ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের।

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

বহু বছর কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা ধোপা বাড়ির আবুল কাশেম ওরফে ফেন্সি কাশেমের বাড়িতে গত সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার সময় আদর্শ সদর আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করা হলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ও নগদ টাকা ছুড়ে ফেলে পালালেন কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থা এলাকার আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম ও তার বড় ভাই নজির আহাম্মেদ দুই ভাই মাদক কারবারি।

সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর্থা মিয়া বাড়ি (ধোপা বাড়ি) এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নজির আহাম্মেদ ও তার ভাই আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তার বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ডাইল কাশেম। আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম ও নজির আহাম্মেদ দু”জন আপন ভাই তাদের পিতা- মৃত শফিক মিয়া, মাতা- নিলুফা বেগম।

পরে সেনা সদস্যরা সেখান থেকে ১ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৩ হাজার ৩৯০ টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করেন, মামলা নং-৭৭/২৪.০৯.২০২৫। ধারা- ৩৬(১) এর ১০(ক)।

বহু বছর যাবত কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম গোপনে মাদক সিন্ডিকেট তৈরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চর্থা এলাকায় মাদক ব্যবসা করছেন। সৈরাচার আওয়ামিলীগ’র নেতা সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহামুদ শহীদ ওরফে চিকা শহীদের নেতৃত্ব মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। শুধু তাইন নয় কাশেম এর মাদক ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে সুকৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডাইল কাশেমের একটি ভয়ংকর নারী সিন্ডিকেট রয়েছে তাদেরকে দিয়ে অভিনব কায়দায় এনজিও কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গাতে মাদক প্রচার সহ মাদক বিক্রির কর্মকাণ্ড চালান।

মাদক ব্যবসা করে আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জ বাজারে চারটি দোকান কিনেছেন যায় বর্তমান মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

সম্প্রতি আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ডুলিপাড়ায় মাদক বিক্রির সময় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মজনু মিয়া তাকে মাদক সহ হাতেনাতে আটক করেন কিন্তু সদর দক্ষিণ থানার আসামি কোতোয়ালি থানার পুলিশ আনতে পারেনা তাই তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় এসআই মজনু মিয়া। তার পর ডাইল কাশেম এসআই মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন। এই বলে যে এসআই মজনু মিয়া কোতোয়ালি থানার পুলিশ হয়ে সদর দক্ষিণ থানাধীন ডুলিপাড়া এলাকায় গিয়ে ডাইল কাশেমকে মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে গেছেন বলে। এ-ঘটনায় এসআই মজনু মিয়ার প্রমোশন আটকে যায়। পরে এসআই মজনু মিয়ার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আপোষ করেন ডাইল কাশেম। এ-ঘটনার কারনে মজনু মিয়ার ৬ বছর কোন প্রমোশন হয়নি, ছয় বছর পর প্রমোশন নিয়ে এসআই মজনু মিয়া বর্তমানে চট্টগ্রাম একটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এসআই মজনু মিয়া আরও ছয় বছর আগে প্রমোশন হওয়ার কথা থাকলেও ডাইল কাশেম তার নিয়তির উপর লাথি মেরে উল্টো ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ-ঘটনার মামলার কপি কাজে লাগিয়ে ডাইল কাশেমের আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এ মামলার কপি কাশেমের মোবাইলে ছবি তুলে রেখেছেন আর যেই পুলিশ আসেতেন তখন ডাইল কাশেম সেই মামলার কপি দেখিয়ে পুলিশ সদস্যদেরকে ভয়ভীতি দেখাতেন তখন পুলিশ আর কোন কথাই বলতেন না। এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছেন ডাইল কাশেম।

শুধু তাই নয় ডাইল কাশেমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় কুমিল্লা নগরীর চর্থার স্থানীয় সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। কুমিল্লায় সাংবাদিককে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা প্রথম ঘটিয়েছেন ডাইল কাশেম তারপর হত্যা হয় আনন্দ টিভি সাংবাদিক মহিউদ্দিন। ভাবা যায় আসলে ডাইল কাশেমের ফাঁদ থেকে রক্ষা পায়নি পুলিশ সহ সাংবাদিকও। অবশেষে সেনাবাহিনীর অভিযানের থাবা থেকে ডাইল কাশেম রক্ষা পেলেও তার মুখোশ উন্মোচন হয়েছে সকলের কাছে। আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান আরও চলমান।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের।

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বহু বছর কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা ধোপা বাড়ির আবুল কাশেম ওরফে ফেন্সি কাশেমের বাড়িতে গত সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার সময় আদর্শ সদর আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করা হলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ও নগদ টাকা ছুড়ে ফেলে পালালেন কুমিল্লার দক্ষিণ চর্থা এলাকার আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম ও তার বড় ভাই নজির আহাম্মেদ দুই ভাই মাদক কারবারি।

সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর্থা মিয়া বাড়ি (ধোপা বাড়ি) এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নজির আহাম্মেদ ও তার ভাই আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তার বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ডাইল কাশেম। আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম ও নজির আহাম্মেদ দু”জন আপন ভাই তাদের পিতা- মৃত শফিক মিয়া, মাতা- নিলুফা বেগম।

পরে সেনা সদস্যরা সেখান থেকে ১ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৩ হাজার ৩৯০ টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা রুজু করেন, মামলা নং-৭৭/২৪.০৯.২০২৫। ধারা- ৩৬(১) এর ১০(ক)।

বহু বছর যাবত কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম গোপনে মাদক সিন্ডিকেট তৈরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চর্থা এলাকায় মাদক ব্যবসা করছেন। সৈরাচার আওয়ামিলীগ’র নেতা সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহামুদ শহীদ ওরফে চিকা শহীদের নেতৃত্ব মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। শুধু তাইন নয় কাশেম এর মাদক ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে সুকৌশলে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডাইল কাশেমের একটি ভয়ংকর নারী সিন্ডিকেট রয়েছে তাদেরকে দিয়ে অভিনব কায়দায় এনজিও কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গাতে মাদক প্রচার সহ মাদক বিক্রির কর্মকাণ্ড চালান।

মাদক ব্যবসা করে আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জ বাজারে চারটি দোকান কিনেছেন যায় বর্তমান মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা।

সম্প্রতি আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানাধীন ডুলিপাড়ায় মাদক বিক্রির সময় কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মজনু মিয়া তাকে মাদক সহ হাতেনাতে আটক করেন কিন্তু সদর দক্ষিণ থানার আসামি কোতোয়ালি থানার পুলিশ আনতে পারেনা তাই তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় এসআই মজনু মিয়া। তার পর ডাইল কাশেম এসআই মজনু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা দায়ের করেন। এই বলে যে এসআই মজনু মিয়া কোতোয়ালি থানার পুলিশ হয়ে সদর দক্ষিণ থানাধীন ডুলিপাড়া এলাকায় গিয়ে ডাইল কাশেমকে মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে গেছেন বলে। এ-ঘটনায় এসআই মজনু মিয়ার প্রমোশন আটকে যায়। পরে এসআই মজনু মিয়ার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আপোষ করেন ডাইল কাশেম। এ-ঘটনার কারনে মজনু মিয়ার ৬ বছর কোন প্রমোশন হয়নি, ছয় বছর পর প্রমোশন নিয়ে এসআই মজনু মিয়া বর্তমানে চট্টগ্রাম একটি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এসআই মজনু মিয়া আরও ছয় বছর আগে প্রমোশন হওয়ার কথা থাকলেও ডাইল কাশেম তার নিয়তির উপর লাথি মেরে উল্টো ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ-ঘটনার মামলার কপি কাজে লাগিয়ে ডাইল কাশেমের আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এ মামলার কপি কাশেমের মোবাইলে ছবি তুলে রেখেছেন আর যেই পুলিশ আসেতেন তখন ডাইল কাশেম সেই মামলার কপি দেখিয়ে পুলিশ সদস্যদেরকে ভয়ভীতি দেখাতেন তখন পুলিশ আর কোন কথাই বলতেন না। এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছেন ডাইল কাশেম।

শুধু তাই নয় ডাইল কাশেমের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় কুমিল্লা নগরীর চর্থার স্থানীয় সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। কুমিল্লায় সাংবাদিককে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা প্রথম ঘটিয়েছেন ডাইল কাশেম তারপর হত্যা হয় আনন্দ টিভি সাংবাদিক মহিউদ্দিন। ভাবা যায় আসলে ডাইল কাশেমের ফাঁদ থেকে রক্ষা পায়নি পুলিশ সহ সাংবাদিকও। অবশেষে সেনাবাহিনীর অভিযানের থাবা থেকে ডাইল কাশেম রক্ষা পেলেও তার মুখোশ উন্মোচন হয়েছে সকলের কাছে। আবুল কাশেম ওরফে ডাইল কাশেমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান আরও চলমান।