শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মেয়ে বুশরা সিদ্দিকের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান এ আবেদন করেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মামলার এজাহারনামীয় আসামি বুশরা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামি বুশরা সিদ্দিক কর সার্কেল-১৭৪, কর অঞ্চল- ঢাকা, ০৮ এর একজন আয়করদাতা।
আয়কর আইন অনুযায়ী আয়কর রিটার্ন ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করতে আদালতের আদেশ প্রয়োজন মর্মে উল্লেখ রয়েছে। এজন্য বর্ণিত আসামির আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের মূলকপি জব্দ ও মামলার তদন্তকালে পর্যালোচনার নিমিত্ত সত্যায়িত ছায়ালিপি সরবরাহের আদেশ একান্ত প্রয়োজন।
সরকার পতনের পর ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনা সরকারের সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক। পরে ১৭ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারিক আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক।
এছাড়া তিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তারিক আহমেদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলাও করেছে দুদক। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
গত ২৯ এপ্রিল তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নুরিন তাসমিয়া সিদ্দিকসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গত ১৪ মে তাদের ১৩টি ব্যাংক হিসাবের ছয় কোটি ৭৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৭১ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।
এছাড়া আদালত তাদের ২৪ বিঘা জমিসহ ৫টি প্লট ও ৫টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছে।