উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল ও মেঘালয়ে টানা ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এ পরিস্থিতিতে লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের শনিবার (৯ আগস্ট) দেওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন তিস্তার পানি বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। একই সময়ে সুরমা-কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর পানিও সতর্কসীমায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি গঙ্গা ও পদ্মার পানি সমতলও ক্রমশ বাড়ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বহু চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। বিশেষভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে পাটগ্রাম: গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ: ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী
আদিতমারী: মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া, পলাশী
সদর: ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী, গোকুন্ডা
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ঢাকার বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। তবে পানি বৃদ্ধি দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। সাময়িকভাবে কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।