ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

মাদারীপুর জেলার রাজৈরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও পৌর সভায় দুদকের অভিযান।

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৭৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলাধীন রাজৈর পৌরসভা ও রাজৈর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দুদক অভিযান চালিয়েছে।বৃহস্পতিবার ১৮সেপ্টেম্বর,২০২৫ সকাল ১১ টায় রাজৈর পৌরসভায় কর্মরত কর আদায়কারী মোঃ এনামুল হক খান এর বিরুদ্ধে সেবা গ্রহনকারীদের সাথে খারাপ আচরণ ও করের টাকা গরমিলের অভিযোগে ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার কাম মুদ্রাক্ষরিক শামিম মুন্সির জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও একই প্রতিষ্ঠানে ১৩ বছর কর্মরত থাকার কারণে দুদক অভিযান চালায়।

দুদকের সহকারী পরিচালক শামিম মুন্সির কাছে তার ব্যক্তিগত ফাইল দেখতে চাইলে সে তা দেখাতে পারেন নি। এবং অন্যান্য প্রশ্নও তিনি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য অভিযান পরিচালনার সময় একটি চরম অসংগতি দুদক টিম পরিলক্ষিত করেন। অসংগতিটি হলো শাফিয়া শরীফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ আইন বহির্ভূত ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কম্পিউটারের কাজ করেন।কে তাকে এখানে কাজ করার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন,দুদক তাকে প্রশ্ন করলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এবং কাজ করার কোন বৈধতা প্রমান করতে পারেননি। কে তাকে কাজ করতে অনুমতি দিয়েছে সেটাও তিনি জানেন না। তাহলে কেন তিনি স্কুল ফাঁকি দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ করেন?এটি রহস্যাবৃত।এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

এ সময় শিক্ষা অফিসের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আরা অনুপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের নিকট তথ্য রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রায়শই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।এর অবসান চান সেবাভোগী সংশ্লিষ্ট অংশীজন।

আখতারুজ্জামান সহকারী পরিচালক, এবং সাইদুর রহমান অপু উপ- সহকারী পরিচালক সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন এনামুল হক খান ও শামিম মুন্সির নামে অভিযোগের ব্যপারে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ পর্যবেক্ষণ করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আজ আমাদের টিম নিয়ে সরেজমিনে এসেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।সমস্ত কাগজ পত্র বিচার বিশ্লেষণ করে এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হবে বলে সারাক্ষণ বার্তাকে জানান।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

মাদারীপুর জেলার রাজৈরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও পৌর সভায় দুদকের অভিযান।

আপডেট সময় : ০৮:১৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলাধীন রাজৈর পৌরসভা ও রাজৈর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দুদক অভিযান চালিয়েছে।বৃহস্পতিবার ১৮সেপ্টেম্বর,২০২৫ সকাল ১১ টায় রাজৈর পৌরসভায় কর্মরত কর আদায়কারী মোঃ এনামুল হক খান এর বিরুদ্ধে সেবা গ্রহনকারীদের সাথে খারাপ আচরণ ও করের টাকা গরমিলের অভিযোগে ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কম্পিউটার কাম মুদ্রাক্ষরিক শামিম মুন্সির জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও একই প্রতিষ্ঠানে ১৩ বছর কর্মরত থাকার কারণে দুদক অভিযান চালায়।

দুদকের সহকারী পরিচালক শামিম মুন্সির কাছে তার ব্যক্তিগত ফাইল দেখতে চাইলে সে তা দেখাতে পারেন নি। এবং অন্যান্য প্রশ্নও তিনি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য অভিযান পরিচালনার সময় একটি চরম অসংগতি দুদক টিম পরিলক্ষিত করেন। অসংগতিটি হলো শাফিয়া শরীফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ আইন বহির্ভূত ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কম্পিউটারের কাজ করেন।কে তাকে এখানে কাজ করার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন,দুদক তাকে প্রশ্ন করলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এবং কাজ করার কোন বৈধতা প্রমান করতে পারেননি। কে তাকে কাজ করতে অনুমতি দিয়েছে সেটাও তিনি জানেন না। তাহলে কেন তিনি স্কুল ফাঁকি দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কাজ করেন?এটি রহস্যাবৃত।এর পিছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে বলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।

এ সময় শিক্ষা অফিসের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গুলশান আরা অনুপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের নিকট তথ্য রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রায়শই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন।এর অবসান চান সেবাভোগী সংশ্লিষ্ট অংশীজন।

আখতারুজ্জামান সহকারী পরিচালক, এবং সাইদুর রহমান অপু উপ- সহকারী পরিচালক সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট দুদকের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদকের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন এনামুল হক খান ও শামিম মুন্সির নামে অভিযোগের ব্যপারে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ পর্যবেক্ষণ করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আজ আমাদের টিম নিয়ে সরেজমিনে এসেছি। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।সমস্ত কাগজ পত্র বিচার বিশ্লেষণ করে এবং সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হবে বলে সারাক্ষণ বার্তাকে জানান।