ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ:
মাগুরায় আওয়ামিলীগ নেতা মুহিতের ম্যানেজার মিরাজ  হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার। অমর একুশে বইমেলা শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি। মৃত মানুষকে জীবিত দেখিয়ে রোমহর্ষক জমি জালিয়াতি। আওয়ামীলীগ নেতা, দলিল লেখক ও সাব- রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আদালতে। মহান বিজয় দিবসে রাজৈর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্যে রাজৈরে কমর্রত সাংবাদিকদের ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ। অধ্যক্ষ সৈয়দ রবিউল আলমের অতীত স্মৃতির “বিজয় ৭১” কদমবাড়ীর মেধাবী কন্যা শৈলী মনি দত্ত একজন মানবিক চিকিৎসক হতে চায়। *জেল হাজতে যমুনা অয়েলের ‘তেল মাফিয়া’ এয়াকুব : নেপথ্যের ক্ষমতার অবসান, ভাঙছে ১৭ বছরের দুর্নীতির সাম্রাজ্য** অধ্যক্ষ সৈয়দ রবিউল আলমের অতীত স্মৃতির “বিজয় ৭১” ভারতে আওয়ামী লীগের প্রায় ৪৫ হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন — এমনটা জানা গেছে এ বছরের শুরুর দিকে।  হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা দুই সন্দেহভাজনদের অবস্থান এখন আসামের গুয়াহাটি।

অধ্যক্ষ সৈয়দ রবিউল আলমের অতীত স্মৃতির “বিজয় ৭১”

  • সারাক্ষণ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৯০ জন সংবাদটি পড়েছেন

ফিরে দেখা বিজয় ৭১

তারিখ মনে নেই।সেবার ভয়াবহ বন্যার পানি মাঠ থেকে প্রায় নেমে গিয়েছে।ডাংগার দিকের জল নেমে কচি ঘাসের অগ্রভাগ লম্বা হতে শুরু করেছে।আমরা এ ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিজের ছাগল গুলো এ ঘাসে বাঁধার জন্য বিকেলে মাঠে দাড়িয়ে ছিলাম।অব্যবহিত দুপুর পরের বিকেলের রোদ তখন নিস্তেজ হতে শুরু করেছে। আমার দুটো ছাগল রবি শশী। তারা মুখ ভেংচিয়ে ঘাসগুলো খাচ্ছিল।কারণ সবে জল নেমে মাটিতে গজিয়ে উঠা ঘাস ছাগলের মুখরোচক নয়।তাই ছাগল গুলো যেন ইচ্ছের বিরুদ্ধেই খাচ্ছিলো আর ভ্যা ভ্যা করছিল।ছোট খালা উঠোনে বসে খাল থেকে মারা পুটিমাছ কুটছিল। অনেক উপর দিয়ে একটি সাদা সিলভার রংয়ের যুদ্ধ বিমান মধুমতী নদীর উপর দিয়ে উত্তর দিকে উড়ে যেতে লেখলাম। নয় মাস কোনো বিমান তেমন দেখিনা আকাশে। বিমানটি দেখে বেশ কোতুহলী হয়ে পড়েছিলাম। তাই বিমানটির দিকে তাকিয়েই ছিলাম।তখন ফাঁকা মাঠ আজকের মত এত গাছপালা ছিলনা।তাই বিমানটি মাঠের ভিতর থেকে ভাল ভাবেই দেখা যাচ্ছিল।হঠাৎ বিমানটি চিলের মত ছো মারল।তারপর বেশ গুলির শব্দ শোনা গেল।কিন্তু বিমানটিকে নিরাপদেই আবার আকাশে দেখা গেল এবং পশ্চিম দিকে ছুটে চলে গেল। বিমানের ছো মারার অবস্থান আর গুলির শব্দ জায়গাটাকে চিনাতে ভুল করেনি।তা কামারখালী। এ দৃশ্য দেখে খালাকে বলতেই বললেন, “ওটা যুদ্ধ বিমান “।

 

ছোট খালু তখন পাকিস্তান আর্মির সদস্য কিন্তু বাংগালী হওয়ায় করাচিতে বন্দি।খালুর নিকট যুদ্ধবিমানের অনেক গল্প শুনেছে তাই খালা সহজেই এ বিমান চিনে ফেলেছিলেন।

 

বিমানটি উড়ে পশ্চিম দিক হয়ে ভারতের ঘাটিতে যাওয়ার আগে মাগুরায় ওয়াপদা ব্রিজের উপর বোমা ফেলে নিরাপদে চলে গেল। আমরা বোমের শব্দ পেলাম।কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমরা এ খবর লোক মারফত পেয়েছিলাম। এ খবরে বাড়ির সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল।কারণ এ দিন আমার মামা এবং আব্বা মাগুরায় গিয়েছিলেন সাংসারিক প্রয়োজনে। ব্রিজের কোন ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় নি। তারা তখন বাড়ি ফেরার জন্য টেম্পুর অপেক্ষায় ব্রিজের দক্ষিনে টেম্পু স্ট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। যুদ্ধ বিমানটি বোমা ফেলার সময় শত্রু পক্ষ থেকে কোন প্রতিরোধের মুখোমুখি হয় নাই। বহু মানুষ যেমন বোমার শব্দ পাওয়ার সাথে সাথে যে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায়ই মাটিতে শুয়ে পড়েছিল।কারও নাকে মুখে ধুলো বালি, কেউ রাস্তার ধারে নীচু জায়গায় নয়নঝুলিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ায় নাকে মুখে গোবরও মেখে গিয়েছিল। এ কথাগুলো মামাই বাড়িতে এসে গল্প করেছিল।

 

পরের দিন একই সময়ে একই মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছি।আবার দুটি বোমারু বিমান পাশাপাশি উড়ে এলো দক্ষিন দিক থেকে। কামারখালী বাজারের উপর এসে উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং বোমা ফেলাল। বিকেলের সোনা ঝরা চকচকে রোদে দূর থেকে এ দৃশ্য ভাল করে দেখা যাচ্ছিল।বিকট শব্দ হলো,সে শব্দে এলাকা কেপে উঠল। একটু পরে ধূয়ার কুন্ডলী দেখা গেল।উত্তর বাতাসে সে কুন্ডলী দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হতে থাকল।

 

আমরা জানতে পারলাম সতীশ সাহার পাটের গুদামের পাশেই থাকা সুবিধে কুলুর পাটের গুদামে বোমা ফেলেছে।সুবিধে কুলুর ভাল নাম কি তা জানিনে।তবে মিত্র বাহিনীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল কামারখালী রেল স্টেশনে থাকা পাকিস্তান বাহিনী। স্টেশনটি এ গুদামের পাশে থাকায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বোমা গুদামে পড়ে যায়।তখন বুঝতাম না মূল যুদ্ধ শুরুর পূর্বে বিমান আক্রমণ শুরু করতে হয়।

 

একদিন দুদিন পর মা বললেন, “বাড়ির বাইরে যেওনা, শিখ সেনা এসেছে ডুমুর শিয়া।ডুমুরশিয়া স্কুলে ক্যাম্প করেছে।” তিনি মিত্র বাহিনী কাকে বলে জানতেন না।মিত্র বাহিনীকে এখানকার মানুষ এখনও শিখ সেনা বলে। আমাদের খেলাধুলা চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ রেখা পড়ল।তারপরও আমরা মাঝেমধ্যে বেকি বেড়া পার হয়ে রাস্তায় চলে যেতাম। মা বাইরে যেতে নিষেধ করার কারন ছিল তারা খবর পেল শিখ সেনা কামারখালী যুদ্ধ করতে যাবে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে হরিনা ডাংগা ঘাটে।

 

একদিন সকাল বেলা আমি আমার মেঝ খালার মেয়ে মিলিকে নানার তৈরী করে দেওয়া কাঠের ছোট গাড়িতে করে রাস্তায় ঘুরছিলাম। কামারখালীতে একটি শেল বিস্ফোরণের প্রচন্ড শব্দ পেলাম।শব্দে ভয় পেয়ে ওকে নিয়ে ছুটে বাড়িতে এলাম। পরে শুনেছিলাম এ শেলটি মাগুরা থেকে ছোড়া প্রথম শেল। এতে এলাকার মানুষ বুঝেছিল মাগুরা মুক্ত হয়ে গিয়েছে। আর শেষ অবস্থান হিসেবে পাকিস্তান সেনা কামারখালীকে বেছে নিয়েছে। কারন ঢাকা গামী হাইওয়ে খুলনা এবং ঢাকা বিভাগকে আলাদা করেছে গড়াই এবং মধুমতী নদী আর সড়ক পৃথক করেছে কামারখালী ফেরী ঘাট। পাকিস্তানীরা যশোর থেকে পিছু হটে মাগুরা। মাগুরায় টিকতে না পেরে কামারখালীতে অবস্থান করছিল নদীকে ব্যুহ তেরী করে।গড়াই ও মধুমতী নদী বেষ্টনী ছিল তাদের।শেলটার বিস্ফোরণ হলো পাল্টা গোলা ছোড়ার কোন শব্দ পাওয়া গেল না।(চলমান)

Tag :
About Author Information

GOURANGA BOSE

জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরায় আওয়ামিলীগ নেতা মুহিতের ম্যানেজার মিরাজ  হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার।

অধ্যক্ষ সৈয়দ রবিউল আলমের অতীত স্মৃতির “বিজয় ৭১”

আপডেট সময় : ১১:২২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ফিরে দেখা বিজয় ৭১

তারিখ মনে নেই।সেবার ভয়াবহ বন্যার পানি মাঠ থেকে প্রায় নেমে গিয়েছে।ডাংগার দিকের জল নেমে কচি ঘাসের অগ্রভাগ লম্বা হতে শুরু করেছে।আমরা এ ঘাস খাওয়ানোর জন্য নিজের ছাগল গুলো এ ঘাসে বাঁধার জন্য বিকেলে মাঠে দাড়িয়ে ছিলাম।অব্যবহিত দুপুর পরের বিকেলের রোদ তখন নিস্তেজ হতে শুরু করেছে। আমার দুটো ছাগল রবি শশী। তারা মুখ ভেংচিয়ে ঘাসগুলো খাচ্ছিল।কারণ সবে জল নেমে মাটিতে গজিয়ে উঠা ঘাস ছাগলের মুখরোচক নয়।তাই ছাগল গুলো যেন ইচ্ছের বিরুদ্ধেই খাচ্ছিলো আর ভ্যা ভ্যা করছিল।ছোট খালা উঠোনে বসে খাল থেকে মারা পুটিমাছ কুটছিল। অনেক উপর দিয়ে একটি সাদা সিলভার রংয়ের যুদ্ধ বিমান মধুমতী নদীর উপর দিয়ে উত্তর দিকে উড়ে যেতে লেখলাম। নয় মাস কোনো বিমান তেমন দেখিনা আকাশে। বিমানটি দেখে বেশ কোতুহলী হয়ে পড়েছিলাম। তাই বিমানটির দিকে তাকিয়েই ছিলাম।তখন ফাঁকা মাঠ আজকের মত এত গাছপালা ছিলনা।তাই বিমানটি মাঠের ভিতর থেকে ভাল ভাবেই দেখা যাচ্ছিল।হঠাৎ বিমানটি চিলের মত ছো মারল।তারপর বেশ গুলির শব্দ শোনা গেল।কিন্তু বিমানটিকে নিরাপদেই আবার আকাশে দেখা গেল এবং পশ্চিম দিকে ছুটে চলে গেল। বিমানের ছো মারার অবস্থান আর গুলির শব্দ জায়গাটাকে চিনাতে ভুল করেনি।তা কামারখালী। এ দৃশ্য দেখে খালাকে বলতেই বললেন, “ওটা যুদ্ধ বিমান “।

 

ছোট খালু তখন পাকিস্তান আর্মির সদস্য কিন্তু বাংগালী হওয়ায় করাচিতে বন্দি।খালুর নিকট যুদ্ধবিমানের অনেক গল্প শুনেছে তাই খালা সহজেই এ বিমান চিনে ফেলেছিলেন।

 

বিমানটি উড়ে পশ্চিম দিক হয়ে ভারতের ঘাটিতে যাওয়ার আগে মাগুরায় ওয়াপদা ব্রিজের উপর বোমা ফেলে নিরাপদে চলে গেল। আমরা বোমের শব্দ পেলাম।কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমরা এ খবর লোক মারফত পেয়েছিলাম। এ খবরে বাড়ির সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল।কারণ এ দিন আমার মামা এবং আব্বা মাগুরায় গিয়েছিলেন সাংসারিক প্রয়োজনে। ব্রিজের কোন ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয় নি। তারা তখন বাড়ি ফেরার জন্য টেম্পুর অপেক্ষায় ব্রিজের দক্ষিনে টেম্পু স্ট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। যুদ্ধ বিমানটি বোমা ফেলার সময় শত্রু পক্ষ থেকে কোন প্রতিরোধের মুখোমুখি হয় নাই। বহু মানুষ যেমন বোমার শব্দ পাওয়ার সাথে সাথে যে যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায়ই মাটিতে শুয়ে পড়েছিল।কারও নাকে মুখে ধুলো বালি, কেউ রাস্তার ধারে নীচু জায়গায় নয়নঝুলিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ায় নাকে মুখে গোবরও মেখে গিয়েছিল। এ কথাগুলো মামাই বাড়িতে এসে গল্প করেছিল।

 

পরের দিন একই সময়ে একই মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছি।আবার দুটি বোমারু বিমান পাশাপাশি উড়ে এলো দক্ষিন দিক থেকে। কামারখালী বাজারের উপর এসে উপরের দিকে উঠতে থাকল এবং বোমা ফেলাল। বিকেলের সোনা ঝরা চকচকে রোদে দূর থেকে এ দৃশ্য ভাল করে দেখা যাচ্ছিল।বিকট শব্দ হলো,সে শব্দে এলাকা কেপে উঠল। একটু পরে ধূয়ার কুন্ডলী দেখা গেল।উত্তর বাতাসে সে কুন্ডলী দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হতে থাকল।

 

আমরা জানতে পারলাম সতীশ সাহার পাটের গুদামের পাশেই থাকা সুবিধে কুলুর পাটের গুদামে বোমা ফেলেছে।সুবিধে কুলুর ভাল নাম কি তা জানিনে।তবে মিত্র বাহিনীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল কামারখালী রেল স্টেশনে থাকা পাকিস্তান বাহিনী। স্টেশনটি এ গুদামের পাশে থাকায় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বোমা গুদামে পড়ে যায়।তখন বুঝতাম না মূল যুদ্ধ শুরুর পূর্বে বিমান আক্রমণ শুরু করতে হয়।

 

একদিন দুদিন পর মা বললেন, “বাড়ির বাইরে যেওনা, শিখ সেনা এসেছে ডুমুর শিয়া।ডুমুরশিয়া স্কুলে ক্যাম্প করেছে।” তিনি মিত্র বাহিনী কাকে বলে জানতেন না।মিত্র বাহিনীকে এখানকার মানুষ এখনও শিখ সেনা বলে। আমাদের খেলাধুলা চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ রেখা পড়ল।তারপরও আমরা মাঝেমধ্যে বেকি বেড়া পার হয়ে রাস্তায় চলে যেতাম। মা বাইরে যেতে নিষেধ করার কারন ছিল তারা খবর পেল শিখ সেনা কামারখালী যুদ্ধ করতে যাবে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তা দিয়ে হরিনা ডাংগা ঘাটে।

 

একদিন সকাল বেলা আমি আমার মেঝ খালার মেয়ে মিলিকে নানার তৈরী করে দেওয়া কাঠের ছোট গাড়িতে করে রাস্তায় ঘুরছিলাম। কামারখালীতে একটি শেল বিস্ফোরণের প্রচন্ড শব্দ পেলাম।শব্দে ভয় পেয়ে ওকে নিয়ে ছুটে বাড়িতে এলাম। পরে শুনেছিলাম এ শেলটি মাগুরা থেকে ছোড়া প্রথম শেল। এতে এলাকার মানুষ বুঝেছিল মাগুরা মুক্ত হয়ে গিয়েছে। আর শেষ অবস্থান হিসেবে পাকিস্তান সেনা কামারখালীকে বেছে নিয়েছে। কারন ঢাকা গামী হাইওয়ে খুলনা এবং ঢাকা বিভাগকে আলাদা করেছে গড়াই এবং মধুমতী নদী আর সড়ক পৃথক করেছে কামারখালী ফেরী ঘাট। পাকিস্তানীরা যশোর থেকে পিছু হটে মাগুরা। মাগুরায় টিকতে না পেরে কামারখালীতে অবস্থান করছিল নদীকে ব্যুহ তেরী করে।গড়াই ও মধুমতী নদী বেষ্টনী ছিল তাদের।শেলটার বিস্ফোরণ হলো পাল্টা গোলা ছোড়ার কোন শব্দ পাওয়া গেল না।(চলমান)