ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত!  রাজৈরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন কৃষক দল ও পূজা উদযাপন ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ট্রাক চাপায় এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তোফায়েল আহমেদ। জরুরি ভর্তি করা হল হাসপাতালে। বহু বছর সেনাবাহিনীর থাবায় মুখোশ উন্মোচন হলো মাদক ব্যবসায়ী কাশেম ওরফে ফেন্সি কাসেমের। শেরপুরে দলিত নারীদের মুষ্টির চালে “দুর্গা পূজা”। “গীতার আলো ঘরে ঘরে জ্বালো” এ শ্লোগানে মুখরিত মাদারীপুর। মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজাচ্ছে দেবী দুর্গাকে।মন্ডপে মন্ডপে চলছে মা’কে বরণের প্রস্তুতি। এক রাতের রক্তগাথা: শাপলা চত্বরে নৃশংসতার ১২ বছর। বিসিআইসি: খাদ্য নিরাপত্তা ও শিল্পায়নের অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।

খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের অবশেষে বদলি কার্যকর

দীর্ঘদিন ধরে বদলির আদেশ অমান্য করে খুলনা জেলা পরিষদে বহাল থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানকে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ করে বদলির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি নেত্রকোনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেওয়ার আদেশ পেলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখা থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, মাহাবুবুর রহমানকে ১৩ আগস্টের মধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় ১৪ আগস্ট থেকে তার বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি বলে গণ্য হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাকে বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হলেও তিনি যোগ দেননি। পরে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে বদলি করা হয়, তবুও হাইকোর্টের আদেশ দেখিয়ে খুলনায় বহাল থাকেন।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় মাহাবুবুর রহমান খুলনা জেলা পরিষদে “অঘোষিত চেয়ারম্যান” হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও প্রথম শ্রেণির সুবিধা গ্রহণ, কোটি কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি, ভুতুড়ে প্রকল্প, খেয়াঘাট ইজারায় অনিয়ম, এবং পরিষদের জায়গা দখল করে ব্যবসা এসবের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া জেলা পরিষদের বহুতল আবাসিক ভবন ব্যক্তিগত দখলে রাখা, মোটরসাইকেলের নামে তেল তুলে ব্যক্তিগত গাড়ির খরচ চালানো, এবং নিজের প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দুর্নীতি আড়াল করার অভিযোগও রয়েছে।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর কিছুদিন নীরব থাকলেও পরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পুনরায় সক্রিয় হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসএম মাহাবুবুর রহমান। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী বুধবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

Tag :
About Author Information

Milon Ahammed

জনপ্রিয় সংবাদ

নেপথ্যে ১০ কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হাইকোর্টের আপীল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে ৫৪ জন কর্মচারি নিয়োগ, আরো প্রায় ৬০০জনের নিয়োগ চুড়ান্ত! 

খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমানের অবশেষে বদলি কার্যকর

আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরে বদলির আদেশ অমান্য করে খুলনা জেলা পরিষদে বহাল থাকা প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহাবুবুর রহমানকে অবশেষে স্ট্যান্ড রিলিজ করে বদলির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি নেত্রকোনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেওয়ার আদেশ পেলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখা থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, মাহাবুবুর রহমানকে ১৩ আগস্টের মধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হবে, অন্যথায় ১৪ আগস্ট থেকে তার বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি বলে গণ্য হবে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাকে বগুড়া জেলা পরিষদে বদলি করা হলেও তিনি যোগ দেননি। পরে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদে বদলি করা হয়, তবুও হাইকোর্টের আদেশ দেখিয়ে খুলনায় বহাল থাকেন।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় মাহাবুবুর রহমান খুলনা জেলা পরিষদে “অঘোষিত চেয়ারম্যান” হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হয়েও প্রথম শ্রেণির সুবিধা গ্রহণ, কোটি কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি, ভুতুড়ে প্রকল্প, খেয়াঘাট ইজারায় অনিয়ম, এবং পরিষদের জায়গা দখল করে ব্যবসা এসবের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া জেলা পরিষদের বহুতল আবাসিক ভবন ব্যক্তিগত দখলে রাখা, মোটরসাইকেলের নামে তেল তুলে ব্যক্তিগত গাড়ির খরচ চালানো, এবং নিজের প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দুর্নীতি আড়াল করার অভিযোগও রয়েছে।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর কিছুদিন নীরব থাকলেও পরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পুনরায় সক্রিয় হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগীরা দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসএম মাহাবুবুর রহমান। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী বুধবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।