ঢাকা ০১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
মাগুরায় আওয়ামিলীগ নেতা মুহিতের ম্যানেজার মিরাজ  হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার। অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি। মৃত মানুষকে জীবিত দেখিয়ে রোমহর্ষক জমি জালিয়াতি। আওয়ামীলীগ নেতা, দলিল লেখক ও সাব- রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আদালতে। মহান বিজয় দিবসে রাজৈর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্যে রাজৈরে কমর্রত সাংবাদিকদের ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। অধ্যক্ষ সৈয়দ রবিউল আলমের অতীত স্মৃতির “বিজয় ৭১” কদমবাড়ীর মেধাবী কন্যা শৈলী মনি দত্ত একজন মানবিক চিকিৎসক হতে চায়। *জেল হাজতে যমুনা অয়েলের ‘তেল মাফিয়া’ এয়াকুব : নেপথ্যের ক্ষমতার অবসান, ভাঙছে ১৭ বছরের দুর্নীতির সাম্রাজ্য** অধ্যক্ষ সৈয়দ রবিউল আলমের অতীত স্মৃতির “বিজয় ৭১” ভারতে আওয়ামী লীগের প্রায় ৪৫ হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন — এমনটা জানা গেছে এ বছরের শুরুর দিকে।  হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা দুই সন্দেহভাজনদের অবস্থান এখন আসামের গুয়াহাটি।

মাগুরায় আওয়ামিলীগ নেতা মুহিতের ম্যানেজার মিরাজ  হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার।

 

 

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুনুর রশীদ মুহিত এর ম্যানেজার মিরাজ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মাগুরা জেলা পুলিশ।

মাগুরার হাজরাপুর ইউনিয়ন এর রাজারামপুর গ্রামের আজিজুর মুন্সি হত্যা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে ।

আজ সন্ধা ৬ টার দিকে মাগুরা শহরের জজ কোর্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করে মাগুরা সদর থানা পুলিশ।  সাবেক আওয়ামী এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্ঠ সহচর মিরাজ:

 

মাগুরার সাবেক এমপি ও জুলাই আগস্ট ছাত্র হত্যা মামলার আসামী সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এই মিরাজ হোসেন।

১৫ বছর আগে গ্যাসের দোকানের কর্মচারী থেকে আওয়ামী এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের আশীর্বাদে হয়ে যান আওয়ামীলীগ নেতা ও শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূনুর রশীদ মুহিতের ব্যবসায়ীক পার্টনার। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অবৈধ আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে গড়েছেন অঢেল ধনসম্পদ। শহরে ডেভলেপার ব্যবসা সহ কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন যে সম্পদের কোন বৈধতা নেই।

আওয়ামীলীগ নেতা মুহিতের সম্পদ রক্ষাকারী:

জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখর ও শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি পলাতক হুমায়ূনুর রশীদ মুহিতের সম্পদ রক্ষা, অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও নিয়মিত তাদের অর্থ সর্বরাহ করার কাজ করছেন এই মিরাজ হোসেন।

আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী মিরাজ:

তফসিল ঘোষনার পর থেকে নির্বাচন বানচাল ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে পতিত আওয়ামিলীগ। দেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্তহামলা, সহিংসতা সৃষ্টি ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করতে মরিয়া পতিত আওয়ামিলীগ। রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা নানা কৌশলে নাশকতা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের নির্দেশে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্যতম হোতা হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মিরাজ হোসেন।

মুন্সি আজিজুর হত্যাকান্ড:

গত ৬ ডিসেম্বর মাগুরার হাজরাপুর ইউনিয়ন এর রাজারামপুর গ্রামের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আজিজুর মাগুরা থেকে ফেরার পথে গোরিচরণপুর এলাকায় গুপ্ত হামলার স্বীকার হয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে মারা যান। পরে নিহতে আজিজুরের ফোনের কল রেকর্ড থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া বিল্লাল হোসেন মিরাজের অনুসারী ও নিকটজন।

বিএনপি নেতাকে ম্যানেজ করে আরও বেপরোয়া:

মিরাজ হোসেন এর বাবা মতিয়ার রহমান মাগুরা জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আলী আহম্মেদ এর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মিরাজ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিয়মিত হাজরাপুর ইউনিয়ন এর সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো, চাদা আদায় ও হামলা করে আহত করা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। যার অঘোষিত গফাদার এই মিরাজ হোসেন।

দুদকের তদন্ত দাবী:

এক সময় কাজের সন্ধানে মাগুরা এসে গ্যাসের দোকানের কর্মচারীর কাজ নেয় মিরাজ হোসেন। সেখান থেকে মাত্র ১০ বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক কিভাবে হল এই মিরাজ তা এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন। মাগুরাবাসী দুদকের সঠিক দদন্ত দাবী করেছেন।

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় আওয়ামিলীগ নেতা মুহিতের ম্যানেজার মিরাজ  হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার।

মাগুরায় আওয়ামিলীগ নেতা মুহিতের ম্যানেজার মিরাজ  হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার।

আপডেট সময় : ১১:১৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

 

 

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাকোল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুনুর রশীদ মুহিত এর ম্যানেজার মিরাজ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মাগুরা জেলা পুলিশ।

মাগুরার হাজরাপুর ইউনিয়ন এর রাজারামপুর গ্রামের আজিজুর মুন্সি হত্যা মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে ।

আজ সন্ধা ৬ টার দিকে মাগুরা শহরের জজ কোর্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করে মাগুরা সদর থানা পুলিশ।  সাবেক আওয়ামী এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্ঠ সহচর মিরাজ:

 

মাগুরার সাবেক এমপি ও জুলাই আগস্ট ছাত্র হত্যা মামলার আসামী সাইফুজ্জামান শিখরের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এই মিরাজ হোসেন।

১৫ বছর আগে গ্যাসের দোকানের কর্মচারী থেকে আওয়ামী এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের আশীর্বাদে হয়ে যান আওয়ামীলীগ নেতা ও শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূনুর রশীদ মুহিতের ব্যবসায়ীক পার্টনার। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অবৈধ আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে গড়েছেন অঢেল ধনসম্পদ। শহরে ডেভলেপার ব্যবসা সহ কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন যে সম্পদের কোন বৈধতা নেই।

আওয়ামীলীগ নেতা মুহিতের সম্পদ রক্ষাকারী:

জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখর ও শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি পলাতক হুমায়ূনুর রশীদ মুহিতের সম্পদ রক্ষা, অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও নিয়মিত তাদের অর্থ সর্বরাহ করার কাজ করছেন এই মিরাজ হোসেন।

আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী মিরাজ:

তফসিল ঘোষনার পর থেকে নির্বাচন বানচাল ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে পতিত আওয়ামিলীগ। দেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্তহামলা, সহিংসতা সৃষ্টি ও ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করতে মরিয়া পতিত আওয়ামিলীগ। রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ হওয়ায় তারা নানা কৌশলে নাশকতা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। সাবেক এমপি সাইফুজ্জামান শিখরের নির্দেশে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্যতম হোতা হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মিরাজ হোসেন।

মুন্সি আজিজুর হত্যাকান্ড:

গত ৬ ডিসেম্বর মাগুরার হাজরাপুর ইউনিয়ন এর রাজারামপুর গ্রামের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আজিজুর মাগুরা থেকে ফেরার পথে গোরিচরণপুর এলাকায় গুপ্ত হামলার স্বীকার হয়ে মাগুরা সদর হাসপাতালে মারা যান। পরে নিহতে আজিজুরের ফোনের কল রেকর্ড থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া বিল্লাল হোসেন মিরাজের অনুসারী ও নিকটজন।

বিএনপি নেতাকে ম্যানেজ করে আরও বেপরোয়া:

মিরাজ হোসেন এর বাবা মতিয়ার রহমান মাগুরা জেলা বিএনপির আহব্বায়ক আলী আহম্মেদ এর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মিরাজ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিয়মিত হাজরাপুর ইউনিয়ন এর সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখানো, চাদা আদায় ও হামলা করে আহত করা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। যার অঘোষিত গফাদার এই মিরাজ হোসেন।

দুদকের তদন্ত দাবী:

এক সময় কাজের সন্ধানে মাগুরা এসে গ্যাসের দোকানের কর্মচারীর কাজ নেয় মিরাজ হোসেন। সেখান থেকে মাত্র ১০ বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক কিভাবে হল এই মিরাজ তা এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন। মাগুরাবাসী দুদকের সঠিক দদন্ত দাবী করেছেন।