ঢাকা ০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী। নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর।

শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদক্ষেপ কামনা: ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনের আর্থিক নীতিমালা মানছেন না ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শামসুন্নাহার।

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৭০ জন সংবাদটি পড়েছেন

ইডেন মহিলা কলেজের পাবলিক এবং বিভিন্ন ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার নীতিমালায় স্পষ্টত: অনিয়ম রয়েছে। এ কারণে শিক্ষকদের এই সকল পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়নের দাবি করে আসছেন। বিগত সময়ে়র অধ্যক্ষরা তাদের রাজনৈতিক খুঁটির জোরে এবং অফিসের সহায়তায়় নিজেদের ইচ্ছেমতো পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করেছেন সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে। সে সময় সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা একটি সুষ্ঠ নীতিমালা প্রণয়়নে ব্যর্থ হয়ে়ছেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের পরে অর্ন্তবর্তীকালীন সংস্কারপন্থী সরকারের সময় বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. শামসুন্নাহার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর সকল শিক্ষক আশান্বিত হয়েছিলেন যে,এবার হয়তো ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়ন হবে। কিন্তু অধ্যক্ষের দায়ি়ত্ব নেবার পর দেখা যায়় যে বিভিন্ন বিষয়ে় তিনি একাডেমিক কাউন্সিলকে পাশ কাটিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ।

তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে, নিজের ইচ্ছে মতো বিশেষ করে একদিনের নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন, ভিজিলেন্স এর দায়িত্ব বন্টন করছেন। সম্মানী বন্টনে ব্যপক আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এখানে উল্লেখ্য ইডেন মহিলা কলেজ ব্যতীত বাকি সরকারি প্রায় ছয় কলেজেই একই রকম নীতিমালায়় বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়। ঢাকার আশেপাশের কলেজগুলোতে একই বন্টন নীতিমালায়় সম্মানী বন্টিত হয়। শুধুমাত্র ইডেন মহিলা কলেজে এই নীতিমালা প্রণয়়ন করা যায়়নি।

 

অভিযোগ রয়েছে, যেখানে একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষক এক ঘন্টা এবং দেড় ঘন্টার পরীক্ষায়় ১৬০০/-টাকা এবং ১৮০০/-টাকা সম্মানী পান। সেক্ষেত্রে কোন কোন ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ লক্ষাধিক এবং তার কাছাকাছি টাকা নিয়ে় থাকেন । কলেজের হেড ক্লার্ক এবং হিসাব রক্ষকও একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের চেয়ে ১০গুন থেকে ১২গুণ টাকা বেশি পেয়ে় থাকেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়ে়ছে।

অতি সম্প্রতি অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার বন্টন নীতির পরিবর্তন এনেছেন কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন বোধ করেননি । এ বিষয়ে তাকে  প্রশ্ন করা হলে সারাক্ষণ বার্তাকে তিনি বলেন, এটা তার একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত, তিনি ইচ্ছা করলে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নাও নিতে পারেন। এ কারণে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগি শিক্ষকরা এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

পূজা দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার এক গারো কিশোরী।

শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের পদক্ষেপ কামনা: ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার সম্মানী বন্টনের আর্থিক নীতিমালা মানছেন না ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. শামসুন্নাহার।

আপডেট সময় : ০১:২৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইডেন মহিলা কলেজের পাবলিক এবং বিভিন্ন ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার নীতিমালায় স্পষ্টত: অনিয়ম রয়েছে। এ কারণে শিক্ষকদের এই সকল পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়নের দাবি করে আসছেন। বিগত সময়ে়র অধ্যক্ষরা তাদের রাজনৈতিক খুঁটির জোরে এবং অফিসের সহায়তায়় নিজেদের ইচ্ছেমতো পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করেছেন সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে। সে সময় সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যরা একটি সুষ্ঠ নীতিমালা প্রণয়়নে ব্যর্থ হয়ে়ছেন।

জুলাই অভ্যুত্থানের পরে অর্ন্তবর্তীকালীন সংস্কারপন্থী সরকারের সময় বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক  ড. শামসুন্নাহার দায়িত্বপ্রাপ্ত হবার পর সকল শিক্ষক আশান্বিত হয়েছিলেন যে,এবার হয়তো ‘সুষ্ঠ নীতিমালা’ প্রণয়়ন হবে। কিন্তু অধ্যক্ষের দায়ি়ত্ব নেবার পর দেখা যায়় যে বিভিন্ন বিষয়ে় তিনি একাডেমিক কাউন্সিলকে পাশ কাটিয়ে একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ।

তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারি পরিপত্রের তোয়াক্কা না করে, নিজের ইচ্ছে মতো বিশেষ করে একদিনের নিয়োগ পরীক্ষা ও ভর্তি পরীক্ষার কমিটি গঠন, ভিজিলেন্স এর দায়িত্ব বন্টন করছেন। সম্মানী বন্টনে ব্যপক আর্থিক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এখানে উল্লেখ্য ইডেন মহিলা কলেজ ব্যতীত বাকি সরকারি প্রায় ছয় কলেজেই একই রকম নীতিমালায়় বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষা পরিচালিত হয়। ঢাকার আশেপাশের কলেজগুলোতে একই বন্টন নীতিমালায়় সম্মানী বন্টিত হয়। শুধুমাত্র ইডেন মহিলা কলেজে এই নীতিমালা প্রণয়়ন করা যায়়নি।

 

অভিযোগ রয়েছে, যেখানে একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষক এক ঘন্টা এবং দেড় ঘন্টার পরীক্ষায়় ১৬০০/-টাকা এবং ১৮০০/-টাকা সম্মানী পান। সেক্ষেত্রে কোন কোন ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ লক্ষাধিক এবং তার কাছাকাছি টাকা নিয়ে় থাকেন । কলেজের হেড ক্লার্ক এবং হিসাব রক্ষকও একজন কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের চেয়ে ১০গুন থেকে ১২গুণ টাকা বেশি পেয়ে় থাকেন। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়ে়ছে।

অতি সম্প্রতি অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার বন্টন নীতির পরিবর্তন এনেছেন কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন বোধ করেননি । এ বিষয়ে তাকে  প্রশ্ন করা হলে সারাক্ষণ বার্তাকে তিনি বলেন, এটা তার একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত, তিনি ইচ্ছা করলে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নাও নিতে পারেন। এ কারণে শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুক্তভোগি শিক্ষকরা এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।