ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গোপন টেন্ডারে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ । পূর্ণ যৌবনা কুমার নদী এখন জৌলুস হারিয়ে মৃত প্রায় নদীতে রূপ নিয়েছে। মাদারীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। প্রকাশ্য দিবালোকে খুলনা আদালত চত্বরে গুলি করে দুইজনকে হত্যা। মাদারীপুরের রাজৈরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি পালন। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত। বাংলার কিংবদন্তি এক মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়া। টিকটকে প্রেম, ৬ বছরের শিশুকে রেখে পালালো মা। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে গাড়ীর ব্যবসায়ের নামে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা বেইস- টেকের মালিক নীলয়।

চিরিরবন্দরে পরিবেশবিরোধী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অভিযান

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • ৭৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এতে ছয়টি নার্সারিতে উৎপাদিত ২৫ হাজারের বেশি চারা ধ্বংস করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, ইসফপুর ও আব্দুলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন নার্সারিতে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেহা তুজ জোহরা। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা দিনেশ চন্দ্র এবং অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তারা।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চারা উৎপাদন ও বাজারজাত করায় তামান্না নার্সারি, এম আর ভিলেজ নার্সারি, মৌসুমী নার্সারি, জাহাঙ্গীর নার্সারি, মিম নার্সারি ও ভাই ভাই নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে এসব গাছের চারা ধ্বংস করা হয়।

নার্সারি মালিকরা দাবি করেন, এসব চারা উৎপাদনে তাদের বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। হঠাৎ করে ধ্বংস করায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ক্ষতিপূরণ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ অত্যধিক পানি শোষণ করে এবং মাটির উর্বরতা ধ্বংস করে। একইভাবে আকাশমণিও পরিবেশের জন্য উপকারী নয়। তাই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চারা ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সরকার এসব নার্সারি মালিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করবে।

ইউএনও ফাতেহা তুজ জোহরা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গোপন টেন্ডারে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ।

চিরিরবন্দরে পরিবেশবিরোধী ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অভিযান

আপডেট সময় : ১২:১৬:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছের চারা উৎপাদন ও বিক্রির বিরুদ্ধে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এতে ছয়টি নার্সারিতে উৎপাদিত ২৫ হাজারের বেশি চারা ধ্বংস করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর, ইসফপুর ও আব্দুলপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন নার্সারিতে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেহা তুজ জোহরা। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা, উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা দিনেশ চন্দ্র এবং অন্যান্য কৃষি কর্মকর্তারা।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চারা উৎপাদন ও বাজারজাত করায় তামান্না নার্সারি, এম আর ভিলেজ নার্সারি, মৌসুমী নার্সারি, জাহাঙ্গীর নার্সারি, মিম নার্সারি ও ভাই ভাই নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে এসব গাছের চারা ধ্বংস করা হয়।

নার্সারি মালিকরা দাবি করেন, এসব চারা উৎপাদনে তাদের বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। হঠাৎ করে ধ্বংস করায় তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ক্ষতিপূরণ নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, ইউক্যালিপটাস গাছ অত্যধিক পানি শোষণ করে এবং মাটির উর্বরতা ধ্বংস করে। একইভাবে আকাশমণিও পরিবেশের জন্য উপকারী নয়। তাই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চারা ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সরকার এসব নার্সারি মালিকদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি বিবেচনা করবে।

ইউএনও ফাতেহা তুজ জোহরা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।