ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

মাগুরায় সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৭ লাখ টাকা উধাও: গ্রাহকের অভিযোগে তোলপাড়

সোনালী ব্যাংক লিঃ পিএলসি মাগুরা শাখার এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলনের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মোঃ টিটুল অভিযোগ করেছেন, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রতারক চক্র তার অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে টাকা তুলে নিয়েছে।

মোঃ টিটুল, পিতা-মৃত কাজী আকিম, গ্রাম ইসলামপুর পাড়া, শহীদ মিন্টু সড়ক, মাগুরা। তিনি উষা এস.সি. লিঃ এর মালিক ও চেয়ারম্যান। তার প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের চলতি হিসাব নম্বর ২৪১৪২০০০১৮৩৫২ রয়েছে। অভিযোগে তিনি জানান, নিজে টাকা জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও উক্ত হিসাবে মোট ৮৭ লাখ টাকা জমা হয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি কখনো চেক বই গ্রহণ করেননি।

তবে সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, কে বা কারা তার অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো অর্থ তুলে নিয়েছে। তার দাবি, হিসাব খোলার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বর ০১৬৮৫-৫৫৭৬৫৬ পরিবর্তন করে প্রতারকদের ব্যবহৃত অপরিচিত নম্বর বসানো হয়। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, বড় অঙ্কের টাকা (৫০ হাজারের বেশি) উত্তোলনের আগে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ফোনে নিশ্চিত করার কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। একাধিকবার ১০ লাখ ও ২০ লাখ টাকা একসাথে তোলা হলেও তাকে কখনো জানানো হয়নি, এমনকি কোনো এসএমএসও পাঠানো হয়নি।

টিটুল অভিযোগ করেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে চেক বই ইস্যু করা হয়েছে এবং সেটি ব্যবহার করে ধাপে ধাপে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতেন কিন্তু আমাকে কোনো তথ্য দেননি।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক মাগুরা শাখার বর্তমান ম্যানেজার জানান, “ঘটনাটি আগের ম্যানেজারের আমলে ঘটেছে। আমি অভিযোগ পাওয়ার পর গ্রাহককে ব্যাংকে আসতে বলেছি, কিন্তু তিনি আসেননি।”

অন্যদিকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার জানিয়েছেন, ব্যাংক যদি আইনগত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তিনি নিজেই বাদী হয়ে প্রতারক চক্র ও ব্যাংকের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, দেশের অন্যতম স্বনামধন্য ব্যাংকে এমন ঘটনা নিরাপত্তা ও গ্রাহক আস্থার জন্য বড় হুমকি।

Tag :
About Author Information

Milon Ahammed

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

মাগুরায় সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮৭ লাখ টাকা উধাও: গ্রাহকের অভিযোগে তোলপাড়

আপডেট সময় : ০৫:৫৫:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

সোনালী ব্যাংক লিঃ পিএলসি মাগুরা শাখার এক গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলনের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মোঃ টিটুল অভিযোগ করেছেন, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রতারক চক্র তার অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে টাকা তুলে নিয়েছে।

মোঃ টিটুল, পিতা-মৃত কাজী আকিম, গ্রাম ইসলামপুর পাড়া, শহীদ মিন্টু সড়ক, মাগুরা। তিনি উষা এস.সি. লিঃ এর মালিক ও চেয়ারম্যান। তার প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের চলতি হিসাব নম্বর ২৪১৪২০০০১৮৩৫২ রয়েছে। অভিযোগে তিনি জানান, নিজে টাকা জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও উক্ত হিসাবে মোট ৮৭ লাখ টাকা জমা হয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি কখনো চেক বই গ্রহণ করেননি।

তবে সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, কে বা কারা তার অ্যাকাউন্ট থেকে পুরো অর্থ তুলে নিয়েছে। তার দাবি, হিসাব খোলার সময় দেওয়া মোবাইল নম্বর ০১৬৮৫-৫৫৭৬৫৬ পরিবর্তন করে প্রতারকদের ব্যবহৃত অপরিচিত নম্বর বসানো হয়। ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, বড় অঙ্কের টাকা (৫০ হাজারের বেশি) উত্তোলনের আগে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ফোনে নিশ্চিত করার কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। একাধিকবার ১০ লাখ ও ২০ লাখ টাকা একসাথে তোলা হলেও তাকে কখনো জানানো হয়নি, এমনকি কোনো এসএমএসও পাঠানো হয়নি।

টিটুল অভিযোগ করেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে চেক বই ইস্যু করা হয়েছে এবং সেটি ব্যবহার করে ধাপে ধাপে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতেন কিন্তু আমাকে কোনো তথ্য দেননি।

এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক মাগুরা শাখার বর্তমান ম্যানেজার জানান, “ঘটনাটি আগের ম্যানেজারের আমলে ঘটেছে। আমি অভিযোগ পাওয়ার পর গ্রাহককে ব্যাংকে আসতে বলেছি, কিন্তু তিনি আসেননি।”

অন্যদিকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার জানিয়েছেন, ব্যাংক যদি আইনগত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তিনি নিজেই বাদী হয়ে প্রতারক চক্র ও ব্যাংকের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করবেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, দেশের অন্যতম স্বনামধন্য ব্যাংকে এমন ঘটনা নিরাপত্তা ও গ্রাহক আস্থার জন্য বড় হুমকি।