দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে আবাসন প্রকল্প রূপায়ণ হাউজিং এস্টেট লিমিটেডকে প্ল্যান পাস করার অভিযোগের অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলে গড়িমসির কারণে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন।
অন্যদিকে উপপরিচালক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় একডজন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অবৈধ পথে শতকোটি টাকা ও সম্পদের মালিক হওয়ার সচিত্র সংবাদ গণমাধ্যম ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার হলেও তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়নি।
দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আহসানুল কবীর পলাশকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, কিন্তু সংশ্লিষ্ট নথি বিষয়ক কোনো প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এবং সময় বৃদ্ধির আবেদনও না করায় দুদকের কর্মচারী বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৬ জুলাই কমিশন সভায় ৪৩ (১) বিধি মোতাবেক পলাশকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তিনি প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরাকি ভাতা পাবেন। এ আদেশ গত ৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।