ঢাকা ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন সম্পন্ন বিটিভির বার্তা বিভাগে ক্ষমতার অপব্যবস্থাপনা: মুন্সী ফরিদুজামান ও সৈয়দা তাসমিনা আহমেদের নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক ঠাকুরগাঁও সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ ঠাকুরগাঁওয়ে সেনা অভিযানে ২১ বোতল ফেন্সিডিলসহ তালিকাভুক্ত জুলাই যোদ্ধা আটক গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা: রাজৈরে মানববন্ধন, দোষীদের ফাঁসির দাবি এস. আলম গ্রুপের ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচারের অভিযোগ: ১১৭ দেশে নজিরবিহীন অনুসন্ধান জামায়াতের ভাব বেড়ে গেছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জালিয়াতির চক্রে রাজউক।নথি জালিয়াতিতে জড়িত রাজউকের বিশেষ চক্রের সাথে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ। লক্ষ্মীপুরে আলোচিত যুবলীগ–ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার উখিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ আরাকান আর্মির এক সদস্যের আত্মসমর্পণ

ওয়ালিদ এর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার ও ৬৫ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • ১২৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

দেশের নামকরা ব্যবসায়ীদের একজন গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আহমেদ ইউসুফ ওয়লিদ। যার জাতীয় পরিচয়পত্র নং: ৪১৯ ৫৮৪ ৬৬৯৮, পাসপোর্ট নম্বর: ই০০০৯০২০০), পিতা- তৌফিক উদ্দীন আহমেদ, মাতা: নাজিবা বেগম। ঠিকানা: গ্যালাক্সি গ্রুপ, তাজ ম্যারিয়ট, ৬ষ্ঠ তলা, ২৫, গুলশান এভিনিউ, ঢাকা- ১২১২। স্থায়ী ঠিকানা: বাড়ী ৭/এ, রাস্তা: ১১৬, গুলশান- ১, ঢাকা- ১২১২ এর বিরুদ্ধে আওয়ামী ছত্রছায়ায় বিদেশে টাকা পাচার ও ৬৫ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার সৈয়দ আল-কায়সার গতকাল এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ দেশে নানা ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে গড়ে তুলেছেন নানা ব্যবসা। সেখানে রয়েছে একাধিক বাড়ি ও গাড়ি। আওলাদ গংদের সেকেন্ড হোম হওয়ায় স্ত্রী সন্তানরা প্রায়ই থাকেন দুবাইতে। লেখাপড়াও চলছে সেখানেই। দুবাইয়ের এতো সব কিছুর পেছনে আছে বাংলাদেশের পাশাপাশি তার দুবাইয়ের সিটিজেন শীপ যা আবার অঢেল অর্থ ব্যতীত অসম্ভব। থাইল্যান্ডে তার মালিকানাধীন বিলাস বহুল একটি হোটেলও আছে। অঢেল এ অর্থ তিনি অবৈধভাবে কামিয়ে পাচার করেছেন হুন্ডির মাধ্যমে যা এখনো চলমান। আর অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করতে বিভিন্ন সময়ই জড়িয়েছেন নানা অনৈতিক কাজে।

এসব করতে গিয়ে সামনে আসা বাঁধা বিপত্তি কাটাতে ঢাল হিসেবে রেখেছিলেন নামকরা রাজনীতিবিদদের। এক সময় তার প্রতিষ্ঠানে গেলেই যেগুলোর অস্তিত্ব টের পাওয়া যেত। দেয়াল জুড়ে দেখা যেত তোফায়েল আহমেদ, সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনু’র সাথে হাস্যোজ্জল ছবি। কখনো ইউসুফ ওয়ালিদের নিজের আবার কখনো তার পরিবারের সদস্য ও গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে তোলা এসব ছবি তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষমতা জানান দিতো। আর খুনি হাসিনার এসব দোসরদের ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে পরিচয় দিয়েও বাগিয়ে নিয়েছেন নানা অনৈতিক সরকারী সুবিধা। ওয়ালিদের স্ত্রী মেরিনা আহমেদ, কন্যা ওয়ামিয়ান ওয়ার ওয়ালিদ, আত্মীয় শামসুদ্দিন চৌধুরী মিনার প্রত্যেকেই গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত।

২০১৪ এবং ২০১৮ তে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিলো আওয়ামী শাসনামলের অন্যতম সুবিধাভোগী এ ব্যবসায়ী ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। গ্যালাক্সি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জিবিএক্স লজিষ্টিক এর বিরুদ্ধে ওঠা ঐ অভিযোগ এর তদন্তে আন্তর্জাতিক শিপিং ব্যবসা থেকে বড় কমিশন লাভ করলেও যথাযথ কর পরিশোধ না করার প্রমাণ মিলেছিলো।

এনবিআর এর সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট ঘটনা তদন্ত করে জমা দেয়ার পর ওই কোম্পানির বিপরীতে উপ-কর কমিশনার একটি দাবী সম্বলিত চিঠি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠান। কিন্তু যার মাথার ওপর ও আশ পাশে তোফায়েল, সালমান ও ইনুর মতো দুর্নীতিবাজদের উপস্থিতি ছিলো তাকে বা তার পরিবারকে ছোঁয়ার সাহস ছিলোনা কারোই। ফলে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির অনুমোদন দেননি। এতে ওই কোম্পানি থেকে অনাদায়ী কর আদায় করা যায়নি। যা নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছিলো আদালত। জানতে চেয়েছিলো কিভাবে ম্যানেজ করা হয়েছিলো দুদককে কেন চুপ থাকছে সব প্রতিষ্ঠানই।

৫ আগস্টের আগে পরে আওয়ামী দোসরদের অবৈধ অর্থ হুন্ডির ম্যাধমে বিদেশে পাচারও করেছেন তিনি। জানা গেছে ওয়ালিদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের সকল অর্থনৈতিক অপকর্ম ম্যানেজ করে আসছেন শামসুদ্দিন মিনার ও তালুকদার নামের দুই ব্যক্তি। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করার দায়িত্ব পালন করে বেলায়েত নামক আরেক ব্যক্তি। রাজস্ব সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করে মিজান এবং সৌরভ। কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ অর্থকে বৈধ করতে সিদ্ধহস্ত এ দুই ব্যক্তি সকল রকমের ডকুমেন্ট তৈরী ও সরবরাহ করে থাকেন।

আওলাদ এর মালিকানাধীন গ্যালক্সি এয়ার ওয়েজ-এর এয়ারলাইন্স ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থও থাকছে না বাংলাদেশে। হুন্ডির মাধ্যমে তা পাচার করা হচ্ছে বিদেশে। আওয়ামী শাসনামলে দুর্নীতির ম্যাধমে টাকার কুমির বনে যাওয়া ওয়ালিদ গং আঁৎকে উঠেছিলেন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময়। তাই টাকা ঢেলে এবং কিছু ক্ষেত্রে ভাড়াটে লোক পাঠিয়ে আন্দোলন দমানোর হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়ার অভিযোগ আছে ইউসুফ ওয়ালিদ এবং তার ডান শামসুদ্দিন মিনারের বিরুদ্ধে। মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামী করা হয় এ দু জনকে (মামলা নং: ৩৪/১২৪৪)। তবে আওয়ামী দোসররা পালিয়ে গেলেও তাদের সহায়তায় টাকার কুমির বনে যাওয়া ওয়ালিদ গং টাকার প্রভাবে এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়েতে। করছেন অফিস, চালাচ্ছেন দুর্নীতি বাণিজ্য।

এ বিষয়ে সারাক্ষণ বার্তার পক্ষ কথা বলার জন্য গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ এর অফিসে ফোন দিলে তার পিএস জানান,স্যার দেশের বাইরে আছেন।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে বন্ধুমহল ব্লাড ডোনার সোসাইটির ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন সম্পন্ন

ওয়ালিদ এর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচার ও ৬৫ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

দেশের নামকরা ব্যবসায়ীদের একজন গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আহমেদ ইউসুফ ওয়লিদ। যার জাতীয় পরিচয়পত্র নং: ৪১৯ ৫৮৪ ৬৬৯৮, পাসপোর্ট নম্বর: ই০০০৯০২০০), পিতা- তৌফিক উদ্দীন আহমেদ, মাতা: নাজিবা বেগম। ঠিকানা: গ্যালাক্সি গ্রুপ, তাজ ম্যারিয়ট, ৬ষ্ঠ তলা, ২৫, গুলশান এভিনিউ, ঢাকা- ১২১২। স্থায়ী ঠিকানা: বাড়ী ৭/এ, রাস্তা: ১১৬, গুলশান- ১, ঢাকা- ১২১২ এর বিরুদ্ধে আওয়ামী ছত্রছায়ায় বিদেশে টাকা পাচার ও ৬৫ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি ব্যারিষ্টার সৈয়দ আল-কায়সার গতকাল এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগের বর্ণনায় জানাগেছে, গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ দেশে নানা ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে গড়ে তুলেছেন নানা ব্যবসা। সেখানে রয়েছে একাধিক বাড়ি ও গাড়ি। আওলাদ গংদের সেকেন্ড হোম হওয়ায় স্ত্রী সন্তানরা প্রায়ই থাকেন দুবাইতে। লেখাপড়াও চলছে সেখানেই। দুবাইয়ের এতো সব কিছুর পেছনে আছে বাংলাদেশের পাশাপাশি তার দুবাইয়ের সিটিজেন শীপ যা আবার অঢেল অর্থ ব্যতীত অসম্ভব। থাইল্যান্ডে তার মালিকানাধীন বিলাস বহুল একটি হোটেলও আছে। অঢেল এ অর্থ তিনি অবৈধভাবে কামিয়ে পাচার করেছেন হুন্ডির মাধ্যমে যা এখনো চলমান। আর অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করতে বিভিন্ন সময়ই জড়িয়েছেন নানা অনৈতিক কাজে।

এসব করতে গিয়ে সামনে আসা বাঁধা বিপত্তি কাটাতে ঢাল হিসেবে রেখেছিলেন নামকরা রাজনীতিবিদদের। এক সময় তার প্রতিষ্ঠানে গেলেই যেগুলোর অস্তিত্ব টের পাওয়া যেত। দেয়াল জুড়ে দেখা যেত তোফায়েল আহমেদ, সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনু’র সাথে হাস্যোজ্জল ছবি। কখনো ইউসুফ ওয়ালিদের নিজের আবার কখনো তার পরিবারের সদস্য ও গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে তোলা এসব ছবি তার ও তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষমতা জানান দিতো। আর খুনি হাসিনার এসব দোসরদের ব্যবসায়িক পার্টনার হিসেবে পরিচয় দিয়েও বাগিয়ে নিয়েছেন নানা অনৈতিক সরকারী সুবিধা। ওয়ালিদের স্ত্রী মেরিনা আহমেদ, কন্যা ওয়ামিয়ান ওয়ার ওয়ালিদ, আত্মীয় শামসুদ্দিন চৌধুরী মিনার প্রত্যেকেই গ্রুপের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তা যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত।

২০১৪ এবং ২০১৮ তে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিলো আওয়ামী শাসনামলের অন্যতম সুবিধাভোগী এ ব্যবসায়ী ও তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। গ্যালাক্সি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জিবিএক্স লজিষ্টিক এর বিরুদ্ধে ওঠা ঐ অভিযোগ এর তদন্তে আন্তর্জাতিক শিপিং ব্যবসা থেকে বড় কমিশন লাভ করলেও যথাযথ কর পরিশোধ না করার প্রমাণ মিলেছিলো।

এনবিআর এর সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট ঘটনা তদন্ত করে জমা দেয়ার পর ওই কোম্পানির বিপরীতে উপ-কর কমিশনার একটি দাবী সম্বলিত চিঠি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠান। কিন্তু যার মাথার ওপর ও আশ পাশে তোফায়েল, সালমান ও ইনুর মতো দুর্নীতিবাজদের উপস্থিতি ছিলো তাকে বা তার পরিবারকে ছোঁয়ার সাহস ছিলোনা কারোই। ফলে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির অনুমোদন দেননি। এতে ওই কোম্পানি থেকে অনাদায়ী কর আদায় করা যায়নি। যা নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেছিলো আদালত। জানতে চেয়েছিলো কিভাবে ম্যানেজ করা হয়েছিলো দুদককে কেন চুপ থাকছে সব প্রতিষ্ঠানই।

৫ আগস্টের আগে পরে আওয়ামী দোসরদের অবৈধ অর্থ হুন্ডির ম্যাধমে বিদেশে পাচারও করেছেন তিনি। জানা গেছে ওয়ালিদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের সকল অর্থনৈতিক অপকর্ম ম্যানেজ করে আসছেন শামসুদ্দিন মিনার ও তালুকদার নামের দুই ব্যক্তি। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করার দায়িত্ব পালন করে বেলায়েত নামক আরেক ব্যক্তি। রাজস্ব সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ করে মিজান এবং সৌরভ। কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ অর্থকে বৈধ করতে সিদ্ধহস্ত এ দুই ব্যক্তি সকল রকমের ডকুমেন্ট তৈরী ও সরবরাহ করে থাকেন।

আওলাদ এর মালিকানাধীন গ্যালক্সি এয়ার ওয়েজ-এর এয়ারলাইন্স ব্যবসা থেকে উপার্জিত অর্থও থাকছে না বাংলাদেশে। হুন্ডির মাধ্যমে তা পাচার করা হচ্ছে বিদেশে। আওয়ামী শাসনামলে দুর্নীতির ম্যাধমে টাকার কুমির বনে যাওয়া ওয়ালিদ গং আঁৎকে উঠেছিলেন ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সময়। তাই টাকা ঢেলে এবং কিছু ক্ষেত্রে ভাড়াটে লোক পাঠিয়ে আন্দোলন দমানোর হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়ার অভিযোগ আছে ইউসুফ ওয়ালিদ এবং তার ডান শামসুদ্দিন মিনারের বিরুদ্ধে। মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় আসামী করা হয় এ দু জনকে (মামলা নং: ৩৪/১২৪৪)। তবে আওয়ামী দোসররা পালিয়ে গেলেও তাদের সহায়তায় টাকার কুমির বনে যাওয়া ওয়ালিদ গং টাকার প্রভাবে এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়েতে। করছেন অফিস, চালাচ্ছেন দুর্নীতি বাণিজ্য।

এ বিষয়ে সারাক্ষণ বার্তার পক্ষ কথা বলার জন্য গ্যালাক্সি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ এর অফিসে ফোন দিলে তার পিএস জানান,স্যার দেশের বাইরে আছেন।