ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তারের সরকারি গাড়িতে মেয়াদোত্তীর্ণ বেশ কিছু ঔষধ হাতেনাতে ধরেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম এরই মধ্যে তদন্তকাজ শুরু করেছে। প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলেছে, তদন্তে কোনো ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল সোমবার সকালে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম ঠাকুরগাঁওয়ে এসে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে তিন সদস্যের তদন্ত টিম ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছে। তদন্ত টিমকে আমরা বলেছি- এর সঠিক কারণ উদঘাটন করার জন্য। এখানে ত্রুটি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে- সরকারি গবাদি পশুর ওষুধগুলো লুকিয়ে একটি চক্রের মাধ্যমে খোলা বিক্রি করতেন। উপজেলার গবাদি পশুর খামার মালিক সিরাজুল আলম বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসে গেলে আমাদের গবাদি পশুগুলো সঠিকভাবে সেবা প্রদান করতেন না উপজেলা কর্মকর্তা। বলতেন, সরকারি ঔষধ নেই। কিন্তু আজ সরকারি ঔষধের রহস্য উন্মোচন হয়েছে। সরকারি ওষুধ তিনি খোলাবাজারে বিক্রি করতেন, কিছু ওষুধ বিক্রি করতে না পেরে সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন খামারি বলেন, সরকারি গবাদি পশুর এসব ঔষধ গোপনে খোলাবাজারে বিক্রির পেছনে অনেক বড় একটি চক্র রয়েছে। আমরা চাই সেই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অভিযোগের বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার বলেন, বিষয়টি নিয়ে যেহেতু তদন্ত চলছে। আমি আশা করি তদন্তের মাধ্যমে সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে। ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজহার আহমেদ খান বলেন, সরকারি গাড়িতে গবাদি পশুর সরকারি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত টিম জেলায় এসেছে। তারা তদন্ত করছে। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সার্কট হাউসে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তারের সরকারি গাড়িতে মেয়াদোত্তীর্ণ বেশ কিছু ঔষধ হাতেনাতে ধরেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।