংস্কৃতি আর হাজার মাইল দূরের ব্যবধান-সবকিছুকেই হার মানিয়েছে ভালোবাসা। ধর্ম, জাতি কিংবা জাতীয়তার পার্থক্যও থামাতে পারেনি দুজন মানুষের হৃদয়ের টান। এমনই এক ব্যতিক্রমী প্রেমের গল্প রচিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর এলাকায়।

সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা শিতিয়ানজি নামের এক চীনা যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি মাদারীপুরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়।

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন শিতিয়ানজি নামের এক চীনা যুবক। মাদারীপুরের সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, চার মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সুমাইয়া ও শিতিয়ানজির, পরে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন উইচ্যাটে। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। অবশেষে ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসে শিতিয়ানজি, পরে (২৭ জুলাই) আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে এবং মুসলিম শরিয়াত অনুযায়ী সুমাইয়াকে বিয়ে করেন শিতিয়ানজি। সুমাইয়া আক্তার মাদারীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।

সুমাইয়া আক্তার বলেন, শিতিয়ানজি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার টানেই তিনি চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সুমাইয়া জানান, ভালোবাসার টানে তিনি চীনা ভাষাও শিখেছেন। ভবিষ্যতে স্বামীর সঙ্গে চীনে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের মাঝেও দেখা গেছে ব্যাপক কৌতূহল ও উৎসাহ।

চীনা নাগরীক শিতিয়ানজি বলেন, আমি সুমাইয়াকে ভালবেসে চীন থেকে এসেছি, সুমাইয়া অনেক ভাল মেয়ে। বাংলাদেশের পরিবেশ আমার খুব ভাল লেগেছে, তবে এদেশে গরম অনেক বেশি। আর ভবিষ্যতে সুমাইয়াকে আমি চীনে নিয়ে যাবো।

  1. নেটিজেনরা অনেকেই এ বিয়েকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।এখন দেখার পালা ভিনদেশী কপোত কপোতীর দাম্পত্য জীবন কেমন কাটে! এ নিয়ে নেটিজেনরা করেছেন অবিমিশ্র মন্তব্য ।তবে আমাদের আশা নব দম্পতির আগামীর জীবন কাটুক রঙ তুলির আঁচড়ে আঁকা স্বপ্নময় রঙিন দুনিয়ার মতো।
Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী।

চীন দেশী যুবকের সাথে টিকটকে পরিচয়ের সুবাদে প্রেম অতঃপর বিয়ে

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

ভাষা, সংস্কৃতি আর হাজার মাইল দূরের ব্যবধান-সবকিছুকেই হার মানিয়েছে ভালোবাসা। ধর্ম, জাতি কিংবা জাতীয়তার পার্থক্যও থামাতে পারেনি দুজন মানুষের হৃদয়ের টান। এমনই এক ব্যতিক্রমী প্রেমের গল্প রচিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর এলাকায়।

সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসা শিতিয়ানজি নামের এক চীনা যুবকের সঙ্গে সম্প্রতি মাদারীপুরের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়।

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন শিতিয়ানজি নামের এক চীনা যুবক। মাদারীপুরের সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে মুসলিম রীতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, চার মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সুমাইয়া ও শিতিয়ানজির, পরে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন উইচ্যাটে। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। অবশেষে ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসে শিতিয়ানজি, পরে (২৭ জুলাই) আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করে এবং মুসলিম শরিয়াত অনুযায়ী সুমাইয়াকে বিয়ে করেন শিতিয়ানজি। সুমাইয়া আক্তার মাদারীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং উপজেলার মহিষেরচর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।

সুমাইয়া আক্তার বলেন, শিতিয়ানজি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার টানেই তিনি চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। সুমাইয়া জানান, ভালোবাসার টানে তিনি চীনা ভাষাও শিখেছেন। ভবিষ্যতে স্বামীর সঙ্গে চীনে যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি। বিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের মাঝেও দেখা গেছে ব্যাপক কৌতূহল ও উৎসাহ।

চীনা নাগরীক শিতিয়ানজি বলেন, আমি সুমাইয়াকে ভালবেসে চীন থেকে এসেছি, সুমাইয়া অনেক ভাল মেয়ে। বাংলাদেশের পরিবেশ আমার খুব ভাল লেগেছে, তবে এদেশে গরম অনেক বেশি। আর ভবিষ্যতে সুমাইয়াকে আমি চীনে নিয়ে যাবো।

  1. নেটিজেনরা অনেকেই এ বিয়েকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।এখন দেখার পালা ভিনদেশী কপোত কপোতীর দাম্পত্য জীবন কেমন কাটে! এ নিয়ে নেটিজেনরা করেছেন অবিমিশ্র মন্তব্য ।তবে আমাদের আশা নব দম্পতির আগামীর জীবন কাটুক রঙ তুলির আঁচড়ে আঁকা স্বপ্নময় রঙিন দুনিয়ার মতো।