ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

ইউজিসি চেয়ারম্যানের পিএসের পদোন্নতিতে অনিয়ম:কম্পিউটার অপারেটর থেকে অতিরিক্ত পরিচালক।

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪২ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

২০০১ সালে কম্পিউটার অপারেটর পদে ১১তম গ্রেডে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) চাকরিতে যোগদান করেছিলেন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের একান্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নিজেকে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে নিয়েছেন পদোন্নতি। সর্বশেষ এই পদোন্নতি পেয়ে তিনি হয়েছেন অতিরিক্ত পরিচালক তথা তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা। তাঁর এই পদোন্নতি ইউজিসি প্রবিধানমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে, যা সরকারের অডিট আপত্তিতে ধরা পড়েছে।

 

সম্প্রতি ইউজিসিতে অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করেছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। এই অডিট রিপোর্টে মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বিধিবহির্ভূতভাবে ৯ম বা তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের ২০২২-২০২৩ থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিধিবহির্ভূতভাবে ৯ম বা তদুর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন প্রদান করা হয়েছে বলে এই অডিটের রিপোর্টে উঠে এসেছে।

 

অডিট রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৫ অক্টোবর ১১তম গ্রেডে কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেছিলেন। এরপর ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর শাখা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর সহকারী সচিব (৬ষ্ঠ গ্রেড) হিসেবে পদোন্নতি পান ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল, আর ২০২০ সালের ৬ জুলাই উপপরিচালক (৫ম গ্রেড) হিসেবে পদোন্নতি পান। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নিজেকে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পান অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে।

অডিট রিপোর্টে কমিশনের কর্মকর্তাগণের ব্যক্তিগত নথি, পদোন্নতি/পদোন্নয়ন নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম শ্রেণি পদে সরাসরি নিয়োগ করতে হবে এবং অন্যান্য পদে অনধিক ৫০% পদে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা যেতে পারে। কর্মচারী হতে ৯ম বা তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন প্রদান করা হয়। কমিশন এর প্রবিধানমালা ১৯(২) এর লঙ্ঘন করে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন করা হয়েছে। যা সুস্পষ্টভাবে অনিয়ম বলছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।

 

শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এমন আপত্তিতে ইউজিসি জনায়, কমিশন আইন (১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির ১০ নম্বর আদেশ), বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (কর্মচারী) চাকুরি প্রবিধান ১৯৮৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্মচারী নিয়োগ/পদোন্নতি/পদোন্নয়ন নীতিমালা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নথি পর্যালোচনাপূর্বক বিস্তারিত জবাব পরবর্তীতে প্রেরণ করা হবে।

ইউজিসির এমন মন্তব্যে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃপক্ষ জবাব প্রদানে বিরত থাকায় অডিট কোডের বিধি ৫৯ এবং ট্রেজারি রুলস এর অধীনে প্রণীত সাবসিডিয়ারি রুলস এর বিধি ৪৩৭ লঙ্ঘিত হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবিধান ১৯৮৭ এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্মচারী নিয়োগ/পদোন্নতি/পদোন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী ৯ম বা তদুর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়নের অবকাশ নেই। তাই ইউজিসির কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে সুপারিশে বলছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।

এদিকে, গত জুন মাসে বিভিন্ন সময়ে ইউজিসিতে ঘটা অনিয়মের তথ্য দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে। শ্বেতপত্রটি একটি ই-মেইলের মাধ্যমে সরকারের উচ্চপর্যায়সহ একাধিক দপ্তর ও গণমাধ্যমকর্মীদের পাঠানো হয়। শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) নিয়োগ, পদোন্নয়ন, কিংবা লোভনীয় দপ্তরে পদায়নসহ সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন এসব কর্মকর্তা। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করে ফের পদোন্নয়ন নিয়েছেন কমিশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

 

এমনকি কম্পিউটার অপারেটর বা তৃতীয় শ্রেণির অন্য কোনো পদে কর্মচারী হিসেবে যোগ দিয়ে অনেকেই পদোন্নতি নিয়ে হয়ে গেছেন তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা। যেটি ইউজিসি প্রবিধানমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যার ফলে প্রশাসনিক অরাজকতা তৈরি হয়েছে ইউজিসিতে।

এ বিষয়ে ইউজিসির অডিট শাখার পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নাহিদ সুলতানা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘যে সকল বিষয়ে আপত্তি এসেছে, কমিশন সে সকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের কাছে বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা বা মতামত নিয়েছি। সেগুলো নিয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে রিপোর্ট আকারে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের একান্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

ইউজিসি চেয়ারম্যানের পিএসের পদোন্নতিতে অনিয়ম:কম্পিউটার অপারেটর থেকে অতিরিক্ত পরিচালক।

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

২০০১ সালে কম্পিউটার অপারেটর পদে ১১তম গ্রেডে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) চাকরিতে যোগদান করেছিলেন কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের একান্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নিজেকে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে নিয়েছেন পদোন্নতি। সর্বশেষ এই পদোন্নতি পেয়ে তিনি হয়েছেন অতিরিক্ত পরিচালক তথা তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা। তাঁর এই পদোন্নতি ইউজিসি প্রবিধানমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে, যা সরকারের অডিট আপত্তিতে ধরা পড়েছে।

 

সম্প্রতি ইউজিসিতে অডিট কার্যক্রম পরিচালনা করেছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। এই অডিট রিপোর্টে মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বিধিবহির্ভূতভাবে ৯ম বা তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইউজিসি কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের ২০২২-২০২৩ থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিধিবহির্ভূতভাবে ৯ম বা তদুর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন প্রদান করা হয়েছে বলে এই অডিটের রিপোর্টে উঠে এসেছে।

 

অডিট রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১৫ অক্টোবর ১১তম গ্রেডে কম্পিউটার অপারেটর পদে মো. মোস্তাফিজুর রহমান যোগদান করেছিলেন। এরপর ২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর শাখা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর সহকারী সচিব (৬ষ্ঠ গ্রেড) হিসেবে পদোন্নতি পান ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল, আর ২০২০ সালের ৬ জুলাই উপপরিচালক (৫ম গ্রেড) হিসেবে পদোন্নতি পান। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নিজেকে ‘বঞ্চিত’ দাবি করে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পদোন্নতি পান অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে।

অডিট রিপোর্টে কমিশনের কর্মকর্তাগণের ব্যক্তিগত নথি, পদোন্নতি/পদোন্নয়ন নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম শ্রেণি পদে সরাসরি নিয়োগ করতে হবে এবং অন্যান্য পদে অনধিক ৫০% পদে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা যেতে পারে। কর্মচারী হতে ৯ম বা তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন প্রদান করা হয়। কমিশন এর প্রবিধানমালা ১৯(২) এর লঙ্ঘন করে পদোন্নতি/পদোন্নয়ন করা হয়েছে। যা সুস্পষ্টভাবে অনিয়ম বলছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।

 

শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের এমন আপত্তিতে ইউজিসি জনায়, কমিশন আইন (১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির ১০ নম্বর আদেশ), বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (কর্মচারী) চাকুরি প্রবিধান ১৯৮৭ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্মচারী নিয়োগ/পদোন্নতি/পদোন্নয়ন নীতিমালা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নথি পর্যালোচনাপূর্বক বিস্তারিত জবাব পরবর্তীতে প্রেরণ করা হবে।

ইউজিসির এমন মন্তব্যে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃপক্ষ জবাব প্রদানে বিরত থাকায় অডিট কোডের বিধি ৫৯ এবং ট্রেজারি রুলস এর অধীনে প্রণীত সাবসিডিয়ারি রুলস এর বিধি ৪৩৭ লঙ্ঘিত হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রবিধান ১৯৮৭ এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্মচারী নিয়োগ/পদোন্নতি/পদোন্নয়ন নীতিমালা অনুযায়ী ৯ম বা তদুর্ধ্ব পদে পদোন্নতি/পদোন্নয়নের অবকাশ নেই। তাই ইউজিসির কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বলে সুপারিশে বলছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর।

এদিকে, গত জুন মাসে বিভিন্ন সময়ে ইউজিসিতে ঘটা অনিয়মের তথ্য দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে। শ্বেতপত্রটি একটি ই-মেইলের মাধ্যমে সরকারের উচ্চপর্যায়সহ একাধিক দপ্তর ও গণমাধ্যমকর্মীদের পাঠানো হয়। শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) নিয়োগ, পদোন্নয়ন, কিংবা লোভনীয় দপ্তরে পদায়নসহ সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন এসব কর্মকর্তা। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নিজেদের ‘বঞ্চিত’ দাবি করে ফের পদোন্নয়ন নিয়েছেন কমিশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

 

এমনকি কম্পিউটার অপারেটর বা তৃতীয় শ্রেণির অন্য কোনো পদে কর্মচারী হিসেবে যোগ দিয়ে অনেকেই পদোন্নতি নিয়ে হয়ে গেছেন তৃতীয় গ্রেডের কর্মকর্তা। যেটি ইউজিসি প্রবিধানমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যার ফলে প্রশাসনিক অরাজকতা তৈরি হয়েছে ইউজিসিতে।

এ বিষয়ে ইউজিসির অডিট শাখার পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) নাহিদ সুলতানা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘যে সকল বিষয়ে আপত্তি এসেছে, কমিশন সে সকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের কাছে বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা বা মতামত নিয়েছি। সেগুলো নিয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে রিপোর্ট আকারে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজের একান্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।