ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গোপন টেন্ডারে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ । পূর্ণ যৌবনা কুমার নদী এখন জৌলুস হারিয়ে মৃত প্রায় নদীতে রূপ নিয়েছে। মাদারীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। প্রকাশ্য দিবালোকে খুলনা আদালত চত্বরে গুলি করে দুইজনকে হত্যা। মাদারীপুরের রাজৈরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি পালন। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত। বাংলার কিংবদন্তি এক মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়া। টিকটকে প্রেম, ৬ বছরের শিশুকে রেখে পালালো মা। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে গাড়ীর ব্যবসায়ের নামে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা বেইস- টেকের মালিক নীলয়।

আজ ১০ মহররম পবিত্র আশুরা

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • ১২৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। ৬১ হিজরির আজকের দিনেই ফুরাত নদীর তীরবর্তী কারবালায় শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র।

হজরত আলীর মৃত্যুর পর হজরত মুয়াবিয়া (রা.) খলিফা হন। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন। ইয়াজিদের কাছে বাইয়্যাত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন। পথে কারবালায় সঙ্গীদের নিয়ে থামেন তিনি। হোসেন (রা.) ও তার অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।

আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। নারী-শিশু তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে রাজি হননি। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তার ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে মহানবীর দৌহিত্রকে হত্যা করে।

নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা। প্রতিবারের মতো এবারও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার দিনটি পালিত হবে। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে দিনটিতে মাতম করেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল বের হয়।

আশুরা উপলক্ষে ঢাকার সব চেয়ে বড় মিছিলটি পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়। মিছিলটি লালবাগ-আজিমপুর-নিউ মার্কেট-নীলক্ষেত-সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে প্রতীকী ‘কারবালা’ প্রান্তে গিয়ে শেষ হবে। তাজিয়া মিছিলকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, পবিত্র আশুরার শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা ছাড়াও পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ একটি দিন। পৃথিবী সৃষ্টিসহ নানা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা এইদিনে সংঘটিত হয়েছে। এই মহিমান্বিত দিনটির তাৎপর্য ধারণ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে সকলের প্রতি বেশি বেশি নেক আমল করার আহ্বান জানান তিনি।

Tag :
About Author Information

Sanjib Das

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গোপন টেন্ডারে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ।

আজ ১০ মহররম পবিত্র আশুরা

আপডেট সময় : ০২:২৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। ৬১ হিজরির আজকের দিনেই ফুরাত নদীর তীরবর্তী কারবালায় শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র।

হজরত আলীর মৃত্যুর পর হজরত মুয়াবিয়া (রা.) খলিফা হন। জীবদ্দশাতেই তিনি পুত্র ইয়াজিদকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেন। ইয়াজিদের কাছে বাইয়্যাত নিতে অস্বীকৃতি জানান ইমাম হোসেন। প্রতিবাদে মদিনা ছেড়ে কুফায় হিজরতের জন্য যাত্রা করেন। পথে কারবালায় সঙ্গীদের নিয়ে থামেন তিনি। হোসেন (রা.) ও তার অনুসারীদের আটক করে মদিনায় ফিরিয়ে নিতে ইয়াজিদের নির্দেশে উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে।

আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ইমাম হোসেনের শিবিরের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তারা। নারী-শিশু তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়লেও ইমাম হোসেন আত্মসমর্পণে রাজি হননি। ১০ মহররম অবরোধের বিরুদ্ধে অসম যুদ্ধে ইমাম হোসেন ও তার ৭২ সঙ্গী শহীদ হন। শিমার ইবনে জিলজুশান কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে মহানবীর দৌহিত্রকে হত্যা করে।

নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করেন মুসলিম ধর্মালম্বীরা। প্রতিবারের মতো এবারও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার দিনটি পালিত হবে। শিয়া মতাবলম্বীরা ইমাম হোসেনের শোকে দিনটিতে মাতম করেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাজিয়া মিছিল বের হয়।

আশুরা উপলক্ষে ঢাকার সব চেয়ে বড় মিছিলটি পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়। মিছিলটি লালবাগ-আজিমপুর-নিউ মার্কেট-নীলক্ষেত-সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে প্রতীকী ‘কারবালা’ প্রান্তে গিয়ে শেষ হবে। তাজিয়া মিছিলকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, পবিত্র আশুরার শোকাবহ এই দিনে আমি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণকারী সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। অত্যাচারীর অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে ইসলামের বীর সৈনিকদের এই আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা ছাড়াও পবিত্র আশুরা ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ একটি দিন। পৃথিবী সৃষ্টিসহ নানা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা এইদিনে সংঘটিত হয়েছে। এই মহিমান্বিত দিনটির তাৎপর্য ধারণ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভে সকলের প্রতি বেশি বেশি নেক আমল করার আহ্বান জানান তিনি।