ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী। নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর।

গরীব ও দুস্থদের সাহায্যের কার্ড বন্টনে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ।মুখ খুললেন মহিলা সদস্য

সসপঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) বা ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ ও বিতরণে অনিয়ম এবং ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার্ড বিতরণের অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১, ২ ও ৩) ইউপি সদস্য লাভলী আক্তার।

তিনি বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ইউনিয়নের ২৭৫টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান এবং ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জুয়েল নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে কার্ড বিতরণ করছেন।

লাভলী আক্তার অভিযোগ করেন, তিনি তার ওয়ার্ডের দুই অসহায় নারীর জন্য সুপারিশ করতে গেলে মামুনুর রশিদ জুয়েল তাকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। নিরুপায় হয়ে তিনি অর্থ প্রদান করেন এবং তাকে দুটি কার্ড দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তাছাড়া অন্যান্যদের কাছ থেকেও টাকা ও চাল নিয়ে কার্ড দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ভ্যানচালক আয়নাল হক বলেন, ভিজিডি কার্ডের জন্য জুয়েল মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। মহিলা মেম্বারদের সামনেই আমি টাকা দেই।

আরও এক ভুক্তভোগী ফাতেমা বলেন, মেম্বার আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ও এক বস্তা চাল নিয়েছেন। পরবর্তীতে পাঁচ বস্তা চাল আসলে সেখান থেকেও এক বস্তা রেখে দেন। পরে সবার সামনে অভিযোগ করলে সেটা ফেরত দেন।

স্থানীয় কৃষি শ্রমিক মহব্বত আলী বলেন, আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। টাকা না দিলে কার্ড পাওয়া যায় না। যারা টাকা দেয় তারাই পায়।

স্থানীয় বাসিন্দা বীরেন ও বিধবা রহিমা বেগম বলেন, প্রকৃত অসহায় হয়েও তারা টাকা না দিতে পারায় কার্ড পাননি।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জুয়েল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে আমি পরিষদে যেতে না পারি।

তবে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার নজির বলেন, একজন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী।

গরীব ও দুস্থদের সাহায্যের কার্ড বন্টনে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ।মুখ খুললেন মহিলা সদস্য

আপডেট সময় : ০৯:০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

সসপঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) বা ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ ও বিতরণে অনিয়ম এবং ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বাদ দিয়ে পছন্দের লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার্ড বিতরণের অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১, ২ ও ৩) ইউপি সদস্য লাভলী আক্তার।

তিনি বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, ইউনিয়নের ২৭৫টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ ও সঠিকভাবে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও, ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমান এবং ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জুয়েল নিজেদের মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে কার্ড বিতরণ করছেন।

লাভলী আক্তার অভিযোগ করেন, তিনি তার ওয়ার্ডের দুই অসহায় নারীর জন্য সুপারিশ করতে গেলে মামুনুর রশিদ জুয়েল তাকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। নিরুপায় হয়ে তিনি অর্থ প্রদান করেন এবং তাকে দুটি কার্ড দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তাছাড়া অন্যান্যদের কাছ থেকেও টাকা ও চাল নিয়ে কার্ড দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ভ্যানচালক আয়নাল হক বলেন, ভিজিডি কার্ডের জন্য জুয়েল মেম্বারকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। মহিলা মেম্বারদের সামনেই আমি টাকা দেই।

আরও এক ভুক্তভোগী ফাতেমা বলেন, মেম্বার আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ও এক বস্তা চাল নিয়েছেন। পরবর্তীতে পাঁচ বস্তা চাল আসলে সেখান থেকেও এক বস্তা রেখে দেন। পরে সবার সামনে অভিযোগ করলে সেটা ফেরত দেন।

স্থানীয় কৃষি শ্রমিক মহব্বত আলী বলেন, আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। টাকা না দিলে কার্ড পাওয়া যায় না। যারা টাকা দেয় তারাই পায়।

স্থানীয় বাসিন্দা বীরেন ও বিধবা রহিমা বেগম বলেন, প্রকৃত অসহায় হয়েও তারা টাকা না দিতে পারায় কার্ড পাননি।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ জুয়েল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে আমি পরিষদে যেতে না পারি।

তবে ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তইবুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার নজির বলেন, একজন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।