বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপকসহ ১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামিদের বিরুদ্ধে ৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে ১৭ ধরনের পণ্য কিনে সরকারের ২ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীতে উপসহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিওসি (পশ্চিম) মো. খায়রুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মো. মজিবুর রহমান, সাবেক সিওসি (পশ্চিম) মো. বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক এসিওএস মো. জাহিদ কাওছার, সাবেক ডেপুটি সিসিএম (পশ্চিম) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, সাবেক ডিএফএ শ্যামলী রাণী রায়, সাবেক উচ্চমান সহকারী (বর্তমানে সিওসি-পূর্ব) মো. আলামিন তালুকদার, সাবেক ডিএফএ (অর্থ-পশ্চিম) মো. আলমগীর হোসেন, সাবেক সিওপিএস (পশ্চিম) এ. এম. এম. শাহনেওয়াজ, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) মো. শরিফুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি সিওপিএস (পশ্চিম) মোছা. হাসিনা খাতুন, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) মো. মসিহ উল হাসান, সাবেক এসিসিএম (পশ্চিম) শেখ আব্দুল জব্বার, সাবেক অতিরিক্ত এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) মো. গোলাম রব্বানী, গোলাম রহমান, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিও (পশ্চিম) সরোজ কান্তি দেব এবং সাবেক সিসিএম (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে দপ্তরের ১৭ ধরনের পণ্য ক্রয়ে প্রকৃত বাজারদর যাচাই না করে ৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দর নির্ধারণ করেন। পরে মূল্যায়ন কমিটি, অনুমোদনকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের সহায়তায় ২ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 









