ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রামে বহুতল ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
  • ১৩৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

চট্টগ্রাম জেলার হালিশহর এলাকায় জেলা পুলিশ লাইনের নির্মাণাধীন নারী ব্যারাকে নির্মাণকাজ চলাকালীন চরম অবহেলার কারণে একজন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিকের নাম মোঃ ইব্রাহিম (৩৬), পিতা মোঃ আলমগীর। তার স্থায়ী ঠিকানা ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার আমিনাবাদ এলাকায়। জানা গেছে, ইব্রাহিম নারী ব্যারাকের ৬তলায় মাচাঁর ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় মাচাঁ ভেঙে নিচে পড়ে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সাহা জববাড়িয়া লাইসেন্স নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ উঠেছে, কাজ শুরুর দীর্ঘদিন পরেও সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ার, নিরাপদ মাচাঁ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ঘটনার পর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাকির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন এবং ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে।

নির্মাণস্থলে নিরাপত্তার ঘাটতি এবং শ্রমিকের মৃত্যুর এই ঘটনা বাংলাদেশ শ্রম আইন ও নিরাপত্তা বিধির চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন শ্রম বিশেষজ্ঞগণ। নিহতের লাশ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও শ্রম অধিদপ্তরের জরুরি তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট মহল।

এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

চট্টগ্রামে বহুতল ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু, স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দাবি

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম জেলার হালিশহর এলাকায় জেলা পুলিশ লাইনের নির্মাণাধীন নারী ব্যারাকে নির্মাণকাজ চলাকালীন চরম অবহেলার কারণে একজন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিকের নাম মোঃ ইব্রাহিম (৩৬), পিতা মোঃ আলমগীর। তার স্থায়ী ঠিকানা ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার আমিনাবাদ এলাকায়। জানা গেছে, ইব্রাহিম নারী ব্যারাকের ৬তলায় মাচাঁর ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। এ সময় মাচাঁ ভেঙে নিচে পড়ে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সাহা জববাড়িয়া লাইসেন্স নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ উঠেছে, কাজ শুরুর দীর্ঘদিন পরেও সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ার, নিরাপদ মাচাঁ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

ঘটনার পর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাকির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন এবং ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে।

নির্মাণস্থলে নিরাপত্তার ঘাটতি এবং শ্রমিকের মৃত্যুর এই ঘটনা বাংলাদেশ শ্রম আইন ও নিরাপত্তা বিধির চরম লঙ্ঘন বলে মনে করেন শ্রম বিশেষজ্ঞগণ। নিহতের লাশ বর্তমানে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লাশ ঘরে রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও শ্রম অধিদপ্তরের জরুরি তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট মহল।

এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।