ঢাকাকে-প্রাণিজ পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি সারাক্ষণ বার্তাকে বলেন, দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে বড় খামারিদের ওপর নির্ভর না করে বরং গ্রামবাংলার নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
আজ সোমবার কেরানীগঞ্জের আটি ভাওয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার চরাঞ্চলে ‘সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, চরাঞ্চলের নারীদের নিজস্ব জমি বা সম্পত্তি না থাকলেও গবাদিপশু তাঁদের নিজস্ব সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি উল্লেখ করেন, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করা হলে পরিবারের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো ব্যয়ভার বহন সহজ হয়, যা একজন পুরুষের একার পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। তিনি এই প্রকল্পের সুফল জাতীয় উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, আজ যে গবাদিপশু বিতরণ করা হয়েছে, তা একসময় সম্পদে পরিণত হবে। তিনি যেকোনো সমস্যায় তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে সেবা গ্রহণের আহ্বান জানান।
প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. আবদুর রহিম বলেন, এই প্রাণী ও খাদ্য বিতরণ শুধু একটি উপহার নয়, বরং এটি সুফলভোগীদের স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ। তিনি বিশ্বাস করেন, এই উদ্যোগ স্থানীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আজকের বিশেষ বিতরণ কার্যক্রমে মোট ৬৪ জন সুফলভোগীকে ২১টি করে হাঁস, ৬৯ জনকে ২৫টি করে মুরগি, ৭৪ জনকে ৩টি করে ভেড়া এবং ১০ জনকে ২টি করে ছাগল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ৬৪ জন সুফলভোগীর মধ্যে ৭৫ কেজি দানাদার খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ফরিদা ইয়াছমিনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।