রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সিবাজার সংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে এলাকার বহু বসতবাড়ি, ফসলি জমি, কবরস্থান ও ঈদগাহ মাঠ হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয়রা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
ভাঙন রোধে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে। কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে প্রায় ৬,৩৭০ বস্তা জিওব্যাগ নদীর তীরে ফেলা হয়েছে। প্রতিটি বস্তার ওজন ২৫০ কেজি। এসব বস্তা একের পর এক ফেলা হচ্ছে যাতে পানির স্রোতের ধাক্কা ঠেকিয়ে ভাঙন প্রতিরোধ করা যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নদীভাঙন রোধে সরকার সর্বদা সচেষ্ট। পর্যায়ক্রমে আরও জিওব্যাগ ফেলার কাজ চলমান থাকবে। পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানের জন্য স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীভাঙনের কারণে তাদের চাষাবাদ ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান ভাঙনের কবলে পড়ায় গ্রামবাসী মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নদীর স্রোত বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকি আরও বাড়তে পারে। তবে ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলা অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সার্বিকভাবে, সরকারের এই উদ্যোগে আপাতত স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মোঃ মাসুদ মন্ডল