যশোরে ৩৬ বছর সংসার করার পরেও নিজের স্বামীকে রেখে লিভটুগেদার করছে পঞ্চাশোর্ধ সীমা অধিকারী। প্রেমিক পলাশ কুন্ডুর সাথে শপিং করতে আসলে স্বামী বিকাশ অধিকারী নিজের বিবাহিতা স্ত্রীকে নিজ বাসায় নেওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
যশোর কোতোয়ালি থানার চত্বরে আজ দুপুরে যা ঘটলো, তা সিনেমার চিত্রনাট্য হলেও পরিচালকরা হয়তো বলতেন—“বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে!”
এক নারী, সীমা অধিকারী। একদিকে ৩৬ বছরের সংসারের অভিজ্ঞ স্বামী বিকাশ অধিকারী, অন্যদিকে নতুন প্রেমের পলাশ কুন্ডু। সীমা দেবীকে নিয়ে দুই দিক থেকে টানাটানি এমন পর্যায়ে পৌঁছালো যে, পথচারীরাও ভাবলো—“এটা কি থানা, নাকি মেলার মাঠ?”
বিকাশ বাবু বললেন—“আমার স্ত্রীকে আমি বাড়িতে ফিরিয়ে নেবই।”
পলাশ মশাই পাল্টা বললেন—“না, উনি আমার সঙ্গে থাকতে চান।”
আর মাঝখানে সীমা দেবী দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন—“আমি কারও সংসারের ঝাড়ুদার নই, আমি যাকে চাই, তার সাথেই থাকবো।”
এরপর হাতাহাতি, ঠেলাঠেলি, চিৎকার-চেঁচামেচি—সব মিলিয়ে থানার আঙিনা যেন হয়ে গেল “স্টার জলসা সিরিয়ালের লাইভ শুটিং।”
লোকজন হেসে বলছিলেন—
“এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে গান বদলে গাইতে হবে— একটি মানুষ দুইটি স্বামীর দাবিদার!”কেউ আবার ভিডিও করতে করতে বলছিলেন—“যশোরের নাটক নাকি কলকাতায় রিমেক হবে!”
শেষমেশ পুলিশ এসে তিনজনকেই হেফাজতে নিল। সারাক্ষণ বার্তার প্রতিনিধিকে জানান, স্ত্রীর দাবিতে অনড় দুই জনকেই থানা হেফাজতে রেখে সীমা রানীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।এখন দেখার পালা সীমা রানী আসলে কার ?