তখন আমি মাগুরায় সাংবাদিকতা করি।
মাগুরা নতুন বাজারে একটি পতিতালয় ছিলো। এখানে প্রতিবছর খুন খারাবি হতো।
মাগুরা জেলা জাসদ (ইনু) এর একজন নেতা,মাগুরা প্রেস ক্লাবের ৩ জন সিনিয়র সাংবাদিক ও নতুন বাজার এলাকার একজন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন এই পতিতালয়ের গডফাদার।
তারা এ পতিতালয় থেকে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতেন।
আমি এই পতিতালয়টি উচ্ছেদের জন্য সচেষ্ট হই এবং সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করি অপরাধ জগত পত্রিকায়।
শুরু হয় পতিতালয় উচ্ছেদের আন্দোলন।
এ সময় ঐ গডফাদার চক্রের ষড়যন্ত্রে পতিতা সরদারনী হাজেরাকে বাদী করে আমার নামে মাগুরা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়।
ঐ মামলায় আমি গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্তি পাই।
পরবর্তীতে সাক্ষী প্রমাণ গ্রহনের সময় বাদী হাজেরা আদালতের কাঠ গড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন যে তিনি কোন মামলা করেননি।
ঐ গডফাদারচক্র পত্রিকায় প্রতিবাদ দিতে হবে বলে তার সই নিয়েছিলো। আর সেটা দিয়েই এই মামলা করেছে।
বিচারক তখন রায়ে আমাকে বেকসুর খালাস দেন এবং ঐ গডফাদার চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
তখন মাগুরা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল আকবর নান্না ভাই আদালতের কাছে অনুনয় বিনয় করে তাদেরকে শাস্তি থেকে রক্ষা করেন।
সারাক্ষণ ডেস্ক 









