আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ এ ডাকসুর নির্বাচনী ফলাফল বিএনপির ভোটে কোন প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, মাদারীপুর জেলা বিএনপির কৃষক দলের আহ্বায়ক ও তিতুমির কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. অলিউর রহমান দর্জি। ভবিষ্যতেও তিনি অবহেলিত, নির্যাতিত
সাধারণ জনগনের পাশে থেকে দলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবেন।
তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি)-র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে ও আপোষহীণ দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দিক নির্দেশনায় শহর-গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটি কাজ করে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে তৃনমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের মন জয় করতে হাতে নিয়েছে নানা মুখী কার্যক্রম। বিএনপি অনেক বড় এবং সুসংগঠিত একটি রাজনৈতিক দল হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে অন্য দলগুলো খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। মাদারীপুর জেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরাও মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন-২০২৫ এর ফলাফল ঘিরে বিভিন্ন মানুষের আলাদা মতামত রয়েছে। বর্তমানে অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা ও বিএনপি একটি বড় দল হওয়ায় যে কয়েকটি বিচ্ছিন্য ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়গুলো নিয়েও দলের ভেতর কাজ চলছে। এবং তারেক রহমান তার বক্তব্যের মাধ্যম্যে প্রতিনিয়ত সকল নেতা-কর্মীকে সতর্ক করছেন।
তবে, মাঠের রাজনীতিতে কেন্দ্র-তৃণমুল পর্যায়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চাইতে বিএনপির অনেক বেশি জনপ্রিয়। তাই জনগনের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে সকলে ধানের শীষে ভোট দেবে এবং নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে। সেই লক্ষে, সারা বাংলাদেশে লাখ লাখ নেতা-কর্মী-সমর্থক দলের সমর্থন বাড়াতে শহর-গ্রামে এবং প্রতিটি ওয়ার্ড-পাড়া-মহল্লায় কাজ করে যাচ্ছে।
সেই লক্ষে মাদারীপুর জেলা বিএনপির যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, স্বেচ্ছাসেবক দল সহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনগুলোও শিক্ষিত, সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। যা একটি দূর্ণীতিমুক্ত সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে যে সকল নির্বাচনে জনগন তার ভোটাধিকার স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছে, সে সকল নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছে এবং দীর্ঘ সময় সরকার পরিচালনা করেছেন। এ সময়ে দেশের সাধারন জনগন স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপন করেছে।
স্বৈরাচার সরকার রাতের ভোটে জনগনের সাথে প্রতারণা করেছে। অবৈধ ক্ষমতা ও রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করেও বিএনপিকে দমাতে পারে নি। বিগত ১৬ বছর গুম, খুন, জেল, জুলুম, অত্যাচারে সর্বশ্য হাড়িয়েছে অনেক নেতা-কর্মী। তারপরও বিএনপিকে রাজপথ থেকে সরাতে পারে নি। অত্যাচার সহ্য করেই ছাত্র জনতার গনআন্দোলনের চাপে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে। এদেশের মানুষ অধিকার আদায়ে সোচ্চার। সেদিক লক্ষ্য রেখেই আগামীতে সরকার পরিচালনা করবে বিএনপি এবং দূর্ণীতি মুক্ত হলে বাংলাদেশ দেশ হবে সুখী ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ।