নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মঙ্গলেরগাঁও বটতলা এলাকায় বর্ষার পানিতে বিকল্প অ্যাপ্রোচ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামের অর্ধলাখ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে হোসেনপুর সড়কে পুরনো সেতু ভেঙে ফেলার পর চলাচলের জন্য নির্মিত বিকল্প সড়কটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে নিচু করে নির্মাণ করায় এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সোনারগাঁ উপজেলা সূত্রে জানা যায়, মোগরাপাড়া-হোসেনপুর বাজার সড়কে মঙ্গলেরগাঁও বটতলা এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য ২ কোটি ১৮ লাখ ১ হাজার ৭২২ টাকা ব্যয়ে কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খাজা চিশতিয়া এন্টারপ্রাইজ। ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হলেও এক বছর সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকল্প সড়কটি বৃষ্টির পানি জমে প্রায়শই হাঁটু পানিতে তলিয়ে থাকে। এতে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী, কর্মজীবীসহ হাজারো মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। গত এক মাসে সড়কে যানবাহন উল্টে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আসিফ হোসেন বলেন, সড়কটি বেশিরভাগ সময় পানির নিচে থাকে। গর্তে পড়ে প্রায়ই অটোরিকশা উল্টে যায়। প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনো কাজ হয়নি। আমাদের কষ্ট দিন দিন বাড়ছে।
সোনারগাঁ সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী আবিদা আক্তার বলেন, বৃষ্টি হলে কলেজে যাওয়া যায় না। সড়কটির কারণে পরীক্ষাও মিস করেছি। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা আছিয়া আক্তার বলেন, ছুটিতে বাড়ি যেতে পারছি না। রাস্তায় ভোগান্তির কারণে পরিবার থেকেও দূরে থাকতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক তমাল ঘোষ সারাক্ষণ বার্তাকে বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা দুঃখিত। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কটি উঁচু করে দিব এবং ১৫ দিনের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করব।
এলজিইডি নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুজ্জামান সারাক্ষণ বার্তাকে বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।