অবৈধ সম্পদ,সরকারী টাকা আত্মসাৎ, তদবির ও দালালীর অভিযোগে মাদারীপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা।মাদারীপুর তরমুগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকার জমি ক্রয় (অবৈধ সম্পদ),শিক্ষকদের সাথে গালাগালি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নয়মূলক কাজের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎসহ বিদ্যালয় চলাকালীন বাহিরে ঘোরাঘুরি বিভিন্ন তদবীর ও দালালির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এবিষয়ে তাকে গত ৭ আগষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা সাক্ষরিত একটি স্মারক প্রদান করা হয়েছে।সেখানে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(ঘ) বিধিমতে “অসদাচরণ” ও “দুর্নীতি” এর দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
এছাড়াও উল্লেখিত অপরাধের দায়ে তাকে কেন চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা বা উপযুক্ত দন্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
শিক্ষক মনিরুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিচে তুলে ধরা হলো:
★তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে উপজেলা চত্তর, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অযথা ঘুরাফেরা করে বিভিন্ন তদবীর ও দালালী কাজে ব্যস্ত থাকেন।
★তিনি নিজে শ্রেণি পাঠদান করেন না এবং সহকারী শিক্ষকদের শ্রেণি পাঠদান পর্যবেক্ষন করেন না।
★তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নয়মূলক কাজের বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেছেন।
★তিনি সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
★তিনি কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে মাদারীপুর সদর উপজেলায় দুই দাগে খতিয়ান নং ২৪৩ মৌজা নং ১১১ ও খতিয়ান নং ১৮৫৯ মৌজা নং ১১০ যথাক্রমে ০.০৫ একর ৬০.০৫ একর জমি ক্রয় করেছেন যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২.৫ কোটি টাকা। যা তার আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ। সারাক্ষণ বার্তার প্রতিনিধি তার অঢেল সম্পদের বিবরণ জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।