ঢাকা ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান, বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস মাদারীপুরে ১৬ বছর পর বিএনপির কর্মী সম্মেলন ঢাকায় ৮ বছর ধরে একই পদে: গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুলের প্রভাব ও অনিয়ম অভিযোগ জনগণ প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তন চায়: তারেক রহমান মাগুরায় সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৭ লাখ টাকা উধাও: গ্রাহকের অভিযোগে তোলপাড় ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন সম্পন্ন বিটিভির বার্তা বিভাগে ক্ষমতার অপব্যবস্থাপনা: মুন্সী ফরিদুজামান ও সৈয়দা তাসমিনা আহমেদের নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক ঠাকুরগাঁও সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সেনা অভিযানে ২১ বোতল ফেন্সিডিলসহ তালিকাভুক্ত জুলাই যোদ্ধা আটক গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা: রাজৈরে মানববন্ধন, দোষীদের ফাঁসির দাবি

জুলাই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৭৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা এবং শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এই শহীদদের প্রতিটি পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪, জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেছেন বিএনপি প্রধান। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর নির্মম অত্যাচার, গ্রেপ্তার, হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার।

এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বলেন, ‘তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে।’

আওয়ামী লীগের আমলে যারা গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে বলে ভিডিও বার্তায় বলেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, নতুন করে গণতন্ত্রের ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজ আমাদের দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে যেকোনো মূল্যে।’

সবশেষে যেকোনো মূল্যে ঐক্য বজায় রাখার কথা বললেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, ‘বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা কোনোভাবেই যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এই কর্মসূচি আয়োজন করে বিএনপি। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মীর মুগ্ধ, শহীদ ওয়াসিম, বিশ্বজিৎসহ গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা।

Tag :
About Author Information

Sanjib Das

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান, বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস

জুলাই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে

আপডেট সময় : ০১:১১:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা এবং শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এই শহীদদের প্রতিটি পরিবারের সম্মানজনক পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪, জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেছেন বিএনপি প্রধান। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান হয়।

খালেদা জিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর নির্মম অত্যাচার, গ্রেপ্তার, হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ার।

এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বলেন, ‘তাদের এই আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে।’

আওয়ামী লীগের আমলে যারা গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে বলে ভিডিও বার্তায় বলেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, নতুন করে গণতন্ত্রের ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজ আমাদের দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে যেকোনো মূল্যে।’

সবশেষে যেকোনো মূল্যে ঐক্য বজায় রাখার কথা বললেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, ‘বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা কোনোভাবেই যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এই কর্মসূচি আয়োজন করে বিএনপি। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মীর মুগ্ধ, শহীদ ওয়াসিম, বিশ্বজিৎসহ গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা।