সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার পুরাতন ভাঙাবাড়ি ও নতুন ভাঙাবাড়ী মহল্লার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এই উত্তেজনার ফলশ্রুতিতে তিনদিন ধরে চলমান সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এলাকাবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধের কারণেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার মধ্যে বিরোধ ছিল দীর্ঘদিনের। এ বিরোধের জেরে শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তা দিনভর চলতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় তিনদিন ধরে দুই গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বাড়ি ঘরে হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এই সংঘর্ষের কারণে শহর জুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ সময় বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হেলমেট, লাঠিসোঁটা ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সেনাবাহিনী ১১ পদাতিক ডিভিশন সূত্র সারাক্ষণ বার্তাকে জানায়,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামীতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনীর অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয়রা।
অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে প্রশাসন। শুক্রবার রাতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযানকালে ৫জন আটক করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র।
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তৎপর রয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, এই সংঘর্ষের ফলে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। অনেকেই বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় টহল জোরদার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের বিরোধের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের জন্য প্রশাসনের আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। পাশাপাশি, স্থানীয় সমাজকর্মী এবং নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে।
এই ঘটনার ফলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের কড়া নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা।