শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক ইত্তেফাকের উপজেলা সংবাদদাতা মো. খোরশেদ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তার তিনজনকে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া এলাকার মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. কোরবান আলী ও মো. আব্দুস ছামাদ। শনিবার দিবাগত রাতে গোমড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে শনিবার রাতে হামলার ঘটনায় আহত সাংবাদিক খোরশেদ আলমের ছোট ভাই মো. হুমায়ুন খান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় গোমড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও আন্তঃজেলা চোরাকারবারী মো. রাসেল মিয়াসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকেও আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি রাসেল মাদক ও চোরাচালান চক্রের প্রধান এবং নিজ এলাকায় অবৈধ অস্ত্রধারী “রাসেল বাহিনী”র নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদক ব্যবসা দিন দিন বেড়ে গেলেও স্থানীয়রা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। এ বিষয়ে সাংবাদিক খোরশেদ আলম তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ইত্তেফাকসহ একাধিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
এর জের ধরে গত শুক্রবার রাতে সন্ধ্যাকুড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে খোরশেদ আলমের ওপর রাসেল ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন বলেন, গতকাল মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।