হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ দানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরো প্রায় ৬০০ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হয়েছে।আর এই নিয়োগে প্রায় ১০কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান ও উপ পরিচালক (প্রশাসন) ডা: তারেক এই নিয়োগ বাণিজ্যের মুখ্য নায়ক বলে জানাগেছে। হাইকোর্টের আপীল বিভাগ কর্তৃক এ নিয়োগ হতে ১২৮ টি পদ শুন্য রাখার জন্য নির্দেশনা এবং এ সংক্রান্ত রীট মামলা সচল থাকলেও সেটি কর্ণপাত করা হয়নি। ফলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে সমাপ্ত এনএটিপি প্রকল্পের ১২৮ জন কর্মচারীর চাকুরী রাজস্ব খাতের শুন্য পদের বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে নিযোগের জন্য আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল (১৫০৬/২৫) আবেদন করে। আপিল বিভাগের ২ নং কোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল হকের নেতৃত্বে ফুলকোর্ট বিগত ০১/০৯/২০২৫ ইং তারিখে শুনানীর পর আবেদন গ্রহন করত: ১২৮ টি (৫৪ টি ক্যাশিয়ার এবং ৭৪ টি অফিস সহকারী কাম মুদরাক্ষরিক) পদ শুন্য রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।
উচ্চ আদালতের এই আদেশের সারটিফাইড কপি পেতে সময় লাগবে বিধায় আবেদনকারীদের পক্ষে মো: আবু সেলিম আপিল বিভাগের বিজ্ঞ এ্ডভোকেট অন রেকর্ড এর নিকট হতে এতদসংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে় মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং অধিদপ্তরের ডিজি বরাবর দাখিল করেন এবং আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পদগুলো খালি রাখার জন্য আবেদন করেন।
অধিদপ্তরের ডিজি এবং মন্ত্রনালয়ের সচিব কেউই আপিল বিভাগের নির্দেশনাকে আমলে না নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত ) ড. আবু সুফিয়ান নিজ স্বাক্ষরে গতকাল ৫৪ টি ক্যাশিয়ার পদে নিয়োগাদেশ জারি করেন। যার স্মারক নং ৩৩.০১.০০০০.১০১.১১.৮৪৫.(৫) ২৪-১৯৫৪। যা উচ্চ আদালতের আদেশ অবমাননার অপরাধ।
এর প্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ হয়ে আবেদনকারীগন আজ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক,মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিচালক প্রশাসন, উপ-পরিচালক প্রশাসন, পিএসসি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করে আদালত অবমাননার মামলা করার লক্ষ্যে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন।
আবেদনকারীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে,উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে এই ৫৪ জন কর্মচারি (ক্যাশিয়ার) নিয়োগে মহাপরিচালক ও তার অনুগতচক্র প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তারা দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ানের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।