ঢাকা ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গোপন টেন্ডারে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ । পূর্ণ যৌবনা কুমার নদী এখন জৌলুস হারিয়ে মৃত প্রায় নদীতে রূপ নিয়েছে। মাদারীপুরে নবাগত পুলিশ সুপার ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। প্রকাশ্য দিবালোকে খুলনা আদালত চত্বরে গুলি করে দুইজনকে হত্যা। মাদারীপুরের রাজৈরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতি পালন। মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত। বাংলার কিংবদন্তি এক মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়া। টিকটকে প্রেম, ৬ বছরের শিশুকে রেখে পালালো মা। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে গাড়ীর ব্যবসায়ের নামে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা বেইস- টেকের মালিক নীলয়।

স্মৃতির ক্যানভাসে কবি কাজী কাদের নওয়াজের বাড়ি।

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৪১ জন সংবাদটি পড়েছেন

বাংলাদেশের অন্যতম কবি কাজী কাদের নওয়াজ এর বাড়ি শ্রীপুর উপজেলাধীন মুজদিয়া গ্রামে। কবির বাড়িটির অংশবিশেষ এখনো টিকে রয়েছে। কবি ও শিক্ষাবিদ কাজী কাদের নওয়াজ ১৯০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের তালেবপুরে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। তিনি বর্ধমানের মাথরুন উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৩), বহরম কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়থেকে এমএ (১৯২৯) পাস করেন। ১৯৩২ সালে তিনি বিটি পাস করে সাব-ইন্সপেক্টর অব স্কুল পদে যোগদান করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

দেশবিভাগের পর কবি কাজী কাদের নওয়াজ ঢাকায় এসে প্রথমে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পরে ১৯৫১ সালে দিনাজপুর জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণ করে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মুজদিয়াগ্রামে বসবাস করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিলেন।

কবি কাজী কাদের নওয়াজের গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলি হলো: মরাল (১৯৩৬), দাদুর বৈঠক (১৯৪৭), নীল কুমুদী (১৯৬০), মণিদীপ, কালের হাওয়া, মরুচন্দ্রিকা, দুটি পাখি দুটি তারা (১৯৬৬), উতলা সন্ধ্যা ইত্যাদি। তিনি প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, শিশুসাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৩) এবং মাদার বক্স পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৮৩ সালের ৩ জানুয়ারি নিজ গ্রামে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। প্রতি বছর কবির মৃত্যু বার্ষিকীতে কবির বাড়ি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছবি ২০২৫

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গোপন টেন্ডারে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ ।

স্মৃতির ক্যানভাসে কবি কাজী কাদের নওয়াজের বাড়ি।

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের অন্যতম কবি কাজী কাদের নওয়াজ এর বাড়ি শ্রীপুর উপজেলাধীন মুজদিয়া গ্রামে। কবির বাড়িটির অংশবিশেষ এখনো টিকে রয়েছে। কবি ও শিক্ষাবিদ কাজী কাদের নওয়াজ ১৯০৯ সালের ১৫ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদের তালেবপুরে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। তিনি বর্ধমানের মাথরুন উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৩), বহরম কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়থেকে এমএ (১৯২৯) পাস করেন। ১৯৩২ সালে তিনি বিটি পাস করে সাব-ইন্সপেক্টর অব স্কুল পদে যোগদান করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।

দেশবিভাগের পর কবি কাজী কাদের নওয়াজ ঢাকায় এসে প্রথমে নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পরে ১৯৫১ সালে দিনাজপুর জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণ করে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার মুজদিয়াগ্রামে বসবাস করেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিলেন।

কবি কাজী কাদের নওয়াজের গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলি হলো: মরাল (১৯৩৬), দাদুর বৈঠক (১৯৪৭), নীল কুমুদী (১৯৬০), মণিদীপ, কালের হাওয়া, মরুচন্দ্রিকা, দুটি পাখি দুটি তারা (১৯৬৬), উতলা সন্ধ্যা ইত্যাদি। তিনি প্রেসিডেন্ট পুরস্কার, শিশুসাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৩) এবং মাদার বক্স পুরষ্কার লাভ করেন। ১৯৮৩ সালের ৩ জানুয়ারি নিজ গ্রামে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। প্রতি বছর কবির মৃত্যু বার্ষিকীতে কবির বাড়ি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছবি ২০২৫