ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

বিবাহকে প্রতারণার ফাঁদ বানিয়ে নবম বিয়ের সময় প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার।

আগে করেছেন ৮ বিয়ে, নবম বিয়ের চেষ্টার সময় নারীকে গ্রেপ্তার।এক নয়, দুই নয়, তিনও নয়…. আট আটবার বিয়ে করেছেন তিনি। চেষ্টা করছিলেন নবম বিয়ে করার। তবে তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে।বিয়ে করে ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নারীর নাম সামিরা ফাতিমা। তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি তার পরবর্তী টার্গেট খুঁজছিলেন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এ নারী ধনী পুরুষদের টার্গেট করে বিয়ে করতেন। এরপর তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তিনি তার স্বামীদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।

প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, সামিরা ফাতেমা একটি সংঘবদ্ধ গ্যাংয়ের সদস্য। তিনি ওই গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে তার বিভিন্ন স্বামীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো সামিরা শিক্ষিত এবং পেশায় একজন শিক্ষিকা। তা সত্ত্বেও তিনি এমন প্রতারণামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন।

পুলিশের আশঙ্কা, গত ১৫ বছর ধরে হয়ত তিনি অনেককে নিজের ভিকটিম বানিয়েছেন। এরমধ্যে নিজের এক স্বামীর কাছ থেকে তিনি ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত নিয়েছেন। আরেকজনের থেকে ১৫ লাখ রুপি পাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সামিরা বিয়ে বিষয়ক ওয়েবসাইট এবং ফেসবুকে নিজের ‘শিকারি’ খুঁজে বেড়াতেন। কাউকে পেয়ে গেলে তাকে আবেগপূর্ণ কথাবার্তা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলতেনন। নিজেকে তিনি সন্তানসহ ডিভোর্সী নারী হিসেবে আখ্যা দিয়ে টার্গেট করা পুরুষকে নিজের আয়ত্ত্বে নিয়ে আসতেন।

ভয়াবহ প্রতারণা করা এ নারীকে গত ২৯ জুলাই নাগপুরের একটি চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

বিবাহকে প্রতারণার ফাঁদ বানিয়ে নবম বিয়ের সময় প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার।

আপডেট সময় : ১০:৩৩:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

আগে করেছেন ৮ বিয়ে, নবম বিয়ের চেষ্টার সময় নারীকে গ্রেপ্তার।এক নয়, দুই নয়, তিনও নয়…. আট আটবার বিয়ে করেছেন তিনি। চেষ্টা করছিলেন নবম বিয়ে করার। তবে তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে।বিয়ে করে ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে তিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নারীর নাম সামিরা ফাতিমা। তাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন তিনি তার পরবর্তী টার্গেট খুঁজছিলেন।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এ নারী ধনী পুরুষদের টার্গেট করে বিয়ে করতেন। এরপর তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। তিনি তার স্বামীদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।

প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, সামিরা ফাতেমা একটি সংঘবদ্ধ গ্যাংয়ের সদস্য। তিনি ওই গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে তার বিভিন্ন স্বামীর কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো সামিরা শিক্ষিত এবং পেশায় একজন শিক্ষিকা। তা সত্ত্বেও তিনি এমন প্রতারণামূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন।

পুলিশের আশঙ্কা, গত ১৫ বছর ধরে হয়ত তিনি অনেককে নিজের ভিকটিম বানিয়েছেন। এরমধ্যে নিজের এক স্বামীর কাছ থেকে তিনি ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত নিয়েছেন। আরেকজনের থেকে ১৫ লাখ রুপি পাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

সামিরা বিয়ে বিষয়ক ওয়েবসাইট এবং ফেসবুকে নিজের ‘শিকারি’ খুঁজে বেড়াতেন। কাউকে পেয়ে গেলে তাকে আবেগপূর্ণ কথাবার্তা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলতেনন। নিজেকে তিনি সন্তানসহ ডিভোর্সী নারী হিসেবে আখ্যা দিয়ে টার্গেট করা পুরুষকে নিজের আয়ত্ত্বে নিয়ে আসতেন।

ভয়াবহ প্রতারণা করা এ নারীকে গত ২৯ জুলাই নাগপুরের একটি চায়ের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।