বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অপারেশনস পরিচালক ক্যাপ্টেন তাসমিন দোজাকে তার নিয়োগের এক বছরের মধ্যেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই এয়ারলাইন্সের ইতিহাসে প্রথম নারী ফ্লাইট অপারেশনস পরিচালক হিসেবে গত বছর দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
বিমান কর্তৃপক্ষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর তাকে এই পদে নিয়োগ দেয়। এর আগে তিনি এয়ারলাইন্সটির ফ্লাইট অপারেশনস প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর কমার্শিয়াল পাইলটের লাইসেন্স নেন ক্যাপ্টেন দোজা। এই পদে আসার আগে তিনি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের প্রশিক্ষক ছিলেন। এছাড়া বোয়িং ৭৩৭ এর ফ্লিট প্রধান ও প্রশিক্ষক এবং ফকার এফ-২৮ এর প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
বিমান সূত্র জানিয়েছে, সাধারণত এই পদে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ক্যাপ্টেন তাসমিনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের আগেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছ। বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক মাসুদ বরখাস্ত।এয়ারলাইন্সের একটি সূত্র জানায়, বিমানের প্রভাবশালী কয়েকজন পাইলট এই পদে নিয়োগ পেতে তদবির করছেন। এই তালিকায় ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন সাজিদ ও ক্যাপ্টেন তানভীর খুরশিদের নাম রয়েছে।
সূত্রটি আরও বলছে, এই পাইলটেরা ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের’ আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন এবং সরকারের পতনের পরও তারা বিমানে প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন।
তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন আমিনুল বিগত সরকারের সময়ে পরিচালক (পরিকল্পনা) পদে ছিলেন। ক্যাপ্টেন সাজিদ ও ক্যাপ্টেন তানভীরের চাকরির মেয়াদ দুই বছরেরও কম আছে।
সোমবার এই তিনজনের নাম বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিমানের একটি সূত্র বলছে, অতীতে ফ্লাইট অপারেশনস পরিচালক পদে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হলেও এবার জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে এই তিনজনের নাম পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্য থেকেই একজনকে বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেবে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 













