জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব। সেটি পরিচালক দেখেও না দেখার ভান করছেন। যেমন আউটসোর্সিং এর কাজের ব্যাপারে শেরেবাংলা নগরের গডফাদার আওয়ামী লীগের নেতা কাজল, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা মহব্বত ও কমিশনার মিতা”অনেস্ট সিকিউরিটি” নামে এই কোম্পানীটা পরিচালনা করেন। তারা এখন সবাই পলাতক থাকলেও তাদের কোম্পানীর সেবা চালু রয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব? এই কোম্পানির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও টেন্ডার না করে দুই বছরের কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। পরিচালকসহ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা শুধু বলেন, মন্ত্রণালয় দুই বছর এই কোম্পানিকে মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। মন্ত্রণালয় কখনো কাজের মেয়াদ বাড়ায় না। কাজের মেয়াদ বাড়ায় হাসপাতালের পরিচালক। তাও সর্বোচ্চ এক বছরের। কিন্তু এখানে দেখা গেছে দুই বছর কাজের মেয়াদ বাড়িয়েছে। এটা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এসব আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিষ্ঠান এখনো কিভাবে আউট সোর্সিং এর কাজ করছে,কিভাবে মন্ত্রণালয় থেকে কাজের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়েছে তা জানার জন্য পরিচালককে বারবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। এই হাসপাতালে এখনো কিছু আওয়ামী লীগের দালাল আছে। যারা আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। যার কারণে কোন টেন্ডার না দিয়ে এই “অনেস্ট সিকিউরিটি” কোম্পানিকে দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে, যা সম্পূর্ণ পিপিআর এর বিধি বহির্ভূত। আইনের কোথাও এরকম কোন বিধান নেই। এইসব অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দুদকের পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
এই অবৈধ কাজের সাথে জড়িত অ্যাকাউন্টস অফিসার নাজমুল মাহমুদ। এরা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, এখনো আওয়ামী লীগের দোসরই আছে।
এই চক্রে লিস্টেড আরো কয়েকজন ডাক্তার আছেন, যেমন: ডাঃ মোস্তফা কামাল, ডা: মেহেদী হাসান, উপ-পরিচালক ও পরিচালক। টাকা পেলে এরা গোটা হাসপাতালটাকেই বিক্রি করে দিতেও দ্বিধাবোধ করবেন না।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায, প্রতিটা টেন্ডার এ এরা ঠিকাদারদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচ পান। নাজমুল একজন একাউন্টস অফিসার অথচ: সে কত টাকার মালিক এটা হিসেব করে বলা মুশকিল। ঢাকাতে বাড়ি, গাড়িতো আছেই। এমনও শোনা যায়, নাজমুলের বিদেশেও বাড়ি আছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে নাজমুল ও মাহমুদের সকল অপকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসবে।
যেমন এবার রিপেয়ারিং এর যত কাজ হয়েছে তা ওয়ার্ড মাস্টারদের দ্বারা করানো হয়েছে। কাজ হয়েছে নামে মাত্র। প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি দিয়ে ঠিকাদারী কাজ করানো নিষেধ আছে। এ ধরনের চর্চা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত। কোন সরকারি চাকরিজীবী এসব কাজ করতে পারেন না । তাহলে কিভাবে এরা ওয়ার্ড মাস্টারদের দিয়ে ঠিকাদারী কাজ করিয়েছেন? কাজ করেছেন পাঁচ লাখ টাকার আর বিল তুলেছেন এক থেকে দেড় কোটি টাকার। এগুলো শুনলে মনে হয় এরা সব দুর্নীতির দানব।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর পদক্ষেপ কামনা করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র,জনতা।