ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
জালিয়াতির চক্রে রাজউক।নথি জালিয়াতিতে জড়িত রাজউকের বিশেষ চক্রের সাথে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ। লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ–ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার উখিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ আরাকান আর্মির এক সদস্যের আত্মসমর্পণ নিজের বাল্যবিবাহ নিজেই বন্ধ করল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিতু চিরিরবন্দরে বিআরটিসি বাস খাদে, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা আউলিয়াপুরে শিশু ও যুব ফোরামের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি মাদারীপুর রাজৈর থানা হেফাজত হতে মাদক মামলায় অভিযুক্ত আসামির পলায়ন। উলিপুরে ৫ বছরের কন্যাশিশুকে ধ’র্ষণের অভিযোগে ব্যক্তি গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির খান গ্রেফতার চিরিরবন্দর বিন্যাকুড়ি ইছামতী নদীতে ৮ বছর বয়সী শিশুর নদীতে পড়ে মৃত্যু

সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ রিনা খাতুন হত্যা মামলা: দুই সপ্তাহেও গ্রেপ্তার হয়নি প্রধান আসামি, ক্ষোভে স্বজনেরা।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামের আলোচিত গৃহবধূ রিনা খাতুন (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ কাউকেই এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দুই সপ্তাহ আগে, কিন্তু অভিযুক্তরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে নিহতের পরিবার চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

পুলিশ বলছে, তদন্ত ও গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতির তদন্তে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

গত ২৩ জুলাই মহেশপুর গ্রামের আসাদুল মন্ডলের স্ত্রী রিনা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

রিনার বড় ভাই আছাদুল আকন্দ জানান, প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে রিনার বিয়ে হয় আসাদুল মন্ডলের সাথে। প্রথমদিকে সংসার ভালো চললেও বিয়ের দশ বছর পর থেকে আসাদুল অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং পরিবারের প্রতি অবহেলা করতে থাকেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২৩ জুলাই স্বামীর বসতবাড়ির ৪ শতাংশ জমি বিক্রির বিরোধিতা করলে আসাদুল ক্ষিপ্ত হয়ে রিনাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সহায়তায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

২৪ জুলাই আছাদুল আকন্দ উল্লাপাড়া মডেল থানায় আসাদুল মন্ডলসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন—আছাদুল মন্ডল (৪৮), শহিদুল মন্ডল (৫৫), জলিল মন্ডল (৫৮), জিহানুর বেগম (৫০), জেলহক (৩২), রাকিব (২০) এবং মেরজাহান (৫৫)।

তবে আজ পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নিয়ামুল হক জানিয়েছেন, “পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া যায়নি, তবে আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।”

উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, মামলাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্ত চলছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা নারী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। নিহতের স্বজনেরা পুলিশের ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

 

আইন ও বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে তারা আশা করছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। তবে এই ঘটনা নারীর নিরাপত্তা ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে সামনে এনেছে।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

জালিয়াতির চক্রে রাজউক।নথি জালিয়াতিতে জড়িত রাজউকের বিশেষ চক্রের সাথে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ।

সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ রিনা খাতুন হত্যা মামলা: দুই সপ্তাহেও গ্রেপ্তার হয়নি প্রধান আসামি, ক্ষোভে স্বজনেরা।

আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মহেশপুর গ্রামের আলোচিত গৃহবধূ রিনা খাতুন (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ কাউকেই এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দুই সপ্তাহ আগে, কিন্তু অভিযুক্তরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে নিহতের পরিবার চরম হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

পুলিশ বলছে, তদন্ত ও গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ধীরগতির তদন্তে আসামিরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

গত ২৩ জুলাই মহেশপুর গ্রামের আসাদুল মন্ডলের স্ত্রী রিনা খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়।

রিনার বড় ভাই আছাদুল আকন্দ জানান, প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে রিনার বিয়ে হয় আসাদুল মন্ডলের সাথে। প্রথমদিকে সংসার ভালো চললেও বিয়ের দশ বছর পর থেকে আসাদুল অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং পরিবারের প্রতি অবহেলা করতে থাকেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২৩ জুলাই স্বামীর বসতবাড়ির ৪ শতাংশ জমি বিক্রির বিরোধিতা করলে আসাদুল ক্ষিপ্ত হয়ে রিনাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সহায়তায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

২৪ জুলাই আছাদুল আকন্দ উল্লাপাড়া মডেল থানায় আসাদুল মন্ডলসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন—আছাদুল মন্ডল (৪৮), শহিদুল মন্ডল (৫৫), জলিল মন্ডল (৫৮), জিহানুর বেগম (৫০), জেলহক (৩২), রাকিব (২০) এবং মেরজাহান (৫৫)।

তবে আজ পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি মো. নিয়ামুল হক জানিয়েছেন, “পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়া যায়নি, তবে আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।”

উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, মামলাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্ত চলছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা নারী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। নিহতের স্বজনেরা পুলিশের ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

 

আইন ও বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে তারা আশা করছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। তবে এই ঘটনা নারীর নিরাপত্তা ও পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে সামনে এনেছে।