ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি।

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৩৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষ করে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ।আর দুদিন পরই বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষ করে এখন চলছে রঙতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ। পাশাপাশি চলছে সাজসজ্জা। এসব কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর মৃৎশিল্পীরা। সেইসঙ্গে সাজানো হচ্ছে পূজামণ্ডপগুলো।

পুরোহিতরা বলছেন, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। মহালয়ায় দেবী দুর্গার ঘট বসানো হয়। ঘট বসানোর মাধ্যমে দেবী দুর্গা বেলতলায় অবস্থান নেন। অর্থাৎ কৈলাস (স্বর্গলোক) থেকে মর্ত্যে (বেলতলায়) আসবেন দেবী দুর্গা। এবার দেবী দুর্গার আসার বাহন হবে গজ (হাতি), যা শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর বিদায় হবে দোলায় (পালকি), যা অশুভ লক্ষণ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশ  পূজা উদযাপন ফ্রন্ট মাদারীপুর জেলা নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এবার মাদারীপুরে ৪৪৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদরে ৭১টি, রাজৈরে ২৬৩টি, ডাসারে ১৯টি, কালকিনিতে ৪৬টি, শিবচরে ৪৩টি মোট ৪৪৩টি মণ্ডপে পূজা হবে। এ নিয়ে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মাঝে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দুর্গাপূজা ঘিরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা সাজিয়ে তোলার কাজ। পাশাপাশি চলছে আলোকসজ্জার কাজও।

মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গাদেবীর প্রতিমার সঙ্গে শোভা পাচ্ছে গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুর, সিংহ, মহিষ, মহাদেব ও কার্তিকের প্রতিমা। বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমায় রংসহ অন্যান্য কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা।ব্যস্ত সময় পার করছেন মাদারীপুরের মৃৎশিল্পীরা

 

জেলা সদরের একটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিসহ অন্যান্য কাজ করছেন কারিগর অতুল চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে পাটের আঁশ, কাদামাটি, খড়, কাঠ, রশি আর বাঁশ দিয়ে প্রতিমাগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রতিমা নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখন চলছে রংতুলি ও সাজসজ্জার কাজ।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু বলেন, ‘আমাদের মন্দিরে গতবারের চেয়ে এবার জাঁকজমকভাবে উদযাপন হবে দুর্গাপূজা। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ। পাশাপাশি পুরো মণ্ডপ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করছি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গাপূজার মণ্ডপে মণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে  জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আমাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হবে।’

একই কথা বলেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট রাজৈর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব সনজীব কুমার দাস। তিনি বলেন, ‘গত জুলাই মাস থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এখন নকশা ও রং লাগিয়ে সুসজ্জিত করা হচ্ছে প্রতিমাগুলো। পাশাপাশি মণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।’

মৃধাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর শ্রীশ্রী দুর্গাষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমেই মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গাপূজা শুরু হবে। সেদিন দেবী দুর্গার ষষ্ঠাদি কল্পনারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা হবে। সেইসঙ্গে হবে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। দুর্গোৎসবে ২৯ সেপ্টেম্বর হবে মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে পূজা শেষ হবে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্গোৎসব উদযাপনে মণ্ডপে মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যলায় থেকে থানাপর্যায়ে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ খান বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গোৎসব উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকছে। যাতে নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজা উপযাপন করতে পারেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।’

জেলা পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হোসেন  বলেন, ‘দুর্গাপূজা ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিদের নিয়ে জরুরি সভা করে প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’

 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন ‘এ বছর দুর্গোৎসব উপলক্ষে সরকারিভাবে জেলার মণ্ডপে মণ্ডপে প্রায় ২২৩  মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি মন্ডপের সভাপতির হাতে ৫০০ কেজি চাউল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু। কোনো ঝামেলা ছাড়াই এবছর পূজারীবৃন্দ সরকারি অনুদান হাতে পেয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি অপর্ণা রায় দাস ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসু অনুদান বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি।

আপডেট সময় : ১২:৪১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষ করে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ।আর দুদিন পরই বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি শেষ করে এখন চলছে রঙতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ। পাশাপাশি চলছে সাজসজ্জা। এসব কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর মৃৎশিল্পীরা। সেইসঙ্গে সাজানো হচ্ছে পূজামণ্ডপগুলো।

পুরোহিতরা বলছেন, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গোৎসবের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। মহালয়ায় দেবী দুর্গার ঘট বসানো হয়। ঘট বসানোর মাধ্যমে দেবী দুর্গা বেলতলায় অবস্থান নেন। অর্থাৎ কৈলাস (স্বর্গলোক) থেকে মর্ত্যে (বেলতলায়) আসবেন দেবী দুর্গা। এবার দেবী দুর্গার আসার বাহন হবে গজ (হাতি), যা শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর বিদায় হবে দোলায় (পালকি), যা অশুভ লক্ষণ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশ  পূজা উদযাপন ফ্রন্ট মাদারীপুর জেলা নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এবার মাদারীপুরে ৪৪৩টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদরে ৭১টি, রাজৈরে ২৬৩টি, ডাসারে ১৯টি, কালকিনিতে ৪৬টি, শিবচরে ৪৩টি মোট ৪৪৩টি মণ্ডপে পূজা হবে। এ নিয়ে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মাঝে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দুর্গাপূজা ঘিরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা সাজিয়ে তোলার কাজ। পাশাপাশি চলছে আলোকসজ্জার কাজও।

মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গাদেবীর প্রতিমার সঙ্গে শোভা পাচ্ছে গণেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুর, সিংহ, মহিষ, মহাদেব ও কার্তিকের প্রতিমা। বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমায় রংসহ অন্যান্য কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা।ব্যস্ত সময় পার করছেন মাদারীপুরের মৃৎশিল্পীরা

 

জেলা সদরের একটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিসহ অন্যান্য কাজ করছেন কারিগর অতুল চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে পাটের আঁশ, কাদামাটি, খড়, কাঠ, রশি আর বাঁশ দিয়ে প্রতিমাগুলো তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রতিমা নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখন চলছে রংতুলি ও সাজসজ্জার কাজ।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু বলেন, ‘আমাদের মন্দিরে গতবারের চেয়ে এবার জাঁকজমকভাবে উদযাপন হবে দুর্গাপূজা। ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রংতুলির আঁচড়ে সাজিয়ে নেওয়ার কাজ। পাশাপাশি পুরো মণ্ডপ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করছি আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গাপূজার মণ্ডপে মণ্ডপে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে  জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে আমাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হবে।’

একই কথা বলেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট রাজৈর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব সনজীব কুমার দাস। তিনি বলেন, ‘গত জুলাই মাস থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। এখন নকশা ও রং লাগিয়ে সুসজ্জিত করা হচ্ছে প্রতিমাগুলো। পাশাপাশি মণ্ডপের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।’

মৃধাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু বলেন, ‘২৮ সেপ্টেম্বর শ্রীশ্রী দুর্গাষষ্ঠী অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমেই মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গাপূজা শুরু হবে। সেদিন দেবী দুর্গার ষষ্ঠাদি কল্পনারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা হবে। সেইসঙ্গে হবে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। দুর্গোৎসবে ২৯ সেপ্টেম্বর হবে মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে পূজা শেষ হবে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুর্গোৎসব উদযাপনে মণ্ডপে মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কার্যলায় থেকে থানাপর্যায়ে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ খান বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও দুর্গোৎসব উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকছে। যাতে নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজা উপযাপন করতে পারেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা।’

জেলা পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হোসেন  বলেন, ‘দুর্গাপূজা ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিদের নিয়ে জরুরি সভা করে প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।’

 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন ‘এ বছর দুর্গোৎসব উপলক্ষে সরকারিভাবে জেলার মণ্ডপে মণ্ডপে প্রায় ২২৩  মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিটি মন্ডপের সভাপতির হাতে ৫০০ কেজি চাউল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গৌরাঙ্গ বসু। কোনো ঝামেলা ছাড়াই এবছর পূজারীবৃন্দ সরকারি অনুদান হাতে পেয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি অপর্ণা রায় দাস ও সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসু অনুদান বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।