ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

মাদারীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের।

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

অবৈধ সম্পদ,সরকারী টাকা আত্মসাৎ, তদবির ও দালালীর অভিযোগে মাদারীপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা।মাদারীপুর তরমুগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকার জমি ক্রয় (অবৈধ সম্পদ),শিক্ষকদের সাথে গালাগালি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নয়মূলক কাজের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎসহ বিদ্যালয় চলাকালীন বাহিরে ঘোরাঘুরি বিভিন্ন তদবীর ও দালালির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

এবিষয়ে তাকে গত ৭ আগষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা সাক্ষরিত একটি স্মারক প্রদান করা হয়েছে।সেখানে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(ঘ) বিধিমতে “অসদাচরণ” ও “দুর্নীতি” এর দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

এছাড়াও উল্লেখিত অপরাধের দায়ে তাকে কেন চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা বা উপযুক্ত দন্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

শিক্ষক মনিরুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিচে তুলে ধরা হলো:

★তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে উপজেলা চত্তর, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অযথা ঘুরাফেরা করে বিভিন্ন তদবীর ও দালালী কাজে ব্যস্ত থাকেন।

★তিনি নিজে শ্রেণি পাঠদান করেন না এবং সহকারী শিক্ষকদের শ্রেণি পাঠদান পর্যবেক্ষন করেন না।

★তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নয়মূলক কাজের বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেছেন।

★তিনি সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

★তিনি কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে মাদারীপুর সদর উপজেলায় দুই দাগে খতিয়ান নং ২৪৩ মৌজা নং ১১১ ও খতিয়ান নং ১৮৫৯ মৌজা নং ১১০ যথাক্রমে ০.০৫ একর ৬০.০৫ একর জমি ক্রয় করেছেন যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২.৫ কোটি টাকা। যা তার আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ। সারাক্ষণ বার্তার প্রতিনিধি তার অঢেল সম্পদের বিবরণ জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

মাদারীপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের।

আপডেট সময় : ০১:১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অবৈধ সম্পদ,সরকারী টাকা আত্মসাৎ, তদবির ও দালালীর অভিযোগে মাদারীপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা।মাদারীপুর তরমুগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকার জমি ক্রয় (অবৈধ সম্পদ),শিক্ষকদের সাথে গালাগালি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নয়মূলক কাজের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎসহ বিদ্যালয় চলাকালীন বাহিরে ঘোরাঘুরি বিভিন্ন তদবীর ও দালালির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।

এবিষয়ে তাকে গত ৭ আগষ্ট প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা সাক্ষরিত একটি স্মারক প্রদান করা হয়েছে।সেখানে সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(ঘ) বিধিমতে “অসদাচরণ” ও “দুর্নীতি” এর দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

এছাড়াও উল্লেখিত অপরাধের দায়ে তাকে কেন চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা বা উপযুক্ত দন্ড প্রদান করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

শিক্ষক মনিরুজ্জামান খান এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিচে তুলে ধরা হলো:

★তিনি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে উপজেলা চত্তর, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অযথা ঘুরাফেরা করে বিভিন্ন তদবীর ও দালালী কাজে ব্যস্ত থাকেন।

★তিনি নিজে শ্রেণি পাঠদান করেন না এবং সহকারী শিক্ষকদের শ্রেণি পাঠদান পর্যবেক্ষন করেন না।

★তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নয়মূলক কাজের বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় না করে আত্মসাৎ করেছেন।

★তিনি সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

★তিনি কর্তৃপক্ষের বিনানুমতিতে মাদারীপুর সদর উপজেলায় দুই দাগে খতিয়ান নং ২৪৩ মৌজা নং ১১১ ও খতিয়ান নং ১৮৫৯ মৌজা নং ১১০ যথাক্রমে ০.০৫ একর ৬০.০৫ একর জমি ক্রয় করেছেন যার বাজার মূল্য আনুমানিক ২.৫ কোটি টাকা। যা তার আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ। সারাক্ষণ বার্তার প্রতিনিধি তার অঢেল সম্পদের বিবরণ জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।