ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানা গেছে।

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • ৪১৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

সম্প্রতি পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তর ও এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ নিয়ে জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও তোলপাড়। সংবাদটিতে দাবি করা হয়েছে, অধিদপ্তরের একটি মেরামত প্রকল্প মৌখিকভাবে কোন এক ঠিকাদারকে প্রদান করা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষণে জানা যায়, যে রুমটির বর্ধিত কাজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেই প্রকল্পের জন্য এখনো কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, কার্যাদেশ প্রদান করা হয়নি, এমনকি কোনো ধরনের কাজ বাস্তবায়নও শুরু হয়নি। বিল প্রদানের তো প্রশ্নই ওঠে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো নির্মাণ বা মেরামতের কাজ প্রকৌশল দপ্তরের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে, যা শুরু হয় দরপত্র আহ্বান ও কার্যাদেশ প্রদানের মাধ্যমে। এসব প্রক্রিয়া নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনেই পরিচালিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কেবল কারিগরি অনুমোদন ও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু অসাধু ও স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এই ধরনের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। একটি দায়িত্বশীল সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এবং একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম নষ্ট করতেই এই প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটা অত্যন্ত হাস্যকর যে, কোনো দরপত্র বা কাজের অনুমোদন ছাড়াই কেবল মুখে মুখে কাজ দেওয়ার কল্পনা করা হচ্ছে। এটা সরকারি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী এবং সুস্পষ্টভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তাঁর মতে, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই অভিযোগ তুলেছে, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার—প্রশাসনের কাজে বিঘ্ন ঘটানো এবং দপ্তরের সুনাম ক্ষুন্ন করা। আমরা আশা করি, সবাই গুজব নয়, বরং সত্য যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করবেন।

তাই এই পরিস্থিতিতে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম ও জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—সত্যতা যাচাই না করে কোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকতে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান রক্ষায় সতর্ক থাকতে।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানা গেছে।

আপডেট সময় : ১০:৫৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

সম্প্রতি পাবনা গণপূর্ত অধিদপ্তর ও এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ নিয়ে জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও তোলপাড়। সংবাদটিতে দাবি করা হয়েছে, অধিদপ্তরের একটি মেরামত প্রকল্প মৌখিকভাবে কোন এক ঠিকাদারকে প্রদান করা হয়েছে, যা প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানা গেছে।

বিশ্লেষণে জানা যায়, যে রুমটির বর্ধিত কাজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সেই প্রকল্পের জন্য এখনো কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি, কার্যাদেশ প্রদান করা হয়নি, এমনকি কোনো ধরনের কাজ বাস্তবায়নও শুরু হয়নি। বিল প্রদানের তো প্রশ্নই ওঠে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো নির্মাণ বা মেরামতের কাজ প্রকৌশল দপ্তরের নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে, যা শুরু হয় দরপত্র আহ্বান ও কার্যাদেশ প্রদানের মাধ্যমে। এসব প্রক্রিয়া নির্বাহী প্রকৌশলীর অধীনেই পরিচালিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কেবল কারিগরি অনুমোদন ও প্রশাসনিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কিছু অসাধু ও স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এই ধরনের অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। একটি দায়িত্বশীল সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এবং একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত সুনাম নষ্ট করতেই এই প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটা অত্যন্ত হাস্যকর যে, কোনো দরপত্র বা কাজের অনুমোদন ছাড়াই কেবল মুখে মুখে কাজ দেওয়ার কল্পনা করা হচ্ছে। এটা সরকারি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী এবং সুস্পষ্টভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তাঁর মতে, যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই অভিযোগ তুলেছে, তাদের উদ্দেশ্য পরিস্কার—প্রশাসনের কাজে বিঘ্ন ঘটানো এবং দপ্তরের সুনাম ক্ষুন্ন করা। আমরা আশা করি, সবাই গুজব নয়, বরং সত্য যাচাই করে সংবাদ প্রকাশ করবেন।

তাই এই পরিস্থিতিতে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম ও জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে—সত্যতা যাচাই না করে কোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকতে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান রক্ষায় সতর্ক থাকতে।