ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী। নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর।

টাঙ্গাইল ডিসি অফিসের কর্মচারী সরোয়ারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, দুদকে তদন্তের আবেদন।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের কর্মচারী সরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কোদালিয়া এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া, যিনি স্থানীয় জুলহাস মিয়ার ছেলে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বল্প বেতনের চাকরিজীবী হয়েও সরোয়ার হোসেন অস্বাভাবিকভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখায় সিএ (নাজির কাম ক্যাশিয়ার) পদে কর্মরত আছেন।

সূত্র জানায়, সরেজমিনে তদন্তে উঠে এসেছে তার নামে ও বেনামে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং জমি। অভিজাত এলাকা সাবালিয়ায় রয়েছে বিলাসবহুল বাসা, বিলঘারিন্দা এলাকায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট বুকিং, এবং হাজারাঘাট এলাকায় রয়েছে মূল্যবান জমি। অভিযোগকারীর দাবি অনুযায়ী, এই সম্পত্তিগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি রয়েছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ।

এছাড়া অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, সরোয়ার হোসেন স্থানীয় পৌরসভার জন্মসনদ দালাল চক্রের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে অবৈধ জন্মসনদ বানিজ্যে জড়িত। সরকারি ফাইল অনুমোদন, চাকরি প্রদান, লাইসেন্স ইস্যু এসব ক্ষেত্রে তিনি কমিশন বানিজ্য করেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।

সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি হলো, সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেনের ছত্রছায়ায় সরোয়ার হোসেন ‘এসটিএলএস’ নামক একটি অনলাইন জুয়ার প্রতিষ্ঠানের টাঙ্গাইল অঞ্চলের মূল হোতা হিসেবে কাজ করছেন, যা যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

অভিযোগকারী আলম মিয়া জানান, আমি দুদকের ওপর এখনও আস্থা রাখি। তবে বর্তমানে ফ্যাসিস্ট আমলের মত দুদকের নির্লিপ্ত আচরণে সাধারণ জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। আশা করি, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সরোয়ার হোসেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে তদন্ত শুরু করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী।

টাঙ্গাইল ডিসি অফিসের কর্মচারী সরোয়ারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ, দুদকে তদন্তের আবেদন।

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের কর্মচারী সরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ১০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কোদালিয়া এলাকার বাসিন্দা আলম মিয়া, যিনি স্থানীয় জুলহাস মিয়ার ছেলে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, স্বল্প বেতনের চাকরিজীবী হয়েও সরোয়ার হোসেন অস্বাভাবিকভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখায় সিএ (নাজির কাম ক্যাশিয়ার) পদে কর্মরত আছেন।

সূত্র জানায়, সরেজমিনে তদন্তে উঠে এসেছে তার নামে ও বেনামে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং জমি। অভিজাত এলাকা সাবালিয়ায় রয়েছে বিলাসবহুল বাসা, বিলঘারিন্দা এলাকায় রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট বুকিং, এবং হাজারাঘাট এলাকায় রয়েছে মূল্যবান জমি। অভিযোগকারীর দাবি অনুযায়ী, এই সম্পত্তিগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৯ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি রয়েছে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ।

এছাড়া অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, সরোয়ার হোসেন স্থানীয় পৌরসভার জন্মসনদ দালাল চক্রের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে অবৈধ জন্মসনদ বানিজ্যে জড়িত। সরকারি ফাইল অনুমোদন, চাকরি প্রদান, লাইসেন্স ইস্যু এসব ক্ষেত্রে তিনি কমিশন বানিজ্য করেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।

সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগটি হলো, সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেনের ছত্রছায়ায় সরোয়ার হোসেন ‘এসটিএলএস’ নামক একটি অনলাইন জুয়ার প্রতিষ্ঠানের টাঙ্গাইল অঞ্চলের মূল হোতা হিসেবে কাজ করছেন, যা যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

অভিযোগকারী আলম মিয়া জানান, আমি দুদকের ওপর এখনও আস্থা রাখি। তবে বর্তমানে ফ্যাসিস্ট আমলের মত দুদকের নির্লিপ্ত আচরণে সাধারণ জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। আশা করি, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সরোয়ার হোসেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে তদন্ত শুরু করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।