সম্প্রতি এক আলোচনায় ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মন্ত্রীর যোগ্যতা নিয়ে মন্তব্য করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক প্রতিক্রিয়ায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাবেক ছাত্রনেতা অভিযোগ করেন, কোনো রাজনৈতিক অর্জন ছাড়াই পার্থ সাহেব ওয়েস্টিনে যেতে পারবেন; কিন্তু গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে হাসিনা ও আওয়ামীমুক্ত করে নতুন সরকার গঠন করে সেই সরকারের দুইটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও আসিফ সাহেব ওয়েস্টিনে যেতে পারবেন না যেতে হলে পার্থ সাহেবদের ক্লিয়ারেন্স লাগবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র থেকে ছাত্রনেতা হয়ে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া একটি বিরল অর্জন, যা অনেকের সহ্য হয় না। তার দাবি, সমস্যা হলো কোনো পারিবারিক লিগ্যাসি ছাড়া একজন ছাত্রনেতা বাংলাদেশের মন্ত্রী হয়েছেন, সেটি মেনে নিতে না পারাই মূল সংকট।
প্রতিক্রিয়ায় তিনি রাজনৈতিক পরিবারতন্ত্রের সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ ছেলেমেয়েরা কেন রাষ্ট্র চালাবে? রাষ্ট্র চালাবেন পার্থ সাহেবের বাবা, আর পারিবারিক সূত্রে পার্থ সাহেব।
এছাড়া তিনি অতীতের আন্দোলন-সংগ্রামের উদাহরণ টেনে বলেন, নব্বইয়ের মতো আন্দোলনগুলোতে ছাত্রদের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও ক্ষমতায় ভাগ পায় রাজনৈতিক দল ও তাদের সন্তানরা, কিন্তু আন্দোলনকারী ছাত্ররা বঞ্চিত থাকে।
প্রতিক্রিয়ার শেষে তিনি পার্থ সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার বক্তব্যে দগদগে শ্রেণিঘৃণা। কিন্তু আপনাদের শ্রেণি উত্তরণ কিভাবে ঘটেছে, সেটি খুঁজলে অনেক অপ্রিয় সত্য বের হয়ে আসবে।