ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

রয়েল ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ ।

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬২ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজধানীর তেজগাঁতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, রয়েল ইউনিভার্সিটি ঢাকার ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মকর্তা, মাহমুদা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ সার্টিফিকেট ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

এখানে উল্লেখ্য যে এই দুর্নীতিবাজ এবং কুচক্রী মহিলা মাহমুদা ইতিপূর্বে রাজধানীর ভিকারুন্নেসা স্কুল ও কলেজে হিসাব বিভাগের কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি অনেক দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি এবং অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে চাকরি হারান এবং বিভাগীয় মামলার শিকার হন হন।

এ এই দুর্নীতিবাজ মাহমুদা রয়েল ইউনিভার্সিটিতে এসে যেসব দুর্নীতি করছেন সে সম্পর্কে, বিভিন্ন বিষয়ে নিম্নোক্ত গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে:

ক) সার্টিফিকেট ব্যবসায় সম্পৃক্ততা:

এ অভিযোগে ইতিপূর্বে ১১ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হলেও তারা, বিশেষ করে (আব্দুল্লাহ, দেলোয়ার, ফিরোজ, শাহিদুল, হান্নান) এখনও মাহমুদা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তারা বাইরে থেকে সার্টিফিকেট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সার্টিফিকেট যাচাইয়ের (verification) মাধ্যমে মাহমুদা বেগম কমিশন গ্রহণ করছেন।

তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।

খ) প্রশাসনিক নেতৃত্ব দুর্বল করার প্রচেষ্টা:

দুর্নীতিবাজ মাহমুদা নিজের দোষ ঢাকার জন্য সবসময়ই উপাচার্য রেজিস্টার সিনিয়র অধ্যাপক সহ সকলকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্বল নেতৃত্বের প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।

সব সময়ই উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে অযোগ্য প্রমাণ করার নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

খ) সম্প্রতি, শিক্ষার্থীদের টাকা ও উস্কানি দিয়ে ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেছেন।

 

ঙ) অবৈধভাবে পদলাভের চেষ্টা:

শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে সব সময় কর্তৃপক্ষের কাছে (বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নিকট) নিজেকে সাধু হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন ।

চ) দুর্নীতির দায়ে রয়াল ইউনিভার্সিটির বহিষ্কৃত কর্মীদের ফিরিয়ে এনে পুনরায় সার্টিফিকেট ব্যবসা চালানোর পরিকল্পনা করছেন।

অবগত করার পরও ব্যবস্থা না নেওয়া:

উক্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত থাকা সত্ত্বেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম চলতে থাকলেও প্রতি মাসে প্রায় ২৫ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক এর পক্ষ থেকে বলা হয় যে, এই দুর্নীতিবাজ এবং কুচক্রী এবং ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারের দালাল মাহমুদাকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

অন্যথায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিবে এবং বিচারের মুখোমুখি করবে।

এ বিষয়ে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ প্রশাসন ও রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

রয়েল ইউনিভার্সিটির ফাইন্যান্স বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ ।

আপডেট সময় : ০১:৫২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর তেজগাঁতে অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, রয়েল ইউনিভার্সিটি ঢাকার ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মকর্তা, মাহমুদা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবৈধ সার্টিফিকেট ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

এখানে উল্লেখ্য যে এই দুর্নীতিবাজ এবং কুচক্রী মহিলা মাহমুদা ইতিপূর্বে রাজধানীর ভিকারুন্নেসা স্কুল ও কলেজে হিসাব বিভাগের কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি অনেক দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি এবং অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে চাকরি হারান এবং বিভাগীয় মামলার শিকার হন হন।

এ এই দুর্নীতিবাজ মাহমুদা রয়েল ইউনিভার্সিটিতে এসে যেসব দুর্নীতি করছেন সে সম্পর্কে, বিভিন্ন বিষয়ে নিম্নোক্ত গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে:

ক) সার্টিফিকেট ব্যবসায় সম্পৃক্ততা:

এ অভিযোগে ইতিপূর্বে ১১ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হলেও তারা, বিশেষ করে (আব্দুল্লাহ, দেলোয়ার, ফিরোজ, শাহিদুল, হান্নান) এখনও মাহমুদা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তারা বাইরে থেকে সার্টিফিকেট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সার্টিফিকেট যাচাইয়ের (verification) মাধ্যমে মাহমুদা বেগম কমিশন গ্রহণ করছেন।

তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এ বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে।

খ) প্রশাসনিক নেতৃত্ব দুর্বল করার প্রচেষ্টা:

দুর্নীতিবাজ মাহমুদা নিজের দোষ ঢাকার জন্য সবসময়ই উপাচার্য রেজিস্টার সিনিয়র অধ্যাপক সহ সকলকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং দুর্বল নেতৃত্বের প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।

সব সময়ই উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে অযোগ্য প্রমাণ করার নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

খ) সম্প্রতি, শিক্ষার্থীদের টাকা ও উস্কানি দিয়ে ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেছেন।

 

ঙ) অবৈধভাবে পদলাভের চেষ্টা:

শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে সব সময় কর্তৃপক্ষের কাছে (বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নিকট) নিজেকে সাধু হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন ।

চ) দুর্নীতির দায়ে রয়াল ইউনিভার্সিটির বহিষ্কৃত কর্মীদের ফিরিয়ে এনে পুনরায় সার্টিফিকেট ব্যবসা চালানোর পরিকল্পনা করছেন।

অবগত করার পরও ব্যবস্থা না নেওয়া:

উক্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত থাকা সত্ত্বেও এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম চলতে থাকলেও প্রতি মাসে প্রায় ২৫ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক এর পক্ষ থেকে বলা হয় যে, এই দুর্নীতিবাজ এবং কুচক্রী এবং ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারের দালাল মাহমুদাকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

অন্যথায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিবে এবং বিচারের মুখোমুখি করবে।

এ বিষয়ে ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ প্রশাসন ও রয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের পদক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।