চলনবিলের বিভিন্ন এলাকায় এখন পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো ও বাজারে বিক্রিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। কয়েকদিন আগে ভারি বৃষ্টিতে জলাশয়ে পানি জমে যাওয়ায় কৃষকরা পাট কাটতে পারছেন। তবে কিছু উঁচু এলাকায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় কৃষকরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮০ হেক্টর বেশি। কৃষি বিভাগ এ বছর এক হাজার ১০০ কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় অতিরিক্ত সেচের খরচ হয়নি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাইও কম হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানাচ্ছেন, ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর পাট চাষে ঝুঁকেছেন অনেকেই। দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের কৃষক সোহান জানান, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়, উৎপাদন হয় প্রায় ৮-১০ মণ, যার বাজারদর ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠিও বিক্রি করা যায়। গত বছর প্রতি মণ পাট ২-৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার ৩২০০ থেকে ৩৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলিমিয়া জান্নাত বলেন, তাড়াশ উপজেলায় দিন দিন পাট চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ ও উন্নত জাতের পাট চাষ বৃদ্ধিতে কাজ করছে।