ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
জালিয়াতির চক্রে রাজউক।নথি জালিয়াতিতে জড়িত রাজউকের বিশেষ চক্রের সাথে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ। লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ–ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার উখিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ আরাকান আর্মির এক সদস্যের আত্মসমর্পণ নিজের বাল্যবিবাহ নিজেই বন্ধ করল অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিতু চিরিরবন্দরে বিআরটিসি বাস খাদে, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা আউলিয়াপুরে শিশু ও যুব ফোরামের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি মাদারীপুর রাজৈর থানা হেফাজত হতে মাদক মামলায় অভিযুক্ত আসামির পলায়ন। উলিপুরে ৫ বছরের কন্যাশিশুকে ধ’র্ষণের অভিযোগে ব্যক্তি গ্রেফতার সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির খান গ্রেফতার চিরিরবন্দর বিন্যাকুড়ি ইছামতী নদীতে ৮ বছর বয়সী শিশুর নদীতে পড়ে মৃত্যু

আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর

  • সারাক্ষণ ডেক্স
  • আপডেট সময় : ০১:১১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
  • ৭০ জন সংবাদটি পড়েছেন

শায়লা শারমিন, ঢাকা: আওয়ামী লীগ আমলে সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এখন বল পাল্টিয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ভালো ভালো পোস্টিং ভাগিয়ে নিয়েছেন ৪ জন কারা কর্মকর্তা। তাদের রয়েছে নানা দুর্নীতির ইতিহাস। কেউ কেউ দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবেও পরিচিত।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলেন ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স মোঃ জাহাঙ্গীর কবির। আওয়ামী লীগ আমলে কারা অধিদপ্তরের সবচেয়ে লোভনীয় পোস্টিং ভাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে জাহাঙ্গীর কবির ছিলেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি)। সেখান থেকে ২০১০/১১ সালে সিনিয়র জেল সুপারের দায়িত্ব পান। তখন তার চাকরির বয়স মাত্র ২/৩ বছর।

সিনিয়র জেল সুপার (চলতি দায়িত্ব) জাহাঙ্গীর কবিরের যাত্রা শুরু কাশিমপুর কারাগার-১ দিয়ে। এরপর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন।

সকল সিনিয়র জেল সুপারদের ডিঙিয়ে তাকে দেশের সবচেয়ে বড় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার করা হয়। নিজেকে তিনি গোপালগঞ্জের জামাই পরিচয় দিতেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহমুদ হাসান বাবুল ও এপিএস শিখরের মাধ্যমে পোস্টিং ভাগিয়ে নিতেন জাহাঙ্গীর। তাকে সহযোগিতা করতেন তৎকালীন আইজি প্রিজন্স আশরাফুল ইসলাম খান ও সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

এই কারণে তাকে তিন বছর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার পদে রাখা হয় এবং নিয়োগ কমিটিতেও জায়গা করে নেন। পরে তিনি ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও নবসৃষ্ট ময়মনসিংহ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স হন। কারাগারে তাকে দুর্নীতির বরপুত্র বলা হয়। ঢাকার জেলার মাহবুবের পর কারা বিভাগের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ অফিসার হিসেবে দেখা হয় তাকে।

তার আমলে কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে টপ টেরর বিকাশ ভারতে পালিয়ে যান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে জাহাঙ্গীর ও জেলার সুভাষ কুমার ঘোষ পরিচিত ছিলেন। সুভাষ ঘোষকে ৫ আগস্টের পর বাধ্যতামূলক অবসর দিলেও জাহাঙ্গীর থেকে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সন্ত্রাসী জোসেফকে সাজা মওকুফে প্রতিদিন ফাইল নিয়ে কারা অধিদপ্তরে যেতেন জাহাঙ্গীর কবির। জাহাঙ্গীর, জেলার মাহবুব ও তৎকালীন আইজি প্রিজন্স মিলে তাকে মুক্ত করার কাজ সম্পন্ন করেন।

২০২০/২১ সালে তাকে ডিআইজি প্রিজন্স পদে পদোন্নতি দিয়ে বরিশাল বিভাগে পাঠানো হয়। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তাকে ঢাকা বিভাগে বদলি করা হয়। নিজেকে বিএনপি ঘনিষ্ঠ দাবি করে এই পদ দখল করেন। বর্তমানে তিনি ছায়া আইজি প্রিজন্স হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ আছে।

তাকে সহযোগিতা করেন এআইজি আবু তালেব ও এআইজি জান্নাতুল ফরহাদ। তার হয়ে কাজ করেন ঢাকা জেলের জেলার এ.কে.এম. মাসুম। তারা নিজেদের বিএনপি ঘনিষ্ঠ দাবি করে মহাপরিদর্শককে প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাহাঙ্গীর কবির ঢাকা জেলের সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে পুরাতন ঢাকার কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তার সহকারী ছিলেন জেলার নেছার আলম। ৫ আগস্টের পর তাকেও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

২০১৫/১৬ সালে গরিব বন্দীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করা হতো; জন প্রতি ২৫০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হতো। এমনকি দুজন মিলে কারাগারের প্রভাবশালী পদ বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরবর্তীতে মাহবুব পুনরায় জেলার হয়ে ঢাকা জেলে আসেন। জাহাঙ্গীর সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতাদের ফাঁসি কার্যকর করে নিজেকে গর্বিত দাবি করতেন এবং গণভবনে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

বর্তমানে তিনি নিজেকে বিএনপি ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে বিএনপি নেতাদের বাসায় যাচ্ছেন। জানা গেছে, অত্যন্ত গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা জাহাঙ্গীর কবিরের বিপুল সম্পদ রয়েছে এবং দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে। ৫ আগস্টের পর আবু তালেব, জান্নাতুল ফরহাদ ও এ.কে.এম. মাসুম কারা অধিদপ্তরে যোগ দেন।

আবু তালেব ২০০০ সালে ডেপুটি জেলার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৩ সালে হাজী সেলিমকে মোবাইল সরবরাহের ঘটনায় বরখাস্ত হন ও তিন বছরের বেতন স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী আমলে সাতক্ষীরা ও যশোর কারাগারে ৯ বছর চাকরি করেন। পরে জেল সুপার পদে পদোন্নতি পান। বর্তমানে তিনি এআইজি এডমিন হিসেবে কর্মরত। বদলির নামে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কারা অধিদপ্তরে নিজের ঘনিষ্ঠদের পদায়ন করে পুরনোদের সরিয়ে দেন। কারারক্ষীদের বিভাগ পরিবর্তনে টাকা নেওয়ার অভিযোগও আছে।

জাহাঙ্গীর, তালেব ও ফরহাদ মিলে সিনিয়র জেল সুপার পদোন্নতিতে সিনিয়রদের বঞ্চিত করেন এবং কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। নিরাপত্তা সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা ইউনিটে নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

জালিয়াতির চক্রে রাজউক।নথি জালিয়াতিতে জড়িত রাজউকের বিশেষ চক্রের সাথে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ।

আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর

আপডেট সময় : ০১:১১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

শায়লা শারমিন, ঢাকা: আওয়ামী লীগ আমলে সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে এখন বল পাল্টিয়ে জুলাই-আগস্ট আন্দোলন পরবর্তী সময়ে ভালো ভালো পোস্টিং ভাগিয়ে নিয়েছেন ৪ জন কারা কর্মকর্তা। তাদের রয়েছে নানা দুর্নীতির ইতিহাস। কেউ কেউ দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবেও পরিচিত।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হলেন ঢাকা বিভাগের ডিআইজি প্রিজন্স মোঃ জাহাঙ্গীর কবির। আওয়ামী লীগ আমলে কারা অধিদপ্তরের সবচেয়ে লোভনীয় পোস্টিং ভাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে জাহাঙ্গীর কবির ছিলেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি)। সেখান থেকে ২০১০/১১ সালে সিনিয়র জেল সুপারের দায়িত্ব পান। তখন তার চাকরির বয়স মাত্র ২/৩ বছর।

সিনিয়র জেল সুপার (চলতি দায়িত্ব) জাহাঙ্গীর কবিরের যাত্রা শুরু কাশিমপুর কারাগার-১ দিয়ে। এরপর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন।

সকল সিনিয়র জেল সুপারদের ডিঙিয়ে তাকে দেশের সবচেয়ে বড় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার করা হয়। নিজেকে তিনি গোপালগঞ্জের জামাই পরিচয় দিতেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী মাহমুদ হাসান বাবুল ও এপিএস শিখরের মাধ্যমে পোস্টিং ভাগিয়ে নিতেন জাহাঙ্গীর। তাকে সহযোগিতা করতেন তৎকালীন আইজি প্রিজন্স আশরাফুল ইসলাম খান ও সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

এই কারণে তাকে তিন বছর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার পদে রাখা হয় এবং নিয়োগ কমিটিতেও জায়গা করে নেন। পরে তিনি ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ও নবসৃষ্ট ময়মনসিংহ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন্স হন। কারাগারে তাকে দুর্নীতির বরপুত্র বলা হয়। ঢাকার জেলার মাহবুবের পর কারা বিভাগের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ অফিসার হিসেবে দেখা হয় তাকে।

তার আমলে কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে টপ টেরর বিকাশ ভারতে পালিয়ে যান। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে জাহাঙ্গীর ও জেলার সুভাষ কুমার ঘোষ পরিচিত ছিলেন। সুভাষ ঘোষকে ৫ আগস্টের পর বাধ্যতামূলক অবসর দিলেও জাহাঙ্গীর থেকে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই সন্ত্রাসী জোসেফকে সাজা মওকুফে প্রতিদিন ফাইল নিয়ে কারা অধিদপ্তরে যেতেন জাহাঙ্গীর কবির। জাহাঙ্গীর, জেলার মাহবুব ও তৎকালীন আইজি প্রিজন্স মিলে তাকে মুক্ত করার কাজ সম্পন্ন করেন।

২০২০/২১ সালে তাকে ডিআইজি প্রিজন্স পদে পদোন্নতি দিয়ে বরিশাল বিভাগে পাঠানো হয়। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ তাকে ঢাকা বিভাগে বদলি করা হয়। নিজেকে বিএনপি ঘনিষ্ঠ দাবি করে এই পদ দখল করেন। বর্তমানে তিনি ছায়া আইজি প্রিজন্স হিসেবে কাজ করছেন বলে অভিযোগ আছে।

তাকে সহযোগিতা করেন এআইজি আবু তালেব ও এআইজি জান্নাতুল ফরহাদ। তার হয়ে কাজ করেন ঢাকা জেলের জেলার এ.কে.এম. মাসুম। তারা নিজেদের বিএনপি ঘনিষ্ঠ দাবি করে মহাপরিদর্শককে প্রভাবিত করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাহাঙ্গীর কবির ঢাকা জেলের সিনিয়র জেল সুপার হিসেবে পুরাতন ঢাকার কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তার সহকারী ছিলেন জেলার নেছার আলম। ৫ আগস্টের পর তাকেও বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়।

২০১৫/১৬ সালে গরিব বন্দীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করা হতো; জন প্রতি ২৫০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হতো। এমনকি দুজন মিলে কারাগারের প্রভাবশালী পদ বিক্রি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরবর্তীতে মাহবুব পুনরায় জেলার হয়ে ঢাকা জেলে আসেন। জাহাঙ্গীর সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতাদের ফাঁসি কার্যকর করে নিজেকে গর্বিত দাবি করতেন এবং গণভবনে নিয়মিত যাতায়াত করতেন।

বর্তমানে তিনি নিজেকে বিএনপি ঘনিষ্ঠ পরিচয় দিয়ে বিএনপি নেতাদের বাসায় যাচ্ছেন। জানা গেছে, অত্যন্ত গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা জাহাঙ্গীর কবিরের বিপুল সম্পদ রয়েছে এবং দুদকের তদন্ত চলমান রয়েছে। ৫ আগস্টের পর আবু তালেব, জান্নাতুল ফরহাদ ও এ.কে.এম. মাসুম কারা অধিদপ্তরে যোগ দেন।

আবু তালেব ২০০০ সালে ডেপুটি জেলার হিসেবে যোগ দেন। ২০০৩ সালে হাজী সেলিমকে মোবাইল সরবরাহের ঘটনায় বরখাস্ত হন ও তিন বছরের বেতন স্থগিত করা হয়।

আওয়ামী আমলে সাতক্ষীরা ও যশোর কারাগারে ৯ বছর চাকরি করেন। পরে জেল সুপার পদে পদোন্নতি পান। বর্তমানে তিনি এআইজি এডমিন হিসেবে কর্মরত। বদলির নামে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কারা অধিদপ্তরে নিজের ঘনিষ্ঠদের পদায়ন করে পুরনোদের সরিয়ে দেন। কারারক্ষীদের বিভাগ পরিবর্তনে টাকা নেওয়ার অভিযোগও আছে।

জাহাঙ্গীর, তালেব ও ফরহাদ মিলে সিনিয়র জেল সুপার পদোন্নতিতে সিনিয়রদের বঞ্চিত করেন এবং কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। নিরাপত্তা সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা ইউনিটে নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।